#

Описание к видео #

##সৌদি আরব জ্বীনের পাহাড়ের পথ"""" ##-Saudi Arabia ##-Gene Hill★★----------


ভ্রমণ

রহস্যঘেরা জিনের পাহাড়!

বৃহস্পতিবার, ২৩ মে ২০১৯



ওয়াদি আল জিন কিংবা জিনের পাহাড়! যে নামেই পরিচিত হোক না কেন জায়গাটিতে পৃথিবীর অবাক করা ঘটনা ঘটে। সৌদি আরবের মদিনা শহর থেকে প্রায় ৪৫ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে অবস্থিত জিনের পাহাড়। এই পাহাড় নিয়ে অনেক কিছু শোনা গেলেও কোরআন হাদিসে এ সম্পর্কে কিছু বলা নেই।

Advertisement

রহস্যঘেরা এ পাহাড় সম্পর্কে মানুষের কেন আগ্রহ সে তথ্য অনুসন্ধানে যাত্রা জিনের পাহাড় নামক স্থানে। বিস্ময়কর এই পাহাড় সম্পর্কে বলা হয় কোনো এক অদৃশ্য শক্তি সবকিছুকেই উপরের দিকে টানে। যাত্রাপথে চোখে পড়ে বিশাল বিশাল পাহাড়। আর তাতেই গা ঘেসে যেতে হয় জিনের পাহাড়ে।

নানা তথ্যসূত্র বলছে, ২০১০ সালের দিকে সৌদি সরকার ওয়াদি আল বায়দায় একটি সড়ক তৈরির পরিকল্পনা করেছিল। কিন্তু তাতে ঘটে বিপত্তি। ৩০ কিলোমিটার পর্যন্ত কাজ করার পর হিতে বিপরীত। হঠাৎ দেখা যায়, রাস্তা নির্মাণের যন্ত্রপাতি ধীরে ধীরে মদিনা শহরের দিকে একা একাই চলে যাচ্ছে।

চলার পথে যে রাস্তাটি দেখছি সেটি জিন পাহাড়ে পর্যন্ত গিয়ে থেমেছে রাস্তাটি আরও সামনে নেয়ার ম্যাপ থাকলেও নাকি সেটি আর সামনে নিতে পারেনি। বেশ কয়েকবার চেষ্টার পরেও নাকি সম্ভব হয়নি রাস্তার কাজ এগিয়ে নিতে।

Advertisement

তবে নিজ চোখে যা দেখলাম, রাস্তায় সবকিছুই ঢালুর বিপরীত অর্থাৎ উঁচুর দিকে গড়ায়। সাধারণ নিয়মের একেবারেই উল্টো। রহস্যঘেরা এই পাহাড়ে গাড়িও ঢালুর বিপরীতে চলতে শুরু করে। তাও আবার ছোটখাটো বস্তু হলেও কথা ছিল। এই অদৃশ্য শক্তি টেনে নিয়ে যায় কয়েক টন ওজনের গাড়িকেও প্রায় ১৪০ কি.মি. স্পিডে। পানির বোতল কিংবা পানি ঢেলে দিলে সেটিও বিপরীত অর্থাৎ উঁচুর দিকে গড়ায়।

অনেকেই ধারণা করেন, জায়গাটিতে প্রচুর চুম্বকজাতীয় পদার্থ রয়েছে বিধায় এমন ঘটনা ঘটে। কিন্তু জায়গাটি সম্পর্কে বেশ কয়েকবার গবেষণা করেও নাকি মেলেনি তেমন কোনো সুস্পষ্ট তথ্য।

এমন রহস্যময় জিনের পাহাড় ঘিরে নানা কৌতুহলের সৃষ্টি হয়। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে প্রতিদিনই হাজারো পর্যটক ছুটে আসেন এটি দেখতে।

প্রতি বছর হজ কিংবা ওমরা হজ করতে আসা মানুষও এই রহস্যঘেরা জিনের পাহাড় দেখার জন্য ভিড় করে। তবে দুনিয়াজোড়া জ্ঞান বিজ্ঞানের এত প্রসারের পরেও আজ অবধি এই অপার রহস্যের উদঘাটন করতে পারেনি কেউ। আজও বিস্ময় সৃষ্টি করে চলেছে এই অদৃশ্য শক্তির পাহাড়।

Advertisement

যারা যেতে চান : ফজর পড়েই যাবেন। তা না হলে প্রচণ্ড তাপমাত্রায় অস্থির হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। মসজিদে নববীর সামনে থেকে মাইক্রোতে শেয়ারিংয়ে যেতে পারবেন। তবে রিজার্ভ নিয়ে গেলে সুবিধা বেশি।

গাড়ি চালক যেন বাংলাদেশ, ভারত বা পাকিস্তানের হয় সেদিকে খেয়াল রাখবেন। গাড়ি রিজার্ভ নিলে অবশ্যই ওহুদ পাহাড় থেকেও ঘুরে আসতে পারবেন। তাতে করে আরেকদিন ওহুদ দেখতে যাওয়ার খরচটা বেঁচে যাবে।

Комментарии

Информация по комментариям в разработке