Скачать или смотреть বাঘবিয়ানী ঝর্ণা,নাপিত্তাছড়া ট্রেইল || Baghbiyani falls,Napittachora Trail

নাপিত্তা ছড়া ট্রেইল

এটি মূলত একটি ঝিরি ট্রেইল। ট্রেইলটির নাম নাপিত্তাছড়া। এই ঝিরিতে ঝর্ণা , ক্যাসকেড ও খুম আছে। ট্রেইল টি অনেক সুন্দর । একটু হাঁটা হাটির অভ্যাস থাকলে যে কেউ যেতে পারবেন। এক দিনের ট্রেইল। টিপরা খুম – কুপিকাটা খুম – বাঘ বিয়ানী ঝর্ণা – বান্দরখুম ঝর্না এর মূল আকর্ষণ। এক ট্রেইলেই এই সব গুলো দেখতে পারবেন।

কিভাবে যাবেনঃ ঢাকা থেকে গেলে মিরসরাই মূল স্ট্যান্ড পার হয়ে নয়দুয়ারী বাজার নামতে হবে। আর চট্রগ্রাম থেকে গেলে সীতাকুন্ড পার হয়ে নয়দুয়ারী বাজার আসতে হবে। নয়দুয়ারী বাজার থেকে পূর্ব দিকের রাস্তা ধরে গেলে রেল লাইন পরবে। রেল লাইন পার হলে একটি গ্রাম পড়বে। এই গ্রামের নাম নাপিত্তা ছড়া পাড়া। হয়তো ট্রেইলের নাম অনুসারে গ্রামের নাম নাপিত্তাছড়া বা এর উল্টোটাও হতে পারে। এখান থেকে ঝিরি ও পাহাড়ি পথে ট্রেকিং করে যেতে হবে। প্রথমে পরবে টিপরা খুম । এটি একটি ক্যাসকেড। পাশেই পাহাড়ের উপরে উজালিয়া পাড়া। এটি একটি ত্রিপুরা পাড়া। যদি বৃষ্টি বেশী হয় বা পানির ঢল বেশী থাকে তাহলে ঝিরি ধরে টিপরা খুমে আসা কিছুটা ঝুঁকি পূর্ন হতে পারে। সে ক্ষেত্রে আপনি বাম পাশে পাহাড়ের উপরের উজালিয়া পাড়া হয়ে টিপরা খুমে নামতে পারবেন। টিপরা খুম এর বাম পাশ দিয়ে উপরে উঠলেই কুপিকাটা খুম। কুপিকাটা খুমের ডান পাশ দিয়ে পাহাড়ে উঠে আবার ঝিরিতে নেমে ঝিরি ধরে এগুতে থাকলে হাতের বামে একটি ঝিরি পড়বে । এই ঝিরি ধরে ২০ মিনিটের মত গেলে ঝিরি মুখে বাঘ বিয়ানী ঝর্ণা দেখতে পাবেন। ঝর্ণা দেখে আবার মুল ঝিরিতে এসে ঝিরি ধরে সামনের দিকে গেলে পাবেন বান্দর খুম ঝর্ণা। এটিই এই ট্রেইলের মূল ঝর্ণা। এটিকে অনেকেই নাপিত্তা ছড়া ঝর্ণা বলে। নাপিত্তা ছড়া ঝর্ণা বলাটাই আমার মতে বেশী যুক্তিযুক্ত। আর স্থানীয়দের বিভিন্ন জন বিভিন্ন নাম বলে বিভ্রান্তির সৃষ্টি করেছে। প্রয়োজন মনে করলে নয়দুয়ারী বাজার থেকে লোকাল লোক / গাইড নিয়ে যেতে পারবেন। ছবি গুলো কোমেনের ( ঘুর্নিঝড় ) দিনের। প্রবল বাতাস , বৃষ্টি ও ঢল থাকায় আমাদের পুরো ট্রেইল শেষ করতে প্রায় ৬ ঘন্টা লেগে যায়। বৃষ্টি না থাকলে আপনি ইচ্ছে করলে একদিনে এই ট্রেইলের সাথে অন্য কোন একটি ট্রেইলও ঘুরে আসতে পারবেন।

কি দিয়ে যাবেনঃ
ঢাকা থেকে চট্রগ্রাম গামী যে কোন বাসে মিরসরাই বা সীতাকুন্ডে যেতে পারবেন। শ্যামলী ,সাউদিয়া ,হানিফ ,ঈগল সহ অনেক পরিবহনের বাস যায়। ভাড়া ৪৮০ টাকা নন এসি। এছাড়া ট্রেনে চট্রগ্রাম নেমে আসতে পারবেন। চট্রগ্রামের শুভপুর বা অলংকার থেকে বাসে সীতাকুন্ড বা মিরসরাই যেতে পারবেন।

কোথায় থাকবেনঃ শুধু এই ট্রেইলে গেলে রাতে থাকার প্রয়োজন নাই। সাথে অন্য কিছু দেখলে বা থাকতে চাইলে থাকবেন। সীতাকুন্ডে ভাল মানের থাকার তেমন হোটেল নেই। বাজারের মধ্যে কয়েকটি হোটেল আছে । হোটেল সাইমুন, ভাড়া ৩০০-৫০০ টাকা। যোগাযোগঃ ০১৮২৭৩৩৪০৮২, ০১৮২৫১২৮৭৬৭ । এছাড়া সরকারী প্রতিষ্ঠানের ডাকবাংলো আছে। এছাড়া বারৈয়ারহাট থাকতে পারবেন । গোল্ডেন নামে আবাসিক হোটেল ও জাহেদ নামে একটি বোর্ডিং আছে। একটু ভাল মানে থাকতে চাইলে ভাটিয়ারী থাকতে পারবেন। এখানে দুইটি আবাসিক হোটেল আছে।

কোথায় খাবেনঃ সীতাকুন্ডে কয়েকটি খাবার হোটেল আছে। আল আমীন হোটেলটির খাবারের মান ও পরিবেশ চমৎকার । দামও নাগালের মধ্যে ।

© Nizam uddin