Talk to yourself every day for success. Better life. SM Palash
সাফল্যের জন্য প্রতিদিন নিজেকে বলুন ৮টি কথা।। উন্নত জীবন।। এস এম পলাশ
মাল্টি প্রতিভাবান একজন এস এম পলাস
শৈশব থেকেই শ্রেনি কক্ষের ছকবাঁধা পাঠদান আর প্রথাগত জীবন তাকে অকৃষ্ট করেনি। প্রথাগত নিয়মের বিরুদ্ধে নানা প্রশ্ন হানা দেয় তার মনে। ক্লাশ চলাকালে জানলার ফাঁক দিয়ে দুরের কাশবন তাকে অভিভুত করেছে, ক্লাশের খাতায় সেই ছবিই কলম দিয়ে একেঁছেন মনের মাধুরী দিয়ে। এজন্য মায়ের হাতে মার খেতে হছে তাকে। শিল্পর প্রতি ছিল কঠিন প্রেম আর এই প্রেমে বিশ্ব বিদ্যালয়ে আর পড়া হয়ে ওঠেনি এস এম পলাস এর।
প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা থেমে গেলেও পৃথিবীর পাঠশালয় চলতে থাকে তার পড়াশুনা, জীবন সংগ্রামে মুখোমুখি হন করুন এবং কঠিন বাস্তবতার। পেটের ক্ষুধা আর একটা কিছু করার জন্য হাটতে থাকেন শিখতে থাকেন বৈচিত্রময় পৃথিবীতে। আর পলাসের জীবনও হয়ে ওঠে বৈচিত্রময়।
তীব্র জ্ঞান পিপাসু ও বিজ্ঞান মনস্ক কৌতুহলী এই ছেলেটিই এক সময় হয়ে ওঠেন বই প্রেমী, দেশ ও বিশ্ব বিখ্যাত লেখকদের অগনিত বই পড়েছেন। গল্প উপন্যাসের চেয়ে দর্শন ও বিজ্ঞান নিয়েই বেশি পড়েছেন। প্রচলিত কুসংস্কার তার মনে ধুম্রজাল তৈরী করত, একারনেই ধর্ম ও বিজ্ঞান, ইতিহাস নিয়ে গবেষনা চলতে থাকে তার। বিখ্যাত ব্যাক্তিদের উক্তি ও জীবনী তাকে বেশি প্রেরণা যুগিয়েছে।
বই পড়া থেকেই পাল্টে যায় যার জীবন দর্শন। ধীরে ধীরে এস এম পলাস হয়ে ওঠেন মুক্ত মনের মানুষ। তার জীবনাচরণ আলাদা করে অন্যের থেকে।
জীবনের নানা মুখী অভিজ্ঞতা আর বইয়ের আলো এবং শৈল্পীকতা তাকে করে তোলে প্রতিভার যাদুকর। সব কিছুই যেনো তার যাদুর পরশে শিল্প হয়ে ওঠে।
পুঁথিগত বিদ্যার বাইরেও জ্ঞান অর্জন করে আলোকিত মানুষ হয়ে সে আলো ছড়িয়ে দেয়া অসম্ভব কিছু নয়।
তার লেখালেখি শুরু ২০০০ সাল থেকে, প্রথমে বিভিন্ন পত্র পত্রিকা, সাহিত্য পত্রিকা, ম্যাগাজিনে লেখা প্রকাশ করে সাহিত্য অঙ্গনে পা রাখেন।
২০০৫ সালে প্রকাশিত হয় তার প্রথম কবিতার বই “ব্যথিত চোখের জল”। ২০০৭ সালে সম্পাদনা করেন সাহিত্য পত্রিকা “ গ্রামীণ কন্ঠ” ঐ বছরই “তুমি নন্দীত নারী” কবিতার বই সম্পাদনা করেন। ২০১২ সালে প্রকাশ করেন তার প্রথম উপন্যাস “রক্তচোষা” যে বইটি ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায় আর এ বইটির মাধ্যমে তার পরিচিতি ছড়িয়ে পরে সারা দেশের সাহিত্য অঙ্গনে। প্রথমে লেখার বিষয় প্রেম হলেও পরবর্তিতে চরম দ্রোহ, বিপ্লব, অভিমান, এবং প্রচলিত অপসংস্কার এর বিরুদ্ধে সাবলিল ভাষায় প্রকাশ পায় তার তীব্রতা। এমন লেখা দৃষ্টি কাড়ে জ্ঞানী জনদের।
বর্তমানে তিনি দেশের জনপ্রিয় একটি স্যাটেলাইট টিভি চ্যানেলে ও একটি জাতিয় দৈনিকে কর্মরত । এছাড়া রয়েছে তার নিজস্ব “সুবর্ণ টিভি নামে একটি অনলাইন টেলিভিশন।
চিত্রগ্রহন, নিউজ এডিটিং, লেখা, ভয়েজ, ভিডিও এ্যডিটিং সবই একাই করেন তিনি। এমনকি টক-শোর উপাস্থাপণা, নিউজ প্রেজেন্টর হয়ে সংবাদ পাঠ করেন।
এবার বলি অন্য কথা ২০০৫ সাল থেকে চলে তার নারী নির্যাতন, বাল্যবিয়ে ও কুসংস্কার বিরোধী প্রচারণার কাজ।
