Скачать или смотреть পঞ্চাশের বাংলাদেশে বিস্ময়কর অর্জন শতভাগ বিদ্যুৎ

আজকের বাংলাদেশ এক অনন্য বাংলাদেশ। উন্নয়নের মহাসড়কে যাত্রা করা বাংলাদেশ। অভাব-দুর্যোগে বারবার পিছিয়ে পড়া বাংলাদেশ আজ বিশ্বের বিস্ময়। স্বাধীনতার ৫০ বছরে শতভাগ বিদ্যুতের যুগে প্রবেশ করল বাংলাদেশ।

শুধু তাই নয়, একইসঙ্গে বিশ্বের ১৩তম আল্ট্রা-সুপার ক্রিটিক্যাল প্রযুক্তি ব্যবহারকারী দেশে পরিণত হল সোনার বাংলা। যার নেতৃত্ব দেন বঙ্গবন্ধুকন্যা ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

‘মুজিব শতবর্ষে শতভাগ বিদ্যুৎ’ এর আশ্বাস পূরণ করে এবছরের ২১ মার্চ পায়রায় ১৩২০ মেগাওয়াট তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের উদ্বোধন করে শতভাগ বিদ্যুৎ বাস্তবায়নের ঘোষণাও দেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী।

দেশ স্বাধীন হওয়ার পর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রাশিয়ার সহায়তা নিয়ে দেশের বিদ্যুৎ খাত পুনর্গঠন করেন। এরই ধারাবাহিকতা রক্ষা করে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ফলে তার হাত ধরেই বাংলাদেশ শতভাগ বিদ্যুতায়নের রেকর্ড গড়েছে।

এ সফলতার কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে জ্বালানি বিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক ই ইলাহী জানান, আওয়ামী লীগ যখন ১৯৯৬ সালে প্রথম ক্ষমতায় আসে তখন বিদ্যুৎখাতের জন্য ইনডিপেনডেন্ট পাওয়ার প্রডিউসার নীতি গ্রহণ করা হয়। দ্রুত উৎপাদনের জন্য বার্জ মাউন্টেড বিদ্যুৎ নিয়ে আসেন শেখ হাসিনা। ২০০১ থেকে ২০০৬ পর্যন্ত জামায়াত-বিএনপি এসব প্রকল্প বন্ধ করে দিলে দেশ বিদ্যুৎ সংকটে ভুগতে থাকে। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ পুনরায় ক্ষমতায় এসে বিদ্যুৎ খাত পুরোপুরি বদলে দেয়। যার ফল হলো এই শতভাগ বিদ্যুতায়ন।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শতভাগ বিদ্যুতের ব্যাপক সুফল ভোগ করতে বাংলাদেশ। সারা দেশে শিল্পায়নের ভারসাম্য রক্ষা হবে। দেশজ উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে। কর্মসংস্থান বাড়বে এবং দারিদ্র্য দূরীকরণে সহায়ক হবে। জিডিপি প্রবৃদ্ধির হারও বৃদ্ধি পাবে।