নদীয়ার রানাঘাটের শ্রী শ্রী জহুরা কালী মন্দির

Описание к видео নদীয়ার রানাঘাটের শ্রী শ্রী জহুরা কালী মন্দির

রানাঘাটের মাঠের পাড়া নিবাসী শিবকিশোর নন্দীর পুত্র যুগলকিশোর নন্দী প্রায়শই মাকে স্বপ্নে দেখতেন । মা জহুরা কালী প্রাযই তার কাছে পূজা চাইতেন । একদা যুগলকিশোর মাকে বলেন , আমরা অতীব গরীব ,তোমার পূজা দেব কীভাবে ? তবে তুমি যদি ফুল আর জলে পূজা নিযে সন্তুষ্ট থাকো তাহলে আমার পক্ষে তা সম্ভব হবে । মা জহুরা কালী খুশী হযে বলেন , তুই যেভাবেই আমার পূজা দিবি , আমি সেভাবেই গ্রহণ করবো । এভাবেই চলতো মায়ের পূজা । পরবর্তীকালে এখানে মন্দির প্রতিষ্ঠিত হয় । দীপান্বিতা কালীপূজার দিন মায়ের উদ্বোধন হয় । সেই থেকে প্রতি বছরই কার্তিক মাসে এই সময় মায়ের অন্নমহোতসব হয় । মন্দিরের পাশেই একটা বড়ো কাঁঠাল গাছে ভক্তরা মনোস্কামনা ঢিল বেঁধে দেন । মনোস্কামনা পূর্ণ হলে নিজ হাতে মাকে পূজা দিয়ে যান । এই মন্দিরের বিশেষতঃ হলো এই মন্দিরে কোনো ব্রাহ্মণ পুরোহিত নেই । ভক্তরা ভক্তিভরে নিজ হাতেই পূজা দিতে পারেন । এখানে সবাই মাকে স্পর্শ করে প্রণাম করার সুযোগ পান । এখানে মা জহুরা কালী শবশিবের উপর স্থাপিত নন, এখানে তিনি একটি স্তূপের উপর স্থাপিত । এখানে মা ত্রিমুখ অর্থাত্ এখানে মায়ের তিনটি মুখ । মায়ের মুখ এখানে রক্তবর্ণ । মা এখানে ভয়ঙ্করী । ফুলবেলপাতায আচ্ছাদিত হযে থাকে মায়ের স্তূপ ও ত্রিমুখ । মা এখানে খুবই জাগ্রত । সকল ভক্তের সকল মনোস্কামনা পূর্ণ করেন । মন্দিরের ডানদিকে রয়েছে গ্রহরাজের মন্দির । প্রতি শনিবার এই গ্রহরাজের মন্দিরে পূজা হয় । একটি শিবমন্দিরও আছে এখানে । ভক্তরা বাবা মহাদেবকে ভক্তিভরে নিজ হাতে বেলপাতা ,আকন্দ ফুল , ধুতুরা ফুল , কল্কে ফুল , গঙ্গাজল দিয়ে পূজা করেন এবং শ্বেত আকন্দ ফুলের মালা পরিয়ে দেন ।

Комментарии

Информация по комментариям в разработке