এস এম পলাশ এখন প্রর্যন্ত বাকেরগঞ্জে শতাধীক, স্কুল কলেজ, মদরাসায় গিয়ে নারী নির্যাতন, বাল্যবিয়ে, মাদক, ইভটিজিং বিরোধী প্রচারণা চালিয়েছেন। এজন্য বাকেরগঞ্জের শিক্ষা অঙ্গনেও এস এম পলাস ছাত্র-শিক্ষক সবার প্রিয় মানুষ।
সর্ব শেষ ২০১৯ সালে তার গবেষণা গ্রন্থ “বাকেরগঞ্জের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস পরিচিতি” বইটি প্রথম সংস্করণ প্রকাশ করেন। যা স্থানীয় ভাবে আবারো আলোচনায় নিয়ে আসে পলাসকে। আর এ বইটি কিনে পড়ছে স্কুল, কলেজ, বিশ্ব বিদ্যালয়ের ছাত্র সহ শিক্ষক, ইতিহাসবিদ, গবেষকরাও।
ফেসবুকে তার ভিন্ন স্বাধের লেখা তোলপাড় সৃষ্টি করে। এখানে দেশের বিশিষ্ঠজনরা তার লেখার প্রসংসা করে মন্তব্য করেন। এছাড়াও তিনি খেলার ছলে নির্মাণ করেছেন কমেডি নাটক “জার্নর্বিাই কুয়াকাটা” সহ বেশ কয়েকটি নাটিকা। অভিনয় করেছেন বহু মঞ্চ নাটকে।
তার লেখা বিখ্যাত কবিতা “ফিরে এসো মানবতা” প্রকাশ করে আবারো জাগ্রত করেছেন মানুষের ঘুমন্ত বিবেকেকে। যা বাকেরগঞ্জের লাখো মানুষের মুখে মুখে উচ্চারিত। এজন্য তাকে মানবতার কবিও বলে অনেকে।
যে কথাটি বলা হয়নি, এস এম পলাস এর স্বপ্ন ছিল কন্ঠ শিল্পী হওয়ার, তাই সঙ্গীতকে ভালবাসেন, কিন্ত গান তার কন্ঠে ধরা দেয়না। এই বলে কি গানে তার পদচারণা থাকবেনা...? এটা হতেই পারেনা। লিখেছেন বাকেরগঞ্জের স্থানীয় প্রবাদ “পরের ক্ষতি আপণ নাশ, তাহার স্বাক্ষী দয়াল দাস” শিরোনামে ভিন্ন স্বাধের কথামালা নিয়ে একটি গান। গানটি পছন্দ হয়ে যায় দেশ বরেণ্য কন্ঠ শিল্পী মিনি কিশোরের, দীর্ঘ অনেক বছর ধরে নতুন কোন গান না করলেও লেখায় ভিন্নতা পেয়ে গানটিতে কন্ঠ দেয়ন বিখ্যত শিল্পী মনি কিশোর। আর মজার ব্যাপার হয়েছে গানটির ভিডিও চিত্রে মুল চরিত্রে অভিনয় করেছেন এস এম পলাস নিজেই। এরপরে “পুরান পাগলের ভাত জােটেনা নতুন পাগলের আমদানী” শিরো নামে ২য় গান লেখে অলোড়ন সৃষ্টি করেন।
এস এম পলাস কখনো চিত্রশিল্পী, চারু-কারু শিল্পী। কখনো কবি, সাহিত্যিক, উপনাস্যিক, লেখক, গবেষক, ইতিহাসবিদ, অবৃত্তিকারক, গানের গিতীকার। আবার নাট্যকর, অভিনেতা, পরিচালক। কখনো মঞ্চ উপস্থাপক টিভি উপাস্থাপক, সংবাদ পাঠক, সম্পাদক এবং একজন নির্ভিক টেলিভিশন সাংবাদিক। আবার কম্পিউটার গ্রাফিক্স ডিজাইনার, ভিডিও এডিটর। সব মিলিয়ে তিন প্রতিভার যাদুকর এস এম পলাস।
বহুমুখী প্রতিভার এই যাদুকর তার বৈচিত্রময় কর্মের মাধ্যমে দিনে দিনে হয়ে উঠেছেন দক্ষিণের আকাশের উজ্জল নক্ষত্র, তারুন্যের দৃষ্টান্ত। বরিশাল তথা বাকেরগঞ্জের লাখো মানুষের প্রিয় মুখ ও সুপার স্টারে পরিনত হন।
এস এম পলাস এর জন্ম ১৯৮২ সালের ৭মে বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার গারুড়িয়া ইউনিয়নের চরসমসদি বালিগ্রামে।
একটি অসম্প্রদায়ক মানবিক দেশ গড়ার স্বপ্ন নিয়েই তার সামনের দিকে পথ চলা।
ফেসবুক পেইজ / sm-palash-pa. .
শিয়াল কুকুর নয়, বাঘের মতো বাচুন।। উন্নত জীবন পর্ব-৭।। এস এম পলাশhttps://www.youtube.com/watch?v=wVYS9...
এস এম পলাশ
মোবাইল: ০১৭২৬ ০৫০৫০৮
Информация по комментариям в разработке