Скачать или смотреть একাত্তরের দিনগুলি|| জাহানারা ইমাম|| ১০ম পর্ব - ডিসেম্বর|| পাঠশালা অডিওবুক|| ১০/১০||

বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীতে, টরন্টো ভিত্তিক সাহিত্য চর্চার প্ল্যাটফর্ম পাঠশালার নিবেদন...
বই: একাত্তরের দিনগুলি
লেখক: জাহানারা ইমাম
বইটি ফেব্রুয়ারি, ১৯৮৬ সালে মাসে প্রথম প্রকাশিত হয়।

পাঠ: নাজমা কাজী
সম্পাদনা: ফারহানা আজিম শিউলী

আগের পর্বগুলোর লিঙ্ক:
১ম পর্বের লিঙ্ক:    • একাত্তরের দিনগুলি|| জাহানারা ইমাম|| ১ম পর্...  
২য় পর্বের লিঙ্ক:    • একাত্তরের দিনগুলি|| জাহানারা ইমাম|| ২য় পর্...  
৩য় পর্বের লিঙ্ক:    • একাত্তরের দিনগুলি|| জাহানারা ইমাম|| ৩য় পর...  
৪র্থ পর্বের লিঙ্ক:    • একাত্তরের দিনগুলি|| জাহানারা ইমাম|| ৪র্থ প...  
৫ম পর্বের লিঙ্ক:    • একাত্তরের দিনগুলি|| জাহানারা ইমাম|| ৫ম পর্...  
৬ষ্ঠ পর্বের লিঙ্ক:    • একাত্তরের দিনগুলি|| জাহানারা ইমাম||  ৬ষ্ঠ ...  
৭ম পর্বের লিঙ্ক:    • একাত্তরের দিনগুলি|| জাহানারা ইমাম|| ৭ম পর্...  
৮ম পর্বের লিঙ্ক:    • একাত্তরের দিনগুলি|| জাহানারা ইমাম|| ৮ম পর্...  
৯ম পর্বের লিঙ্ক:    • একাত্তরের দিনগুলি|| জাহানারা ইমাম|| ৯ম পর্...  

পাঠশালার পেইজের লিঙ্ক:   / পাঠশালা-4828.  .

জাহানারা ইমাম জন্মগ্রহণ করেন ১৯২৯ সালে, সুন্দরপুর মুর্শিদাবাদে। ব্যক্তিত্বময়ী জাহানারা ইমাম দীর্ঘ সময় শিক্ষকতা করেছেন স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে। একজন সাংস্কৃতিক কর্মী হিসেবে বিভিন্ন সংগঠনের মধ্য দিয়ে মানুষের মনোজগতে তিনি পৌঁছে দিয়েছিলেন তাঁর অধীত জ্ঞান-সম্ভার।
একাত্তরে বাঙালির স্বাধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনের সঙ্গে তিনি একাত্মতা ঘোষণা করেন।
১৯৭১ সালে বাঙালির মুক্তিযুদ্ধে তিনি বাংলার হাজার মায়ের মতো তাঁর শ্রেষ্ঠ ত্যাগটি স্বীকার করেছেন - সন্তান রুমীকে পাঠিয়েছিলেন মুক্তিযুদ্ধে। আর ফেরেনি তাঁর সন্তান, শহীদ হয়ন রুমী। শহীদ রুমির মা জাহানারা ইমাম পরিণত হন শহীদ জননীতে।
নব্বই দশকে মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত শক্তির উত্থানে জনমনে যে ক্ষোভের সঞ্চার হয় তার পটভূমিতে ১৯৯২ এর ১৯ জানুয়ারি 'একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি' গঠিত হলে, জাহানারা ইমাম এর আহবায়ক নির্বাচিত হন। তিনি মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন এবং একাত্তরের ঘাতকদের বিচারের দাবিতে দেশব্যাপী ব্যাপক গণ আন্দোলন পরিচালনা করেন। তাঁরই নেতৃত্বে ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী ময়দানে লাখ লাখ মানুষের উপস্থিতিতে একাত্তরের ঘাতকদের বিরুদ্ধে পরিচালিত হয় গণ আদালত।
সাহিত্যকৃতির জন্য ১৯৯০ সালে তিনি বাংলা একাডেমি পুরষ্কার পান।
ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে তিনি ১৯৯৪ সালের জুনে মৃত্যুবরণ করেন।

'একাত্তরের দিনগুলি' - ১৯৭১ সালের দিনলিপি। প্রাত্যহিক জীবনের ভাষায় রচিত। ‘একাত্তরের দিনগুলি’ মুক্তিযুদ্ধের এক কালানুক্রমিক ইতিহাস।
বাঙালির সর্বশ্রেষ্ঠ এক অর্জনের ইতিহাস এ দিনলিপির বিষয়বস্তু।
একটি পারিবারিক ঘটনা পরিক্রমার মধ্য দিয়ে বইটি শুরু হয় এবং ধীরে ধীরে তা প্রবেশ করে ইতিহাসের আলোকোজ্জ্বল গহবরে।
১লা মার্চ থেকে ১৭ই ডিসেম্বর পর্যন্ত একাত্তরের দিনলিপি বইটিতে লিপিবদ্ধ। দিনলিপি ছাপিয়ে বইটি হয়ে উঠেছে জাতির হৃদয়ছবি। 'একাত্তরের দিনগুলি' একদিকে যেমন বাঙালির মহাকাব্যিক মুক্তিযুদ্ধের এক অনন্য-অসামান্য দলিল, তেমনি বাংলা সাহিত্যের এক বিজয়তোরণ।
এ গ্রন্থে একদিকে যেমন রয়েছে তৎকালীন সমাজব্যবস্থার চিত্র, পারিবারিক সৌহার্দ্যর বহমানতা, ইতিহাসের নানা ঘটনাবলী - তেমনি মুক্তিযুদ্ধের বিভিন্ন প্রেক্ষাপটে ব্যক্তির অবস্থান চিহ্নিতকরণও এ গ্রন্থের একটি উল্লেখযোগ্য দিক।
১৯৭১ সালের মার্চ মাস থেকে পাকিস্তান সরকারের ষড়যন্ত্র, উত্তাল সাতই মার্চ, তেইশে মার্চের প্রতিরোধ দিবসে একটি পারিবারিক আবহের প্রেক্ষিতে পুরো জাতির অবস্থার সত্য-অবলোকন, পঁচিশে মার্চে পাকিস্তানি বাহিনীর চালানো নারকীয় গণহত্যা, তৎকালীন গণমাধ্যমের সত্য-অসত্য সংবাদ পরিবেশন, বাঙালির অসামান্য প্রতিরোধ, দ্যুতিময় একজন বঙ্গবন্ধু, সেক্টর টু'র কমান্ডার খালেদ মোশাররফ, অসমসাহসী গেরিলা বাহিনী, স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র, স্বাধীনতার বিরোধী শক্তি- রাজাকার-আলবদর-আলশামস, বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ড, বাঙালির মুক্তিযুদ্ধ এবং তারপর সবকিছু ছাপিয়ে এবং সাথে নিয়ে একজন রুমী উঠে আসেন আমাদের বুকের আঙিনায়।