Скачать или смотреть নারীর পর্দার (হিজাব) আয়াত || সূরা আন নূর আয়াত ৩১ || ব্যাখ্যা ডেসক্রিপশন এ

আল্লাহ তাআলা মুমিন নারীদেরকে বলেছেন তারা যাতে দৃষ্টি সংযত রাখে এবং তাদের মাথার কাপড় দিয়ে কান,গলা এবং বক্ষ ঢেকে রাখে। জাহিলিয়া যুগের নারীরা তাদের মাথার কাপড় এমনভাবে পড়ত যাতে সেটা পিঠ পর্যন্ত ঝুলে এবং তাদের চুল,কান,গলা আর বক্ষ সব খোলা রেখে পুরুষদের সামনে যেত, আল্লাহ মুমিন নারীদেরকে সেই কাজটি করা নিষিদ্ধ করে দেন এবং ওইসব জায়গাগুলো ঢেকে রাখতে বলেন যখন তারা কোনো বেগানা (যারা মাহরাম নয়) পুরুষদের সামনে যায়। তারা যেন তাদের সৌন্দর্য প্রকাশ না করে শুধু যেটা প্রকাশমান সেটা প্রকাশ করতে পারবে। যেটা প্রকাশমান সেগুলা হলো মুখমণ্ডল আর হাত। তাফসীর আল তাবারী: "আমরা ব্যাখ্যা সহ এই বিষয়ে সবচেয়ে উপযুক্ত মতামত বলেছি. সকলের সর্বসম্মত মতের কারণে যে প্রত্যেক নামাযীকে তার নামাযের সময় অবশ্যই তার গোপনাঙ্গ ঢেকে রাখতে হবে এবং একজন মহিলাকে তার সালাতের সময় তার মুখমন্ডল ও হাত অবশ্যই খোলা রাখতে হবে এবং তার শরীর ছাড়া অন্য কিছু অবশ্যই ঢেকে রাখতে হবে।"। ইবনে আব্বাস হতে বর্ণিত যে যা তার কাছ থেকে প্রকাশ পায়, তা হচ্ছে মুখমণ্ডল আর হাত। কিছু ওলামা বলেন যে ওইগুলো শুধু প্রয়োজন ছাড়া খোলা যাবে না,কেউ বলেন শুধু চোখ আর কাপড় যেমন, তাফসীর আল সা'দি: "যাইহোক, একজন মহিলা তার পোশাক লুকাতে সক্ষম নয়, এবং তাই আল্লাহ সাধারণ বাইরের পোশাকের জন্য ব্যতিক্রম করেছেন যদি এটি মনোযোগ আকর্ষণ না করে। অতঃপর আল্লাহ তায়ালা ধর্মপ্রাণ নারীদেরকে তাদের মুখমণ্ডল, ঘাড় ও বুক ঢেকে রাখার নির্দেশ দেন এবং এটি ইঙ্গিত দেয় যে একজন মুসলিম নারীকে পুরোপুরি ঢেকে রাখতে হবে।",কেউ বলেন চোখ আর হাত যেমন, তাফসীর আহসানুল বায়ান: "'যা সাধারণতঃ প্রকাশ থাকে' বলতে এমন সৌন্দর্য (বাহ্যিক আভরণ) বা দেহের অংশকে বুঝানো হয়েছে যা পর্দা বা গোপন করা অসম্ভব। যেমন কোন জিনিস নিতে বা দিতে গিয়ে হাতের করতল, অথবা কিছু দেখতে গিয়ে চোখ গোপন করা সহজ নয়।" এবং কেউ বলেন যদি সে সুন্দর হয় দেখতে বা ফিৎনার আশঙ্কা থাকে তাহলে মুখমণ্ডল আর হাত ঢেখে রাখা বাধ্যতামূলক যেমন, তাফসীর আল কুরতুবী (রহঃ): "আমাদের একজন আলেম ইবনে খোয়াইজ মান্দাদ বলেছেন: যদি কোন নারী সুন্দরী হয় এবং তার মুখমন্ডল ও হাতে ফিতনার ভয় থাকে, তাহলে তাকে অবশ্যই তা ঢেকে রাখতে হবে; যদি সে বৃদ্ধ বা কুৎসিত হয় তবে তার জন্য তার মুখমন্ডল ও হাত খোলা জায়েয।"। তারা যেন লুকানো সৌন্দর্য (চুল,কান,গলা এবং বক্ষ) প্রকাশ না করে কিন্তু যারা তার মাহরাম তাদের, দাশ দাসীদের এবং অ্যাটেনডেন্ট যাদের কোনো desire নাই তাদের সামনে প্রকাশ করতে পারে। যাতে মাটিতে পা দিয়ে এমনভাবে বাড়ি না দেয়ে যাতে তাদের লুকানো সৌন্দর্য নিয়ে কোনো ধারণা না থাকে।উম্মুল মুমিনীন আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত: "মুহাজির মহিলাদের উপর আল্লাহ রহম করুন। যখন "তারা যেন তাদের বক্ষদেশের উপর পর্দা টেনে নেয়" আয়াতটি নাযিল হয়, তখন তারা তাদের মোটা বাহ্যিক পোশাক ছিঁড়ে ফেলে এবং তাদের থেকে পর্দা তৈরি করে।" (বুখারী,আবু দাউদ) {গুগল ট্রান্সলেট থেকে ইংরেজি থেকে বাংলায় অনুবাদ করা হয়েছে, কিছু ক্রুটি থাকতে পারে আর এখানে পর্দা বলতে মাথার কাপড় বা ডোপাট্টা বোঝানো হয়েছে। ইংরেজিতে আবু দাউদের এই হাদীসটি, Narrated Aisha, Ummul Mu'minin: May Allah have mercy on the early immigrant women. When the verse "That they should draw their veils over their bosoms" was revealed, they tore their thick outer garments and made veils from them."} উম্মুল মুমিনীন আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত: "আবু বকরের কন্যা আসমা পাতলা কাপড় পরিধান করে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে প্রবেশ করলেন। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তার থেকে দৃষ্টি ফিরিয়ে নিলেন। তিনি বললেনঃ হে আসমা, মহিলা যখন ঋতুস্রাবের বয়সে উপনীত হয়, তখন এটি এবং এটি ব্যতীত তার শরীরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ প্রদর্শন করা তার জন্য শোভা পায় না এবং তিনি তার মুখমন্ডল ও হাতের দিকে ইশারা করলেন।" আবু দাউদ বলেন: "এটি একটি মুরসাল রেওয়ায়েত (অর্থাৎ আয়েশা থেকে বর্ণনাকারী অনুপস্থিত) খালিদ বিন দুরাইক আয়েশাকে দেখতে পাননি।" বলতে গেলে এই হাদীসটি এমনিতে দুর্বল কিন্তু ইবনে আব্বাসের হাদীস যেখানে এই আয়াতের ব্যাখ্যায় বললেন যা তার কাছ থেকে প্রকাশিত তা হচ্ছে মুখমণ্ডল আর হাত এবং আরো কয়েকটা হাদীস যুক্ত হয়ে সহীহ করা হয়েছে অনেক মোফাসের। এর মধ্যে আলবানি (রহঃ) ও আছেন। তিনি এই হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন।