কোয়েলের ডিম আসলে কতটা স্বাস্থ্য উপকারি ও পুষ্টিগুণ কি কি? কোয়েল পাখির ডিমের উপকারিতা জেনে অবাক হবেন

কোয়েলের ডিম অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতা প্রদান করে। এটি পুষ্টির দিক থেকে খুবই সমৃদ্ধ এবং বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। কোয়েল পাখির ডিমের কিছু প্রধান উপকারিতা নিচে উল্লেখ করা হলো:

১. প্রোটিনের ভালো উৎস
কোয়েলের ডিমে প্রোটিনের পরিমাণ অনেক বেশি, যা আমাদের শরীরের কোষ গঠন এবং মেরামতের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এটি বিশেষত শারীরিক গঠন বৃদ্ধি এবং পেশির শক্তি বৃদ্ধির জন্য উপকারী।

২. ভিটামিন এবং খনিজ
কোয়েলের ডিমে ভিটামিন A, B, D, E এবং খনিজ যেমন ফসফরাস, আয়রন, ক্যালসিয়াম এবং পটাসিয়াম রয়েছে। এই পুষ্টি উপাদানগুলি শরীরের শক্তি বৃদ্ধি, হাড়ের স্বাস্থ্য এবং রক্ত সঞ্চালনসহ আরও অনেক শারীরিক কার্যক্রমে সাহায্য করে।

৩. হজম শক্তি বৃদ্ধি
কোয়েল পাখির ডিম হজমে সহায়ক। এটি পাকস্থলীর কার্যক্ষমতা উন্নত করে এবং গ্যাস্ট্রিক সমস্যা যেমন অ্যাসিডিটি, পেটের গ্যাস, ইত্যাদি কমাতে সহায়তা করতে পারে।

৪. চুল এবং ত্বক
কোয়েলের ডিমের ভিটামিন এবং খনিজ চুলের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। এটি চুল পড়া কমাতে এবং নতুন চুল গজাতে সহায়ক হতে পারে। ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে এবং বয়সের ছাপ কমাতে সাহায্য করে।

৫. রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি
কোয়েলের ডিমে উপস্থিত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অন্যান্য পুষ্টি উপাদান রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। এটি সাধারণ ঠাণ্ডা, সর্দি, ফ্লু ইত্যাদি থেকে রক্ষা করতে সহায়ক হতে পারে।

৬. হৃৎপিণ্ডের স্বাস্থ্য
কোয়েলের ডিমে থাকা কিছু উপাদান হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। এটি কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়ক হতে পারে, তবে এটি সঠিক পরিমাণে খাওয়া উচিত।

৭. ওজন কমাতে সাহায্য
কোয়েলের ডিমে কম ক্যালোরি এবং প্রচুর প্রোটিন থাকার কারণে এটি ওজন কমানোর জন্য উপকারী হতে পারে। এটি দীর্ঘ সময় ক্ষুধা নিবারণ করতে সাহায্য করে, যা ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়ক।

৮. ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ
কোয়েলের ডিমে গ্লাইসেমিক ইনডেক্স খুব কম, তাই এটি ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য একটি ভাল খাবার হতে পারে। এটি রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।

তবে, কোয়েলের ডিম খাওয়ার আগে সতর্ক থাকতে হবে, বিশেষ করে যাদের অ্যালার্জি বা অন্য কোনো স্বাস্থ্য সমস্যা রয়েছে। পরিমাণ মতো খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।