Скачать или смотреть রাত পোহালেই বঙ্গে আসছেন প্রধানমন্ত্রী! কেমন চলছে প্রস্তুতি পর্ব?দেখে নিন এক নজরে | Khobor 24x7

ফাঁকা ধূ ধূ করছে হাওড়া স্টেশন (Howrah Station) চত্বর। হঠাত্‍ দেখলে মনে হবে যেন লকডাউন হয়েছে! সারি সারি দোকানগুলো যেন উবে গিয়েছে। মঙ্গলবার রাতেও যা ছিল চেনা ছবি বুধবার সেটাই বদলে গেল।

চা, ডিমের অমলেট, পান-বিড়ি-সিগারেট, সবজি, ফল, টর্চ-রুমাল — কোনও দোকানই নেই হাওড়া স্টেশনের বাইরে।কয়েক হাজার দোকান সব উঠে গিয়েছে।

কেউ কেউ সন্ধের মধ্যেই মালপত্র গোছ করে দোকানের কাঠামো সরিয়ে দিয়েছন। বুধবার রাত ১১টা নাগাদ কেউ কেউ গোছগাছের ফিনিশিং টাচ দিচ্ছেন। বস্তা গোছাতে ব্যস্ত এইরকমই এক ফল বিক্রেতার কাছে জানতে চাওয়া হল, ব্যাপার কী? মুচকি হেসে বললেন, 'মালিক আসছে। তাই ছুট্টি করে দিয়েছে!'মালিক কে?

তারপর বোঝা গেল সবটা। ৩০ ডিসেম্বর হাওড়া স্টেশন থেকেই বাংলায় বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের সূচনা করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সে কারণেই রাতারাতি সরিয়ে দেওয়া হয়েছে কয়েক হাজার হকার ও তাঁদের দোকানকে।

শুধু বাইরের হকার নন। ২২ ও ২৩ নম্বর প্ল্যাটফর্মে রেলের অনুমোদিত খাবারের স্টলগুলিও বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে রেলের তরফে। তা ছাড়া পুরনো কমপ্লেক্সের স্টলগুলিতেও কর্মীদের বলা হয়েছে বৈধ আইকার্ড নিয়ে তাঁরা যেন দোকানদারি করেন। হাওড়া স্টেশনে কর্মরত এক আরপিএফ কর্মী বলেন, '৩১ তারিখ থেকে আবার আগের মতো সব বসতে পারবে!'হকারদের কী বক্তব্য?

বছর শেষে তিনদিন রোজগার বন্ধ হলেও ক্ষোভ জানাচ্ছেন না কেউই। বরং তাঁরা বলছেন রূঢ় বাস্তবের কথা। কাঁধে ডালা নিয়ে গুটখা, বিড়ি, সিগারেট বিক্রি করা এক বয়স্ক হকার বলেন, 'সারা বছর রেলের জায়গায় করে খাই! কথা তো শুনতেই হবে।'

হাওড়া স্টেশনের নিউ কমপ্লেক্স থেকেই বন্দে ভারত এক্সপ্রেস বাংলায় যাত্রা শুরু করবে। মূলত প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তার কারণেই সাময়িকভাবে হকারদের তুলে দেওয়া হয়েছে বলে দাবি জিআরপি ও আরপিএফ অফিসারদের। বৃহস্পতিবার নিরাপত্তা বিষয়ক বৈঠকও রয়েছে। এসপিজি গোটা এলাকা দেখে নেবে বৃহস্পতিবার দুপুরেই। স্নিফার ডগ নিয়ে সারাক্ষণ টহল দেবে রেল পুলিশের বিশেষ বাহিনী।

#khobor24x7
#latestnews
#bangalinews
#বাংলাখবর
#today_breaking_news
#narandramodi
#howrah_station