২০১৮ সালের ভয়ানক ফেৎনাহ তারাও যারা কাবার দৈনিক ১৭ রাকাত,জুমায় ২ রাকাত ও রমজানের একমাসের এশার বেতের ও ২০ রাকাত তারাবি মিলে মোট ২৭ রাকাত নামাজের বিপক্ষে জাকির নায়েকের মতো,সালাফি শায়েখদের মতো ও তথাকথিত কুরানিস্টদের পক্ষ হতে কুরআন বিরোধী প্রোপাগান্ডা ছড়াচ্ছেন।
এমন কি রাশাদ খলিফার ভক্তরাও। আবার যারা বলছেন রোজা মোট ১০ টি তারাও।
৪/১১৫ আয়াত মতে মুমিন সমাজের দৈনিকের আমল শুরু যুগ থেকে ২/১২৫ আয়াত মতে কাবাতে চলে আসা বিধান সঠিক নয় বলে ফতোয়া দিচ্ছেন বাঙালি সমাজের কতিপয় কুরআনের কিছু শত্রুরা।
১,কুরআনের এই শত্রুরা মানে না ৩/৯৬ আয়াত মতে কাবাকে হেদায়েতের মারকাজ।
২,কুরআনের এই শত্রুরা মানে না ২/১২৫ আয়াত মতে কাবার দৈনিকের ১৭ রাকাত,জুমায় ২ রাকাত ও রমজান মাসের একমাস এশায় বেতের ও তারাবি নিয়ে মোট ২৭ রাকাত নামাজ।
৩,কুরআনের এই শত্রুরা মানে না ৩/৯৫ আয়াত মতে বাবা ইব্রাহিমের মিল্লাতের পথ।
৪,কুরআনের এই শত্রুরা মানে না ৩/৯৬ আয়াত মতে কাবাকে পাক পবিত্র ঘর।
৫,কুরআনের এই শত্রুরা মানে না ২/১২৪ আয়াত মতে পিতা ইব্রাহিমকে সকল মানুষের ইমাম।
৬,কুরআনের এই শত্রুরা মানে না ২/১২৫ আয়াত মতে কাবার ইমামতির স্থান থেকে কায়েমকৃত ৫ ওয়াক্তের নামাজ ও তার রুকু,সেজদা,কায়েদা ও কিয়ামের বিধান।
৭,কুরআনের এই শত্রুরা মানে না ৫/৫৮ আয়াত মতে কাবাতে দেওয়া বাবা ইব্রাহিমের আজান ও ইকামাত।
৮,কুরআনের এই শত্রুরা মানে না ২/১৪৯,১৫০ আয়াত মতে কাবাকে ডিরেকশনের মারকাজ।
৯,কুরআনের এই শত্রুরা মানে না ২১/৭৩ আয়াত মতে সকল নবী রাসূলদের কায়েম করা রেগুলারের ১৭ ও রমজানের এশার ২৭ রাকাত নামাজের প্রাকটিস।
১০,কুরআনের এই শত্রুরা মানে না ৬০/৪ আয়াত মতে বাবা ইব্রাহিমের ও সকল নবী রাসূলদের উসওয়ায়ে হাসানা।
কুরআনের এই শত্রুরা নামাজকে বাদ দিয়ে শ্লোগান লাগাচ্ছে
রোজা মোট ১০ টি,
তাই তারা মাসজিদুল হারামের আমলগুলিকে নাকচ করতে পেরে নিজেদেরকে ধন্য মনে করছে।
তাই তারা ৫ ওয়াক্তের নামাজকে ও রোজা থেকে ২০ টি রোজাকে
কুরআন থেকে ডিলিট করে দিয়েছে।
আবার এরা নিজেদেরকে বলছে এরা নাকি কুরানিস্ট,
মূলত এরাই হলো এন্টি কুরানিষ্ট।
