ঝালকাঠির আসল গনি মিয়ার গামছা নকল কিনে প্রতারিত হবেন না।

Описание к видео ঝালকাঠির আসল গনি মিয়ার গামছা নকল কিনে প্রতারিত হবেন না।

ঝালকাঠির আসল গনি মিয়ার গামছা পাইকারি বিক্রি করা হয়।যোগাযোগ নাসির মিয়া👉📱 01810 333 692 """"""""""""""""""""'"'""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""কাঁচামালের মূল্যবৃদ্ধি, আধুনিকতার ছোঁয়া ও পৃষ্ঠপোশকতার অভাবে হারিয়ে যাচ্ছে ঝালকাঠির ঐহিত্যবাহী তাঁতের গামছা শিল্প।
এক সময় ঝালকাঠির যে তাঁত পল্লি তাঁতের খটখট শব্দে রাত-দিন মুখরিত ছিল, আজ সেখানে শোনশান নীরবতা।
তবু বাপ-দাদার পেশা আঁকড়ে কোনোমতে টিকে আছে কয়েকটি পরিবার।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ঝালকাঠি শহরের বুক চিরে প্রবাহিত বাসন্ডা নদীর পশ্চিম পাড়ে পশ্চিম ঝালকাঠি নামে পরিচিত পুরো এলাকাজুড়ে প্রায় ৪শ তাঁতী পরিবার ছিল।

স্থানীয় ভাষায় এদের কারিগর বলা হতো। সুতো কিনে বিভিন্ন রং মিশিয়ে নিজেদের তাঁতে সুনিপুণ হাতে গামছা, লুঙ্গি ও শাড়ি তৈরি হত এই তাঁত পল্লিতে।

জেলার চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে রপ্তানি হত সে সময়। আজ সেদিন কেবলই হারানো দিন।

তবে ৫/৬টি পরিবার এখনও গামছা তৈরি করে কোনোভাবে পুরোনো ঐতিহ্য ধরে রেখেছেন। কিন্তু নানা সঙ্কটেও তারাও হারিয়ে যেতে বসেছেন।

জীবনের শুরু থেকে বাপ-দাদার পেশা এ তাঁত চালিয়ে সারাদেশে ব্যাপক সুনাম অর্জন করেন ঝালকাঠির গণি মিয়া। গণি মিয়ার গামছা এখনও সারাদেশে রপ্তানি হয়।
গেল বছরের ২৪ নভেম্বর গণি মিয়া ইহকাল ত্যাগ করেন।

তার অনুপস্থিতিতে ছেলে নাসির উদ্দিন মিয়া অনেক কষ্টে তাঁদের পেশা আঁকড়ে ধরে রেখেছে। গণি মিয়ার বড় ছেলে নাসির উদ্দিন মিয়া বাবার ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে তার বসতঘরের বারান্দায় ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে দুটি তাঁতে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।

নাসির উদ্দিন জানালেন, বাবা গণি মিয়া প্রথমে বালাবাড়ি থেকে তাঁতের কাজ শিখে নিজের ঘরে বসে শাড়ি, লুঙ্গি ও গামছা তৈরী করতো। তখনকার নীলাম্বরি শাড়ি’ বলে শাড়ির খ্যাতি ছিল। একপর্যায়ে শাড়ি বোনা ছেড়ে দিয়ে বাবা লুঙ্গি ও গামছা তৈরি করতেন।
পরে তিনি শুধু গামছাই বুনতেন।
নির্বাচন এলে প্রার্থীরা আমাদের তাঁত শিল্প রক্ষায় নানা প্রতিশ্রুতি দেয়। আমাদের ভোটে তারা বিজয়ী হয়ে পরে আর কোন খোঁজ নেয় না।

আমরাও তাঁদের (নির্বাচিতদের) কাছে যাই না। কারণ তাঁদের কাছে যেতে হলে চামচাদের মাধ্যমে যেতে হয়। এজন্যে বাবাও কখনো তাঁদের কাছে যাননি, আমরাও যাই না। ইসলামী ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে কোনো রকম কষ্ট করে তাঁত শিল্প ধরে রেখেছি।

গামছা বুননের বিষয়ে নাসির বলেন, আমি প্রতিদিনে গড়ে ২টি গামছা তৈরী করতে পারি। একেকটি গামছা বুনে প্যাকেট করা পর্যন্ত ২৫০ টাকা খরচ হয়।

পাইকারি বিক্রি করি ৩০০ টাকা এবং খুচরা বিক্রি করি ৩৫০ টাকা। শিকারপুরে আমাদের নিয়ন্ত্রণে দুটি তাঁত রয়েছে। সেখানের সুতা ও রং আমরাই সরবরাহ করি।

সেখান থেকে কিছু লভ্যাংশ পাই। ঋণ নেয়া ছাড়া কোথাও থেকে কোনো অনুদান পাইনি। তবে চ্যানেল আই’র শাইখ সিরাজ গাবখানে একটি অনুষ্ঠানে আসলে আমাদের তাঁত শিল্প পরিদর্শন করে সন্তোষ প্রকাশ করেন। অনুষ্ঠান স্থলে বাবাকে ডেকে নিয়ে নগদ এক লাখ টাকা সহায়তা করেন।

ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, আমাদের তাঁত শিল্পের প্রসার ঘটানোর ইচ্ছা থাকলেও কোনো উপায় নেই। তাই আমাদের জন্য এ শিল্পের প্রসারের স্বপ্নে দেখাও ঠিক না। কিন্তু তোরাব আলী, মানিকসহ কয়েকজনে গামছা তৈরী করে আমার বাবার নামের নকল লেভেল লাগিয়ে বাজারজাত করছেন।
বর্তমানে সুতা ও রঙের দাম বৃদ্ধির কারণে আমাদের তাঁত শিল্প হুমকির মুখে রয়েছে। সরকারি সহায়তা এবং পৃষ্ঠপোষকতা পেলে প্রসার ঘটিয়ে বাস্তবরূপে গামছাকে শিল্প প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তোলার আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

Комментарии

Информация по комментариям в разработке