Скачать или смотреть Fever Medicine | Dengue Fever Treatment | Chikungunya Treatment Bangla

মেডিলাইভের ২২৭৫ তম পর্বের বিষয় "সাম্প্রতিক সময়ের জ্বর:: লক্ষন, কারন, ব্যবস্থাপনা-করণীয় ও বর্জনীয়", সাথে থাকছেনঃ

লিভার, মেডিসিন ও পরিপাকতন্ত্র রোগ বিশেষজ্ঞ
ডাঃ মইনুদ্দিন আহমেদ
এমবিবিএস, বিসিএস, এফসিপিএস (মেডিসিন)
এমআরসিপিএস (গ্লাসগো), এমডি (হেপাটোলজি)
বিভাগীয় প্রধান (মেডিসিন)
কুড়িগ্রাম ২৫০ বেড জেনারেল হসপিটাল

জ্বর (Fever) হলো শরীরের একটি স্বাভাবিক প্রতিক্রিয়া, যা কোনো রোগ বা সংক্রমণের বিরুদ্ধে শরীর লড়াই করার সময় দেখা দেয়। প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে শরীরের তাপমাত্রা ৯৯-৯৯.৯° ফারেনহাইট বা ৩৭.২-৩৭.৭° সেলসিয়াস হলে তাকে হালকা জ্বর ধরা হয়। ১০০.৪° ফারেনহাইট বা ৩৮° সেলসিয়াস বা তার বেশি তাপমাত্রা হলে তাকে জ্বর হিসেবে গণ্য করা হয়।

জ্বরের কারণ

জ্বর কোনো রোগ নয়, বরং রোগের একটি লক্ষণ। বিভিন্ন কারণে জ্বর হতে পারে। কিছু সাধারণ কারণ হলো:

*ভাইরাস সংক্রমণ:* সর্দি-কাশি, ফ্লু, ডেঙ্গু, চিকেনপক্স ইত্যাদি।
*ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ:* টাইফয়েড, নিউমোনিয়া, মূত্রনালীর সংক্রমণ (UTI) ইত্যাদি।
*পরজীবী সংক্রমণ:* ম্যালেরিয়া।
*প্রদাহজনিত রোগ:* রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস (rheumatoid arthritis)।
*ভ্যাকসিন:* কিছু ভ্যাকসিন নেওয়ার পর সাময়িক জ্বর আসতে পারে।
*অন্যান্য স্বাস্থ্যগত অবস্থা:* কিছু ক্ষেত্রে ক্যান্সার বা থাইরয়েডের সমস্যাতেও জ্বর হতে পারে।

---

জ্বরের লক্ষণ

জ্বর হলে সাধারণত যেসব লক্ষণ দেখা যায়:

শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি।
মাথাব্যথা।
গায়ে ব্যথা ও দুর্বলতা।
ঠান্ডা লাগা বা কাঁপুনি।
ঘাম হওয়া।
ক্ষুধা কমে যাওয়া।
পানি পিপাসা বৃদ্ধি।

---

কখন ডাক্তারের কাছে যাবেন?

বেশিরভাগ ক্ষেত্রে হালকা জ্বর ঘরোয়া চিকিৎসায় সেরে যায়। তবে কিছু পরিস্থিতিতে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত:

তাপমাত্রা ১০৩° ফারেনহাইট (৩৯.৪° সেলসিয়াস) এর বেশি হলে।
জ্বর যদি ২-৩ দিনের বেশি স্থায়ী হয়।
জ্বরের সাথে যদি শ্বাসকষ্ট, বুকে ব্যথা, প্রচণ্ড মাথাব্যথা, বমি, র‍্যাশ, ঘাড় শক্ত হয়ে যাওয়া, প্রস্রাবের সময় জ্বালা ইত্যাদি গুরুতর লক্ষণ থাকে।
যদি কোনো শিশু বা বয়স্ক ব্যক্তির জ্বর হয়, তবে দ্রুত চিকিৎসকের সাথে যোগাযোগ করা উচিত।

---

জ্বরের ঘরোয়া চিকিৎসা

চিকিৎসকের পরামর্শের পাশাপাশি কিছু ঘরোয়া পদ্ধতি অনুসরণ করে জ্বর নিয়ন্ত্রণ করা যেতে পারে:

*বিশ্রাম:* পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিলে শরীর দ্রুত সুস্থ হতে পারে।
*জলীয় খাবার:* প্রচুর পরিমাণে পানি, ফলের রস, স্যুপ বা ডাবের পানি পান করুন, কারণ জ্বর হলে শরীর দ্রুত পানিশূন্য হয়ে যেতে পারে।
*পাতলা কাপড় পরা:* খুব বেশি মোটা কাপড় পরবেন না। পাতলা ও আরামদায়ক পোশাক পরুন।
*কুসুম গরম পানি দিয়ে শরীর মোছা:* কপালে ঠান্ডা জলপট্টি অথবা কুসুম গরম পানি দিয়ে শরীর মুছে দিলে তাপমাত্রা কিছুটা কমে আসতে পারে।
*ঔষধ:* চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী প্যারাসিটামল বা আইবুপ্রোফেন (ibuprofen) জাতীয় ঔষধ সেবন করতে পারেন। তবে চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কোনো ঔষধ খাবেন না।

জ্বরকে অবহেলা না করে এর কারণ খুঁজে বের করা এবং সে অনুযায়ী সঠিক চিকিৎসা নেওয়া জরুরি।