পরিবারে কারো কোলোরেক্টাল ক্যান্সার থাকলে সতর্ক হউন!!!
ডা. আফরোজা বেগম তানিয়া
এমবিবিএস (ডিইউ), এমডি (অনকোলজি)
ক্লিনিক্যাল এন্ড রেডিয়েশন অনকোলজিস্ট
টিউমার ও ক্যান্সার স্পেশালিস্ট
সহকারী অধ্যাপক
এনাম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল
চেম্বারঃ
এনাম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল
৯/৩ পার্বতী নগর থানা রোড, সাভার, ঢাকা
01716358146, 01749443353
ডেলটা হেলথ কেয়ার, মিরপুর লিঃ (মিরপুর ১১)
মিরপুর ১১, বাস স্ট্যান্ড সংলগ্ন,
কেন্দ্রীয় মসজিদ ও মাদ্রাসা কমপ্লেক্স, পল্লবী, ঢাকা-১২১৬
0258055111-5, 01407075714
সৌজন্যে - Renata PLC (Renata Cancer Care)
পরিবারের ইতিহাসে কোলোরেক্টাল ক্যান্সার এবং আপনার সতর্কতা
কোলোরেক্টাল ক্যান্সার বা মলাশয়ের ক্যান্সার একটি গুরুতর রোগ, তবে সময় মতো সনাক্ত হলে এর চিকিৎসা সম্ভব। যদি আপনার পরিবারের কোনো সদস্যের (যেমন: বাবা, মা, ভাই, বোন) কোলোরেক্টাল ক্যান্সার হয়ে থাকে, তাহলে আপনার সতর্ক হওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ পারিবারিক ইতিহাস এই রোগের ঝুঁকি বাড়ায়।
---
কেন পারিবারিক ইতিহাস গুরুত্বপূর্ণ?
*জেনেটিক ঝুঁকি:* কিছু জেনেটিক পরিবর্তন এক প্রজন্ম থেকে অন্য প্রজন্মে স্থানান্তরিত হতে পারে, যা কোলোরেক্টাল ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায়।
*পলিওপস (Polyps):* যাদের পরিবারে কোলোরেক্টাল ক্যান্সার আছে, তাদের মধ্যে কোলনে পলিপস (ক্ষুদ্র টিস্যু বৃদ্ধি) তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। এই পলিপসগুলো সময়ের সাথে ক্যান্সারে রূপান্তরিত হতে পারে।
*একই জীবনযাত্রা:* অনেক সময় পরিবারের সদস্যদের জীবনযাত্রা, খাদ্যাভ্যাস এবং পরিবেশ একই রকম থাকে, যা রোগের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
---
কখন আপনার সতর্ক হওয়া উচিত?
সাধারণত ৫০ বছর বয়সের পর থেকে কোলোরেক্টাল ক্যান্সারের স্ক্রিনিং শুরু করা হয়। কিন্তু যদি আপনার পরিবারে এই রোগের ইতিহাস থাকে, তবে ডাক্তার আপনাকে এর আগে থেকেই স্ক্রিনিং শুরু করার পরামর্শ দিতে পারেন। সাধারণত, যে বয়সে আপনার পরিবারের সদস্যের ক্যান্সার ধরা পড়েছিল, তার থেকে ১০ বছর আগে আপনার স্ক্রিনিং শুরু করা উচিত। উদাহরণস্বরূপ, যদি আপনার মায়ের ৫০ বছর বয়সে এই রোগ ধরা পড়ে, তাহলে আপনার ৪০ বছর বয়স থেকে স্ক্রিনিং শুরু করা উচিত।
---
প্রতিরোধের জন্য কী করবেন?
১. *ডাক্তারের পরামর্শ নিন:* আপনার পারিবারিক ইতিহাস সম্পর্কে একজন বিশেষজ্ঞের সঙ্গে আলোচনা করুন। তিনি আপনার ঝুঁকি মূল্যায়ন করে সঠিক স্ক্রিনিং পদ্ধতি এবং সময়সূচী নির্ধারণ করে দেবেন।
২. *নিয়মিত স্ক্রিনিং করান:* কোলোনোস্কোপি বা অন্যান্য স্ক্রিনিং পরীক্ষা পলিপস এবং প্রাথমিক পর্যায়ের ক্যান্সার সনাক্ত করতে সবচেয়ে কার্যকর উপায়। নিয়মিত স্ক্রিনিংয়ের মাধ্যমে এই রোগ প্রাথমিক অবস্থায় ধরা পড়ে এবং চিকিৎসা সহজ হয়।
৩. *স্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রা মেনে চলুন:*
*খাদ্যাভ্যাস:* প্রচুর ফল, শাকসবজি এবং শস্য খান। লাল মাংস এবং প্রক্রিয়াজাত খাবার কমিয়ে দিন।
*শারীরিক পরিশ্রম:* নিয়মিত ব্যায়াম করুন।
*ওজন নিয়ন্ত্রণ:* সুস্থ ওজন বজায় রাখুন।
*ধূমপান এবং অ্যালকোহল ত্যাগ:* ধূমপান এবং অতিরিক্ত অ্যালকোহল সেবন থেকে বিরত থাকুন।
কোলোরেক্টাল ক্যান্সারের লক্ষণগুলো সম্পর্কে সচেতন থাকা জরুরি। যেমন: মলের সাথে রক্ত যাওয়া, মলত্যাগের অভ্যাসে পরিবর্তন, পেটে ব্যথা, বা হঠাৎ করে ওজন কমে যাওয়া। যদি এই ধরনের কোনো লক্ষণ দেখেন, দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
আপনার পারিবারিক ইতিহাসে কোলোরেক্টাল ক্যান্সার থাকলে ভয় পাওয়ার কিছু নেই, বরং এটি আপনাকে সময় মতো সতর্ক হতে সাহায্য করবে। নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা এবং স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন আপনাকে এই রোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করবে।
Disclaimer
This channel is for informational purposes only. It is not intended to be a substitute for professional medical advice, diagnosis, or treatment. Always seek the advice of your doctor with any questions you may have regarding a medical condition or health problems. Reliance on any information provided on this channel is solely at your own risk.
Информация по комментариям в разработке