২/১২৫ আয়াতের বিপক্ষে যেয়ে স্বাধীন বাংলাদেশে হেযবুত তাওহীদ যেমন কাবার নামাজের বিরুদ্ধে দেশের মূর্খ জনতাদেরকে দাঁড় করাচ্ছে তদ্রুপ করছে এই কুরআনের শত্রুরাও।
এবার আসুন রোজার ব্যাপারে এদের গার্বেজি ও পরভেজী মতবাদ কোন কোন আয়াতের বিপক্ষে দেখে নিই,
৯/৩৬ আয়াত বলে ১২ টি মাসে এক বৎসর হয়।
এই এক বৎসরে রয়েছে ৩৬৫ দিন।
এই ৩৬৫ দিনগুলির মধ্যে ২৯ অথবা ৩০ সংখ্যা হলো আইয়ামাম মাদুদাত।
২/১৮৩ আয়াতে আল্লাহ বলছেন,
আল্লাহ্ সিয়াম সাধনা করতে বলেছেন, যেন মানুষ মুমিন মুত্তাকিন হতে পারে,,,,
২/১৮৪ আয়াত মতে সিয়াম হলো নির্দিষ্ট কয়েকদিন মাত্র।
২/১৮৭ আয়াত মতে এতেকাফ, রোজা ভঙ্গের কারণ ও রাত পর্যন্ত
সিয়াম পূর্ণ করতে বলেছেন আল্লাহ।
২/১৮৪ আয়াত মতে গণনাকৃত সময়, পীড়িত ও ভ্রমণ কারীদের রোজার ব্যাপারে আল্লাহ বলে দিয়েছেন।
৩৬৫ দিনের মধ্যে মোট রোজা হলো ২৯ দিন অথবা ৩০ দিন।
২/১৮৫ আয়াতে বলা হয়েছে,
সুতরাং তোমাদের মধ্যে যে কেউ এ মাস পাবে সে যেন এ মাসে রোজা রাখে।
যারা ২/১৯৭ আয়াত মতে ১২ মাসের মধ্যে ৪ মাস বুঝতে সক্ষম তাদের জন্য ২/১৮৪ আয়াতে রোজার ব্যাপারে ২৯ দিন অথবা ৩০ দিনও বোঝা সম্ভব।
যেসকল কুরানিস্টরা বুখারীর গার্বেজি মতবাদের বিপক্ষে কাজ করছেন আমরা মুসলিমরা তাদেরকে ধন্যবাদ জানাই কিন্তু কাবার ব্যাপারে ও আয়াতের বিপক্ষে তাদের কোনো কথা শোনা হবে না এবং মানা হবে না।
এর পরেও এই জগতে একজন আস্তিক আর একজন নাস্তিককে ১৮/২৯ আয়াত মতে আল্লাহ স্বাধীনতা দিয়েছেন,
আল্লাহ বলছেন,
বল, সত্য তোমাদের রবের নিকট হতে প্রেরিত; সুতরাং যার ইচ্ছা বিশ্বাস করুক এবং যার ইচ্ছা প্রত্যাখ্যান করুক;
আমি সীমা লংঘনকারীদের জন্য প্রস্তুত রেখেছি অগ্নি, যার বেষ্টনী তাদেরকে পরিবেষ্টন করে থাকবে;
তারা পানীয় চাইলে তাদেরকে দেয়া হবে গলিত ধাতুর ন্যায় পানীয়, যা তাদের মুখমন্ডল বিদগ্ধ করবে, কত নিকৃষ্ট পানীয় এটা এবং অগ্নি কত নিকৃষ্ট আশ্রয় !
২/২৬ আয়াতকে সামনে রেখে আল্লাহ আমাদেরকে চলার ও বুঝার তৌফিক দিন।
ডক্টর এ,কিউ,এম,মাহবুবুল্লাহ যশোরী
হাফেজ,আলেম,মুফতি,মুহাদ্দেস,মুফাস্সের
চেয়ারম্যান : বাংলাদেশী সেবা পার্টি
Информация по комментариям в разработке