Скачать или смотреть বাঁশির শব্দে উড়ে আসে হাজার হাজার ময়ূর।। চীনের ময়ূর লেক, Peacock of China, Hello Jewel

এতদিন চিড়িয়াখানায় দেখেছেন ময়ুর উড়তে। এবার চোখের সামনে দেখবেন। বাশির শব্দে উড়ে আসবে শতশত ময়ূর। হাতের নাগালে, যেন হাত বাড়ালেই ধরতে পারবেন। বন্ধুরা আজ আপনাদের নিয়ে যাবো, তেমনই এক বনে, যেটি চীনের ইউনান প্রদেশের শিশুয়াংবান্না অঞ্চলে। এখানকার ময়ুর রাজ্যের দৃশ্যগুলো যেন এখনো চোখে লেগে আছে।

#অপরুপ_দৃশ্য #চীন_সফর

ইউনান হলো চীনের সবচে দক্ষিনের প্রদেশ। বিমানে করে ঢাকা থেকে ইউনান প্রদেশের কুনমিং শহরে এলেও আমাদের মূলত গন্তব্য শিশুয়াংবান্না। দূরত্ব ৫১৬ কিলোমিটার। কুনমিং থেকে ইন্টারন্যাল বিমানে যেতে পারবেন। আবার গাড়িতেও যাওয়া যাবে, সময় লাগবে ৭ ঘন্টার বেশি।
শিশুয়াংবান্নাকে স্থানীয়রা কখনো কখনো সিপসপ্পান্নাও বলে থাকেন, যার অর্থ হলো ১২ হাজার ধানের জমি। শিশুয়াংবান্না ইউনান এর প্রত্যন্ত অঞ্চলে অবস্থিত যা ১৯৫০ এর দশক পর্যন্ত বহির্বিশ্ব থেকে বেশ বিচ্ছিন্ন ছিলো। এটি চীনের বাকী অংশের চেয়ে আলাদা, এটার বরং থাইল্যান্ডের সাথেই মিল বেশি। এখানে চীনা নাগরিকের থেকে থাই সম্প্রদায়ের নাগরিকদের বাস বেশি। এটির এই থাই পরিচয়, দেশটির হান সম্প্রদায়ের পর্যটকদের ব্যাপক আগ্রহী করে তুলেছে। এ অঞ্চলের মূল শহরটির নাম জিংজং।
আজকাল, থাই গাড়িচালকরা অনেক সহজেই জিংজং প্রবেশ করতে পারেন। এখানে থাইল্যান্ড, লাওস ও চীনের মধ্যে একটি আন্তর্জাতিক হাইওয়ে চালু করা হয়েছে।

লম্বা যাত্রা পথ। এই ফাকে আমরা ময়ূর লেকটি সম্পর্কে জেনে নিই চলুন।
শহরের কেন্দ্রস্থলেই চমৎকার করে সাজানো আছে একটি বিশাল বনাঞ্চল। আমরা ধীরে ধীরে সেটিতে প্রবেশ করছি। এ বনটির ভিতরে ম্যান্টিং পার্ক, যার ভিতরে হাটতে হবে প্রায় ২ কিলোমিটার পথ। এর ভিতরে বড় একটি লেক আছে, যেটি ময়ুর লেক হিসেবে পরিচতি। আমাদের টর্গেট সে লেকটি দেখা। বছরের অক্টোবর থেকে জুন মাস এ বনে যাওয়ার সবচেয়ে ভাল সময়।
আমরা চলে এসেছি। এখন দেখার পালা।
একজন মহিলা বাঁশি বাজিয়ে খাবার ছিটাতে থাকেন। দুরের পাহাড় থেকে উড়ে আসতে থাকে শত শত ময়ুর। ইতিহাস থেকে জানা গেছে, শিশুয়াংবান্নাকে ময়ুরের বাড়ি মনে করা হয়। স্থানীয় দাই সম্প্রদায়ের মানুষের কাছে ময়ুর খুবই পবিত্র। তারা মনে করে এটি সুখ, সৌন্দর্য, মঙ্গল এবং ভাগ্যের প্রতীক।
এ ময়ুর লেক নিয়ে রয়েছে চমৎকার কিছু রুপকথার গল্প। স্থানীয় কবিতার বর্ননামতে, একবার স্বর্গ থেকে সাতটি রাজকন্যা এ লেকে গোসল করতে এসেছিল। তখন পাশ দিয়ে হাতির পিঠে চড়ে যাচ্ছিলেন শাওশু নামে রাজপুত্র। লেকের জলে রাজকন্যাদের খেলা দেখে তিনি প্রথম দেখায় প্রেমে পড়ে যান কনিষ্ট রাজকন্যা নান্নুওনার। অবশেষে সে প্রেম পরিনয়ে রুপ নেয় বিয়ের মাধ্যমে। শত বছর আগের সে প্রেমের মঞ্চায়ন হয় এখনো প্রতিদিন।
আপনি ময়ুরদের জন্য খাবার কিনতে পারবেন, তাদের সাথে ছবি তুলতে পারবেন, অথ্যাৎ আনন্দময় একটা সময়, যেটা আপনার স্মৃতিতে চীর অম্লান হয়ে থাকবে।

সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের চ্যানেল:    / ahasan311  
ফেসবুক পেজ লাইক করুন:   / ahasanjewel  
টুইটারে লাইক করুন   / ahasanjewel  
If you find any inappropriate use of your copyrighted material in this video; please contact us. +8801819627548 [email protected] [email protected]
যদি এই ভিডিওটি ভালো লাগে তবে অবশ্যই ভিডিওটি শেয়ার করে নিন আপনার বন্ধুদের মধ্যে।