Скачать или смотреть ৩৪ কোটি টাকার প্রকল্প বাস্তবায়নে অনিশ্চয়তা || 34 crore project uncertainty.

তাঁত শিল্পের জন্য প্রসিদ্ধ কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলা। এখানকার উৎপাদিত বস্ত্র বিশ^বাজারেও রয়েছে দারুন সুখ্যাতি। তবে কিছু প্রতিবন্ধকতায় কাঙ্খিত লক্ষ্য অর্জনে অন্তরায় মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। কুমারখালী তাঁতশিল্পকে আধুনিকায়ন করতে সরকার ৩৪ কোটি টাকার আধুনিক যন্ত্রাংশ কিনলেও তা বাস্তবায়নে দেখা দিয়েছে চরম অনিশ্চয়তা। কোটি কোটি টাকার এসব যন্ত্রাংশ দীর্ঘদিন ধরে অযত্ম অবহেলায় পড়ে আছে খোলা আকাশের নিচে। ফলে শংকা রয়েছে যন্ত্রাংশগুলো বিকল হওয়ার। এতে করে আশার আলো দেখা তাতঁ শিল্পে জড়িতদের মধ্যে বাড়ছে হতাশা। তাতঁ শিল্পের উন্নয়নে কোটি কোটি টাকার এসব মালামাল নষ্ট হওয়ার আগেই প্রতিস্থাপনের দাবী স্থানীয় সংসদ সদস্যসহ তাতঁশিল্পের সাথে জড়িতদের। এদিকে তাঁত বোর্ডের কর্মকর্তারা বলছেন, মালামালগুলো স্থাপনের জন্য কাজ করছেন তারা।

১৯৫৭ সালে কুষ্টিয়ায় তাঁতবোর্ড প্রতিষ্ঠা লাভ করে। তারও বহু আগে থেকে এখানকার মানুষ তাঁতশিল্পের সাথে সম্পৃক্ত। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে এখানকার উৎপাদিত পন্য সুখ্যাতি অর্জন করে আসলেও কাঙ্খিত লক্ষ্য অর্জনে খুব একটা ভুমিকা রাখতে পারছেনা। এর একটাই কারন আধুনিক যন্ত্রপাতি না থাকা। ঐতিহ্যবাহি কুমারখালীর তাঁতশিল্পকে আধুনিকরনের লক্ষ্যে ২০১৬ সালে ৩ বছর মেয়াদে একটি প্রকল্প গ্রহন করে সরকার। কাপড় রং করণ, মার্সা রাইজিং, সাইজিং, ক্যালেন্ডারিং, স্টেন্টারিং, ফোল্ডিং ইত্যাদি সেবা প্রদানের লক্ষ্যে এ প্রকল্পটি গ্রহন করা হয়। তবে ২০১৯ সালে এই প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও এখনো শেষ হয়নি অবকাঠামো উন্নয়নসহ আধুনীকরনের এসব কাজ। ইতিমধ্যে গত বছরের ডিসেম্বরে ৩৪ কোটি টাকার আধুনিক যন্ত্রাংশও এসেছে কুমারখালী তাঁত বোর্ডে। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে সেই ইলেক্ট্রনিক্স যন্ত্রাংশগুলো পড়ে আছে খোলা আকাশের নিচে। এতে করে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করছেন স্থানীয় তাঁতীরা। তারা বলছেন, এভাবে পড়ে থাকলে সরকারের কোটি কোটি টাকার এসব সম্পদ অকেজো হয়ে যাবে। যা তাদের কোন কাজেই আসবে না। কেন প্রকল্প বাস্তবস্থান হচ্ছেনা তা স্থানীয় তাঁতী সম্প্রদায়ের অজানা থাকলেও ব্যবসায়ীদের অভিযোগ কর্তৃপক্ষের খামখেয়ালীপনার কারনেই প্রকল্প বাস্তবায়নে দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা।

Kumarkhali Upazila of Kushtia is famous for weaving industry. The fabric produced here has a great reputation in the world market. However, the stakeholders feel that there are obstacles in achieving the desired goals. To modernize the Kumarkhali weaving industry, the government bought modern parts worth 34 crore rupees, but there is extreme uncertainty in its implementation. These parts worth billions of rupees have been lying under the open sky for a long time without proper care.As a result, there is a risk of component failure. By seeing the light of hope in this, the frustration is increasing among those involved in the industry. The demands of the local parliament members and those involved in the textile industry are to replace these goods worth crores of rupees before they are lost in the development of the textile industry. Meanwhile, the officials of the Textile Board say that they are working to install the goods. . As a result, there is a risk of component failure. By seeing the light of hope in this, the frustration is increasing among those involved in the industry.The demands of the local parliament members and those involved in the textile industry are to replace these goods worth crores of rupees before they are lost in the development of the textile industry. Meanwhile, the officials of the Textile Board say that they are working to install the goods.
In 1957, the loom board was established in Kushtia. People here are involved in weaving since long before that. Even though the products produced here are well-known at the national and international level, they are not able to play a role in achieving the desired goals. The only reason for this is lack of modern equipment.In 2016, the government took a 3-year project to modernize the traditional weaving industry of Kumarkhali. This project was undertaken to provide services such as fabric dyeing, marsa raising, sizing, calendering, stentering, folding etc. However, although this project is scheduled to expire in 2019, these modernization works including infrastructure development have not been completed yet.Meanwhile, in December last year, modern parts worth Tk 34 crore have also arrived at the Kumarkhali Weaving Board. But for a long time those electronic parts are lying under the open sky. The local weavers are expressing extreme anger. They are saying that if this is the case, the resources of the government worth crores of rupees will become useless. Which will do them no good. Why the project is not materializing is unknown to the local weaving community..