Скачать или смотреть সরকারি প্রণোদনায় অনন্য উচ্চতায় দেশের প্রবাসী আয়

sylhet somachar is providing information and news of Sylhet and national.

সরকারি প্রণোদনায় অনন্য উচ্চতায় দেশের প্রবাসী আয়

বাংলাদেশের বৃহৎ একটি জনগোষ্ঠী প্রবাসে থাকে। যাদের প্রবাসী বা রেমিট্যান্স যোদ্ধা হিসেবে অভিহিত করা হয়। তাদের পাঠানো অর্থে বাংলাদেশ আজ বিশ্বের দরবারে একটি অনন্য উচ্চতা ধরে রেখেছে।

তথ্যসূত্রে জানা যায়, প্রবাসী আয়ে বিশ্বে ৭ম অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ এ কথা বলছে স্বয়ং বিশ্ব ব্যাংক। করোনার মধ্যে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে প্রবাসী আয় কিছুটা কমলেও বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার বেশ কয়েকটি দেশে বেড়েছে রেমিট্যান্স।

পরিসংখ্যান বলছে, ২০২১ সালে প্রবাসীরা রেকর্ড ২২.০৭ বিলিয়ন ডলার বা ২ হাজার ২০৭ কোটি ৮৫ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন। বাংলাদেশি মুদ্রায় (১ ডলার ৮৫ টাকা ধরে) এর পরিমাণ ১ লাখ ৮৭ হাজার ৬৬৭ কোটি ২৫ লাখ টাকা। প্রবাসীদের পাঠানো এই রেমিট্যান্স বাংলাদেশের ইতিহাসে যেকোনো অর্থবছর কিংবা পঞ্জিকাবর্ষের চেয়েও বেশি।

এর ঠিক ৫ বছর আগে ২০১৫ সালে ১ হাজার ৫৩১ কোটি মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স আসে দেশে। ২০১৬ সালে আসে ১ হাজার ৩৬১ কোটি ডলার। ২০১৭ সালে আরও কিছু কমে আসে ১ হাজার ৩৫৩ কোটি ডলার।

এরপর সরকারের নানান উদ্যোগে ধারাবাহিকভাবে বাড়তে থাকে রেমিট্যান্স। ২০১৯ সালে প্রবাসীরা ১ হাজার ৮৩৩ কোটি মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়ে রেকর্ড গড়েছিলেন। এরপর ২০২০ সালে ২ হাজার ১৭৪ কোটি ১৮ লাখ ডলার পাঠানোর নতুন রেকর্ড গড়েন প্রবাসীরা।

বিভিন্ন প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, সারা বিশ্বে এক কোটি বিশ লাখেরও বেশি প্রবাসী বৈধভাবে বসবাস করছে। আর এই প্রবাসীদের কষ্টার্জিত টাকা যাতে হুন্ডির মাধ্যমে কোনো চক্র হাতিয়ে না নিতে পারে সেজন্য বাংলাদেশে সরকার অনেক যুগান্তকারী পদক্ষেপও নিয়েছে। তার মধ্যে অন্যতম হলো রেমিট্যান্সে প্রণোদনা! চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে প্রবাসীদের রেমিট্যান্স বৈধ উপায়ে দেশে পাঠানোকে উৎসাহিত করতে বিদ্যমান ২ শতাংশ প্রণোদনা আরও বাড়িয়ে ২.৫ শতাংশ করেছে সরকার! এতে করে টাকা পাঠানোর পরিমানও দ্বিগুণ হারে বৃদ্ধি পেয়েছে।

৫ বছরের ব্যবধানে রেমিট্যান্স আসা দ্বিগুণ হয়েছে। এটা হুট করেই হয়ে যায়নি। সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ ও সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার ফলেই এটা সম্ভব হয়েছে। প্রণোদনা প্রদানের সাথে সাথে রয়েছে, নিজস্ব তদারকিতে বিদেশে কর্মী প্রেরণ, স্বল্প সুদে ঋণ প্রদান এবং বিভিন্ন দেশে প্রবাসীদের সার্বক্ষণিক দেয়া হচ্ছে বিশেষ সুবিধা। এতে করে কর্মীরা কাজ করছেন সুষ্ঠুভাবে, টাকাও পাঠাচ্ছেন নিরাপদে।