Скачать или смотреть একাদশী পালন পদ্ধতি

একাদশী পালন পদ্ধতি

একাদশী হলো হরি-বাসর

আমাদের পূর্বতন আচার্য শ্রীল ভক্তিবিনোদ ঠাকুর বলেছেন যে একাদশী হলো ভক্তির জননী এবং আমাদের এই দিনটি সর্বোচ্চ যত্ন সহকারে পালন করা উচিত।

মাধব-তিথি, ভক্তি-জননী, যতনে পালন করি,
কৃষ্ণ-বসতি, বসতি বলি’, পরম আদরে বরি (২)
(শুদ্ধ-ভক্ত, পদ ২)

আমি অত্যন্ত যত্ন সহকারে মাধবের পবিত্র দিনগুলি [যেমন একাদশী এবং জন্মাষ্টমী] পালন করি, কারণ এগুলি ভক্তির জননী। যেহেতু শ্রীকৃষ্ণ একাদশীর দিনে বাস করেন, তাই এটি হরি-বাসর নামেও পরিচিত। তাই, এই তিথিকে সম্মান জানিয়ে আমরা সহজেই তাঁকে লাভ করতে পারি।

একাদশীর উৎপত্তি

একবার মুরা নামে এক অসুর ভগবানকে হত্যা করতে চেয়েছিল, কিন্তু অনেক চেষ্টা করেও সে তা করতে পারেনি। তবে একদিন, মুরা যখন দেখল যে ভগবান যোগ-নিদ্রায় বিশ্রাম নিচ্ছেন, তখন সে তাঁকে হত্যা করার সবচেয়ে উপযুক্ত সুযোগ হিসেবে এটাকে গণ্য করল। মুরা যখন ভগবানের কাছে এগিয়ে গেল, তখন ভগবানের নাকের ছিদ্র থেকে তাঁর একটি শক্তি আবির্ভূত হয়ে মুরাকে হত্যা করল। যেহেতু এটি পক্ষকালের একাদশ দিনে ঘটেছিল, তাই ভগবানের সেই শক্তি একাদশী নামে পরিচিত হলো।

ভগবান যখন জেগে উঠলেন, তখন তিনি দেখলেন যে মুরা মৃত অবস্থায় পড়ে আছে এবং একজন দেবী পাশে [হাত জোড় করে] দাঁড়িয়ে আছেন। তাঁর পরিচয় জিজ্ঞাসা করলে, তিনি বললেন, “হে আমার প্রভু! আমি আপনার শক্তি এবং এই মুরা অসুরকে বধ করে আপনার সেবা করার জন্য আমি আবির্ভূত হয়েছি।” এতে সন্তুষ্ট হয়ে ভগবান তাঁকে এই বর দিলেন - “যেহেতু তুমি একাদশী তিথিতে আবির্ভূত হয়েছ, তাই তুমি ‘একাদশী’ নামে পরিচিত হবে এবং যে এই দিনে তোমার পূজা করবে, সে পরম গন্তব্য লাভ করবে।”

একাদশী – হরির শ্রেষ্ঠ সেবক

অনেক ধরনের সেবক আছে। [কিছু সেবককে অধম এবং কিছুকে শ্রেষ্ঠ মনে করা হয়।]

অধম সেবক

বিভিন্ন ধরনের অধম (পতিত) সেবক আছে; শাস্ত্র ছয় প্রকারের কথা উল্লেখ করে।

অলি-বাণো-জ্যোতিষকঃ
স্তব্ধীভূতঃ কিম্যেককঃ
প্রেষিত-প্রেষকশ্‌ চৈব
ষড এতে সেবকাধমাঃ

[ছয় ধরনের অসন্তোষজনক সেবক আছে। তারা হলো যে মৌমাছির মতো অস্থির (অলি); যে তিরস্কার করে, তীর (বাণ)-এর মতো তার প্রভুকে বিদ্ধ করে; যে কাজ ফেলে রাখে (জ্যোতিষক); যে সেবক অলস এবং নিষ্ক্রিয় (স্তব্ধীভূত); যে নিজে থেকে কিছু করার চেষ্টা করতে অস্বীকার করে (কিমেকক); এবং যে সেবà