মুখ গহ্বরের ক্যান্সার কি লক্ষণ ও প্রতিরোধ
অধ্যাপক ডা. আলীয়া শাহনাজ
ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ, অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান, রেডিওথেরাপী বিভাগ
ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল
বাংলাদেশ ইএনটি হাসপাতাল লিঃ
৪/১-এ সোবাহানবাগ, ঢাকা-১২০৭
এপয়েন্টমেন্টঃ 01717250667, 02 8142959
ভিডিওটিতে প্রফেসর আলিয়া শাহনাজ মুখ গহ্বরের ক্যান্সার সম্পর্কে আলোচনা করেছেন। তিনি এই ক্যান্সারের কারণ, ঝুঁকিপূর্ণ ব্যক্তি এবং চিকিৎসার বিভিন্ন দিক তুলে ধরেছেন। এখানে মূল বিষয়গুলো হলো:
মুখ গহ্বরের ক্যান্সার কী: মুখ গহ্বরের ক্যান্সার ঠোঁট, মাড়ি, তালু, জিহ্বা, জিহ্বার নিচের অংশ, এবং মুখের ভেতরের ঝিল্লি ও গ্রন্থিতে হতে পারে [00:34]।
কেন এটি জানা জরুরি: এটি একটি গুরুতর রোগ, যার চিকিৎসা হলেও রোগীরা সম্পূর্ণভাবে পূর্বাবস্থায় ফিরে যেতে পারেন না এবং কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থেকে যায় [01:25]।
ঝুঁকিতে কারা আছেন: যারা পান, জর্দা, সাদা পাতা, গুল, সিগারেট, তামাক এবং তামাকজাত দ্রব্য সেবন করেন, এবং অ্যালকোহল গ্রহণ করেন, তাদের এই ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে [02:14]।
চিকিৎসা পদ্ধতি: ক্যান্সারের প্রাথমিক পর্যায়ে সার্জারিই প্রধান চিকিৎসা [03:06]। তবে অনেক সময় কেমোথেরাপি, রেডিওথেরাপি, টার্গেটেড থেরাপি বা ইমিউনোথেরাপিরও প্রয়োজন হতে পারে [03:22]।
পরিসংখ্যান: গ্লোবোকান ২০২২ এর তথ্য অনুযায়ী, এই ক্যান্সারে আক্রান্তদের মধ্যে ৭৩% মহিলা এবং ১১৪% পুরুষ রোগী আছেন [02:34]।
সবশেষে, তিনি দর্শকদের তামাক ও তামাকজাত দ্রব্যসহ অন্যান্য ক্ষতিকর অভ্যাস পরিহার করার পরামর্শ দেন, যাতে এই রোগ থেকে দূরে থাকা যায় [03:46]।
মুখ গহ্বরের ক্যান্সার হলো এক ধরনের ম্যালিগন্যান্ট টিউমার, যা ঠোঁট, মাড়ি, জিহ্বা, জিহ্বার নিচের অংশ, মুখের ভেতরের ঝিল্লি, এবং তালুতে হতে পারে। এটি একটি গুরুতর রোগ, যা সময় মতো নির্ণয় ও চিকিৎসা না করা হলে প্রাণঘাতী হতে পারে।
এই ক্যান্সারের অন্যতম প্রধান কারণ হলো তামাক ও তামাকজাত দ্রব্যের ব্যবহার। যারা পান, জর্দা, সাদা পাতা, গুল, সিগারেট বা অন্যান্য তামাকজাত দ্রব্য সেবন করেন, তাদের এই রোগ হওয়ার ঝুঁকি অনেক বেশি। এছাড়া, অতিরিক্ত অ্যালকোহল সেবনও এই ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায়। অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস এবং মুখের স্বাস্থ্যবিধির প্রতি উদাসীনতাও কিছু ক্ষেত্রে এর জন্য দায়ী হতে পারে।
মুখ গহ্বরের ক্যান্সারের কিছু সাধারণ লক্ষণ রয়েছে, যা প্রাথমিক পর্যায়ে শনাক্ত করা জরুরি। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো: মুখের ভেতরে এমন কোনো ঘা বা ক্ষতের সৃষ্টি যা সহজে শুকায় না, মুখের ভেতরে সাদা বা লাল ছোপ ছোপ দাগ, মাড়ি বা জিহ্বায় ফোলা বা পিণ্ড, দাঁত নড়ে যাওয়া, এবং খাবার গিলতে অসুবিধা হওয়া। যদি এই ধরনের কোনো লক্ষণ দেখা যায় এবং তা দুই সপ্তাহের বেশি স্থায়ী হয়, তবে অবিলম্বে একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
এই রোগের চিকিৎসা প্রাথমিক পর্যায়ে সাধারণত সার্জারির মাধ্যমে করা হয়। তবে, ক্যান্সারের ধরন এবং বিস্তারের উপর নির্ভর করে কেমোথেরাপি, রেডিওথেরাপি, টার্গেটেড থেরাপি বা ইমিউনোথেরাপির মতো অন্যান্য চিকিৎসারও প্রয়োজন হতে পারে। সফল চিকিৎসার পরেও অনেক ক্ষেত্রে রোগীর কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থেকে যায়।
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা। তামাক ও তামাকজাত দ্রব্য এবং অ্যালকোহল সেবন সম্পূর্ণরূপে বর্জন করা এই রোগ প্রতিরোধের প্রধান উপায়। নিয়মিত মুখের যত্ন নেওয়া এবং প্রাথমিক লক্ষণগুলো সম্পর্কে সচেতন থাকা এই রোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।
oral cancer,oral cancer treatment,mouth cancer,oral cancer symptoms,signs of oral cancer,oral cancer screening,cancer,oral cancer causes,oral cancer surgery,early signs of oral cancer,what is oral cancer,oral cancer risks,oral cavity cancer,oral cancer stages,oral cancer warning signs,warning signs of oral cancer,performing oral cancer exam,mouth cancer symptoms,early signs of mouth cancer,cancer treatment,how oral cancer screenings are performed
Информация по комментариям в разработке