Скачать или смотреть মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক কর্নেল এমএজি ওসমানী (সতর তম পর্ব)।(1)

১৭ তম পর্ব।

রাষ্ট্রপতি প্রতিরক্ষা পরামর্শদাতা

আসসালামু আলাইকুম।
শ্রদ্ধেয় দর্শক প্রিতি ও শুভেচ্ছা নিন। করোনাকালীন কঠর লক ডাউনের ভিতরে যে যেখানে থাকুন না কেন সবাই ভাল থাকুন, সুস্থ থাকুন।

সুপ্রিয় দর্শক।
এমএজি ওসমানী ১৯৭৫ সনের ১৫ই আগস্ট হত্যাকাণ্ডকে সমর্থন করেননি, এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অযৌক্তিক সমালোচনা সহ্য করেননি। তিনি খোন্দকার মোস্তাক আহমদের কাছে প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা (মন্ত্রিসভার মন্ত্রীর সমতুল্য) পদ গ্রহণ করেছিলেন, যিনি ১৫ ই আগস্ট অভ্যুত্থানের পরে রাষ্ট্রপতি হিসাবে দায়িত্ব নিয়েছিলেন এবং এতে জড়িত থাকতে পারেন। মোশতাক সরকারকে এড়াতে পরামর্শকে অবহেলা করা এমএজি ওসমানী ১৯৭৫ সনের ২৪শে আগস্ট জিয়াউর রহমানকে সেনা প্রধান অব স্টাফ নিযুক্ত করার পরে এবং খলিলুর রহমান প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের চিফ অফ স্টাফ হওয়ার পরে এই পদে নিয়োগ পান। যদিও এটি মন্ত্রিপরিষদের পদ ছিল,এম এজি ওসমানী কোনও বেতন পাননি। তিনি শৃঙ্খলা ও মনোবলের প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দিয়ে সেনাবাহিনীর বেশ কয়েকটি গঠনতন্ত্র পরিদর্শন করেছিলেন এবং সশস্ত্র বাহিনীর উপর তার প্রভাব নিয়ে আরও রক্তক্ষয় প্রতিরোধের প্রত্যাশা করেছেন। প্রতিরক্ষা পরামর্শক হিসাবে, তিনি ১৫ই আগস্ট অভ্যুত্থানের নেতাদের পদোন্নতি বা অভ্যুত্থানে জড়িত অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তাদের পুনঃস্থাপনের বিরোধিতা করেননি ।

প্রিয় দর্শক।
সেনাবাহিনী কমান্ড অব কমান্ডকে অবহেলা করে অভ্যুত্থান নেতারা বঙ্গভবনে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন, এবং এমএজি ওসমানী পরিস্থিতি গ্রহণ করেছিলেন। ১৯ ৭৫ সনের অক্টোবরে জিয়াউর রহমান সেনাবাহিনীতে রক্ষিবাহিনী গঠনকে সেনাবাহিনীতে সংহত করার অনুমোদন পাওয়ার আগে তিনি জাতিয় রক্ষিবাহিনীকে ভেঙে দেওয়ার সিদ্ধান্তটি বাস্তবায়নের চেষ্টা করেছিলেন। ১৯৭৫ সনের অক্টোবরে জিয়াউর রহমান সেনাবাহিনীতে রক্ষী বাহিনী গঠনের একত্র করণের অনুমোদন লাভ করেন। ২ য় ফিল্ড আর্টিলারি ইউনিট (১৫ই আগস্ট অভ্যুত্থানের সাথে জড়িত) এবং সেনা শৃঙ্খলা বাহিনীর বাইরে মোতায়েন করা হয়েছিল। তাদের ক্রিয়াকলাপ, কমান্ডের শৃঙ্খলার দুর্বলতা প্রদর্শন করে একটি ডি ফ্যাক্টো সমান্তরাল কমান্ড কাঠামো তৈরি করেছিল।

দর্শক।
খালেদ মোশাররফ যখন ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে চারজন রাজনৈতিক নেতার হত্যার বিষয়টি জানতে পেরেছিলেন, তখন তিনি এবং কিছু কর্মীরা শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর আলোচনার জন্য বঙ্গভবনে গিয়েছিলেন। খন্দকার মোশতাক ও এমএজি ওসমানী দিনটি আলোচনায় কাটিয়েছিলেন এবং শাফাত জামিল মোশাররফের সাথে দেখা করতে বঙ্গভবনে এসেছিলেন। তিনি এবং তাঁর সৈন্যরা যখন সভাকক্ষে প্রবেশ করছিলেন, তিনি মুশতাককে মোশাররফকে দেখছিলেন শুনেছিলেন: "আমি অনেক ব্রিগেডিয়ার এবং পাকিস্তান সেনাবাহিনীর জেনারেলকে দেখেছি! আমাকে শেখানোর চেষ্টা করবেন না।") এতে ১ম বেঙ্গল কোম্পানির সিও রেগে যায়, যিনি তার বন্দুক টেনে বলেছিলেন: " এখন আপনি সেনাবাহিনীকে দেখতে পাবেন।" মোশতাক মেঝেতে নামলেন, এমএজি ওসমানী তার এবং অফিসারদের মাঝে দাঁড়িয়ে শাফাত জামিলকে আদেশ ফিরিয়ে আনতে বললেন। মোশতাকের পদত্যাগ ও নতুন সরকার গঠনের পরে এমএজি ওসমানী পদত্যাগ করেন।

শ্রদ্ধেয় দর্শক!
আমার জ্ঞান সীমিত ও নগন্য। ক্ষুদ্র জ্ঞানে এত বড় বেক্তির ও বড় মাপের মানুষের জীবনি বর্ণনা করা খুবই কষ্টকর বটে, তবুও আমার এই লেখাতে যদি আমি তথ্যগত কোন ভুল করে থাকি বা লিখনীর মাধ্যমে কাহারোও মনে কোন ব্যথা দিয়ে থাকি বা পেয়ে থাকেন তবে নতুন হিসাবে ক্ষমা করে দিবেন। আমার ভূলগুলি শুধরে নিবার চেষ্টা করব ইনশাল্লা । আমি সবার কাছে দোঁয়া ও ক্ষমা প্রার্থনা করছি।

অনুষ্ঠানটি অন্যদের দেখার সুযোগ করে দিতে অবশ্যই লাইক,শেয়ার ও আপনার মতামত দিন। সবার আগে নতুন অনুষ্ঠান দেখতে আপনার পাশে থাকা বেল আইকনটি বাঁজাতে ভুলবেন না আশাকরি।

সরকারী নির্দেশনা মেনে চলুন। মাস্ক ব্যবহার করুন। সবাই সুস্থ ও ভাল থাকুন। আবার কথা হবে নতুন কোন অনুষ্ঠান নিয়ে এই প্রত্যাশায় এখানেই বিদায় নিচ্ছি। ধন্যবাদ সবাইকে। আল্লাহ হাফেজ।
RS TV র পক্ষে
( মোঃ রেজাউল করিম )।