Скачать или смотреть নিজের জমি বিক্রি করে দ্বীনি বই ছাপিয়ে হাদিয়া দেয়ার নজির স্থাপন করেছেন — অসাধারণ ব্যক্তিত্ব মুফতি আজম

মুফতী আব্দুস সালাম (চাটগামী) রহিমাহুল্লাহ। : একটি জীবন্ত কুতুবখানা :
ফিকহে শাস্ত্রে গবেষণা: তিনি জামিয়া বান্নুরী টাউন করাসীর দারুল ইফতার দুই তত্ত্বাবধায়ক মুফতী আযম আল্লামা ওলী হাসান টুংকী রহ. এবং শায়খুল হাদীস আল্লামা মুফতী ইসহাক সন্ধীলভী রহ. এর তত্ত্বাবধায়নে দারুল ইফতার সম্পূর্ণ সিলেবাস সমাপ্ত করেন।
তিনি মুফতী আযম আল্লামা ওলী হাসান টুংকী রহ. এর কাছে ফিকহে শাস্ত্রের অন্যতম উসূলশাস্ত্র
শরহে উকুদে রাসমিল মুফতী (عقود رسم المفتی) ও আদ্দুররুল মুখতার ১ম খন্ড এবং হেদায়া ১ম, ২য় ও ৩য় খন্ড ও আল-আশবাহ ওয়ান নাযায়ের (الاشباه و النظاٸر) জামিয়ার ছাত্রদের সাথে দরসে পড়েন এবং শায়খূল হাদীস আল্লামা আল্লামা ইসহাক সন্ধীলভী রহ. এর নিকট হুজ্জাতুল্লাহিল বালিগাহ (حجةالله البالغة) পড়েন।
তিনি ইফতার দু'বছরে প্রায় চল্লিশ হাজার (৪০০০০) পৃষ্ঠার অধিক মোতায়ালা করেন। যা তিনি ছাত্রদেরকে গবেষণা ও লেখাপড়ার প্রতি প্রেষণা দিতে গিয়ে বলে থাকেন।
জামিয়া বান্নুরী টাউন মাদরাসায় প্রধান মুফতি ও মুহাদ্দিস পদে নিয়োগ:
তিনি ফিকহে শাস্ত্রের উপর পান্ডিত্য অর্জন করার পর পাকিস্তানের জামিয়া বান্নুরী টাউনে সহকারী মুফতী হিসেবে কাজ শুরু করেন। শেষ পর্যায়ে পাকিস্তানের দ্বিতীয় মুফতীয়ে আযম আল্লামা মুফতী ওলী হাসান টুংকী রহ. এর অসুস্থতার পর তিনি জামিয়া বান্নুরী টাউনের ভারপ্রাপ্ত মুফতীয়ে আযম হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এবং মুফতি অলী হাসান টুংকী রহ.ইন্তকালের পর, তিনি
মুফতি আযম হিসেবে নিয়োগ পান।
এছাড়াও তিনি দাওরা হাদীসে সুনানে তিরমিযী ও সহীহ মুসলিমের দরস দিতেন। প্রায় দীর্ঘ চার বছর উক্ত জামিয়ার নাজেমে দারুল একামার
(ছাত্রাবাসের প্রধান তত্ত্বাবধায়ক) দায়িত্ব পালন করেন।
মসজিদের খতীব হিসেবে দায়িত্ব পালন:
তিনি পাকিস্তান করাচীর ঐতিহাসিক শাব্বির আহমাদ উসমানী রহ.জামে মসজিদের খতিব ছিলেন। প্রতি রমযানে তিনি ঐ মসজিদে কুর'আনুল কারীমের দরস প্রদান করতেন।
ফতোয়া প্রদানে তাহার অবদান:
পাকিস্তানের দীর্ঘ সময়ে তিনি মৌখিকভাবে এবং টেলিফোনে অসংখ্য ফতোয়ার সমাধান দিয়েছেন। যার সঠিক সংখ্যা সংরক্ষিত নেই। তবে তাহার লিখিত ফতোয়া সমগ্র জামিয়া বান্নুরী টাউনের রেজেষ্টি বইতে সংরক্ষিত আছে। তার সংখ্যা হাজার হাজার নয় বরং লক্ষ লক্ষ। তিনি পাকিস্তানে দীর্ঘ ত্রিশ বছর অবস্থানকালে তিন লাখেরও বেশি ফতোয়া প্রদান করছেন।
হাটহাজারী মাদ্রাসায় নিয়োগ:
তিনি ২০০১ ইং সালে দারুল উলুম হাটহাজারীতে নিয়োগ প্রাপ্ত হন। তখন থেকে আজও অবধি ফতোয়া প্রদানের গুরু দায়িত্ব পালন করে আসছেন। তিনি হাটহাজারী মাদরাসায় নিয়োগের পর উচ্চতর হাদীস ও ফতোয়া বিভাগের দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি সুনানে নাসায়ী শরীফ, সুনানে আবুদাউদ ইত্যাদি কিতাব সুনামের সাথে দারস দিচ্ছেন।
ফতোয়া বিভাগে তাহার বিশেষ অবদান :
তিনি ফতোয়া বিভাগের ছাত্রদের থিসিস ও প্রবন্ধ তাসহীহ বা সংশোধন করার ক্ষেত্রে খুবই দায়িত্বশীল ও যত্নশীল। তাহার ফেকাহ ও ফতোয়ার সাথে এত গভীর সম্পর্ক ছিল যে, তিনি প্রতিদিন গড়ে ৩০ টা ফতোয়া প্রদানের কাজ করেন, এ হিসেবে মাসে প্রায় ৯০০ শত আর বছরে ১০'৮০০ (দশ হাজার আটশ) এবং বিশ বছরে ২০০০০০ (দুই লাখ) এর বেশি ফতোয়া প্রদান করেন।
জামিয়া বান্নুরী টাউনের দারুল ইফতায় মুফতীয়ে আযম আল্লামা ওলী হাসান টুংকী রহ. এর সাথে তিন জন মুফতী ফতোয়ার গুরু দায়িত্ব আঞ্জাম দিতেন। যথাক্রমে, (১) মুফতী আব্দুস সালাম চাটগামী (২) মুফতী দাউদ সাহেব হাজারভী ও (৩) মুফতী সাইদুর রহমান তাওয়ালপুরী। তাঁরা সবাই অত্যন্ত দক্ষ মুফতী, আর মুফতী আব্দুস সালাম চাটগামী সাহেব তো ফতোয়া প্রদানের ক্ষেত্রে এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।
সংগৃহিত


#PushpoTV
Pushpo TV
#Hefazot