Скачать или смотреть বাংলাদেশ ডিজিটাল ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীবৃন্দের সচিবালয়ের মেইন গেটের সামনে অবস্থান কর্মসূচি 

স্মারকলিপি

তারিখ: ২৫ জানুয়ারি, ২০২৫

প্রাপক: মহামান্য রাষ্ট্রপতি, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার

বিষয়: অতি দ্রুত ডিজিটাল ইউনিভার্সিটির নাম পরিবর্তন করে “বাংলাদেশ ডিজিটাল ইউনিভার্সিটি” করার জন্য
অধ্যাদেশ জারি ও স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মাণে পদক্ষেপ প্রসঙ্গে।

মহামান্য রাষ্ট্রপতি,
আমরা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল ইউনিভার্সিটির (বিডিইউ) সাধারণ শিক্ষার্থীরা সম্মানের সাথে আপনাকে জানাতে চাই যে, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন করে “বাংলাদেশ ডিজিটাল ইউনিভার্সিটি” করার দাবিতে আমরা দীর্ঘদিন ধরে ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলন করে আসছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষার্থীর সম্মতি ও গণস্বাক্ষরসহ এ বিষয়ে একটি আবেদনপত্র বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের মাধ্যমে আপনার কাছে এবং বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) নিকট প্রেরণ করা হয়েছে।
তবে, আমরা অত্যন্ত দুঃখের সাথে লক্ষ্য করছি যে, প্রশাসনিক প্রক্রিয়ায় বিলম্বের কারণে এখনও এ বিষয়ে
কোনো প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়নি। বিষয়টি আমাদের জন্য অত্যন্ত হতাশাজনক এবং এটি আমাদের আইডেন্টিটি ও স্বপ্নের সঙ্গে সরাসরি সম্পর্কিত।
গেজেট পাস হওযার আট বছর পার হযে গেলেও বিশ্ববিদ্যালযের এখন পর্যন্ত স্থাযী কোন অবকাঠামো নির্মাণের জন্য বরাদ্দ দেওয়া হযনি। দেশের প্রথম “বিশেষাযিত ডিজিটাল ইউনিভার্সিটি” হওয়া সত্ত্বেও এটি বরাবরই অবহেলার শিকার। যার ফলশ্রুতিতে শিক্ষার্থীরা ভাড়া বাসায় শিক্ষা কার্যক্রম চালিযে যেতে হিমশিম খাচ্ছে।
আমাদের প্রস্তাবনার পেছনে যুক্তি তুলে ধরতে চাই:
১. বিশেষায়িত বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাতন্ত্র্য: ডিজিটাল ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশ দেশের প্রথম ডিজিটাল
প্রযুক্তিনির্ভর বিশেষায়িত বিশ্ববিদ্যালয়। এখানে ডিজিটাল টেকনোলজির সাথে সরাসরি সম্পর্কিত বিষয়গুলো
পড়ানো ও গবেষণা পরিচালিত হয়। এ ধরণের বিশ্ববিদ্যালয়ের কনসেপ্ট পৃথিবীতে নতুন হওয়ায় এখানে অধিত বিষয় সমূহের বাজার চাহিদা অনেক বেশি। গ্লোবাল চাহিদাযুক্ত একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম একটি জেলার
পরিচয়ে সীমাবদ্ধ হতে পারে না। “বাংলাদেশ ডিজিটাল ইউনিভার্সিটি” নামটি এ প্রতিষ্ঠানের বৈশ্বিক পরিচিতি
ও মর্যাদা বৃদ্ধি করবে।
২. বিশ্ববিদ্যালয়ের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য: এ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার মূল উদ্দেশ্য ছিল চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের
চাহিদা পূরণে দক্ষ মানবসম্পদ তৈরি করা এবং উচ্চশিক্ষা ও গবেষণার নতুন দিগন্ত উন্মোচন করা। “বাংলাদেশ”
শব্দটি নামের সাথে যুক্ত করলে এটি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাতন্ত্র্য ও গুরুত্ব আরও প্রতিষ্ঠিত হবে।
৩. সবার সম্মিলিত দাবি: আমরা শিক্ষার্থীরা একমত হয়েছি যে, “বাংলাদেশ ডিজিটাল ইউনিভার্সিটি”
নামটি আমাদের স্বপ্ন ও পরিচয়ের সঙ্গে যথাযথভাবে মিলে যায়। গণস্বাক্ষরের মাধ্যমে আমরা এ বিষয়ে
আমাদের ঐক্যমতের প্রমাণ দিয়েছি।
৪. বর্তমান অবস্থা: প্রতিষ্ঠাকালীন থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম অস্থায়ী
ভবনে পরিচালিত হচ্ছে। স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মাণ এখনও প্রক্রিয়াধীন। দীর্ঘ ০৭ বছর অতিবাহিত হলেও এখন পর্যন্ত
কোনো অবকাঠামো নির্মাণ করা যায় নি। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক গ্রাজুয়েট বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চাকুরির জন্য আবেদন করতে পারছেন না, নাম পরিবর্তন না করার কারণে। নাম পরিবর্তনের বিষয়টি দ্রুত বাস্তবায়িত হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কার্যক্রম ও উন্নয়ন পরিকল্পনায় নতুন গতি আসবে।
৫. উপদেষ্টা পরিষদের সিদ্ধান্ত: গত ১৬ জানুয়ারি বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মাননীয়
উপদেষ্টা ও যুবসমাজের আইকন জনাব আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া তাঁর অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে পোস্ট
করে ১৩ টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তনের বিষয়টি জানান। এতে ডিজিটাল ইউনিভার্সিটির নাম
পরিবর্তন করে “বাংলাদেশ ডিজিটাল ইউনিভার্সিটি” করায় শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী, অভিভাবকবৃন্দ, এলাকাবাসীসহ সংশ্লিষ্ট সবাই অত্যন্ত আনন্দিত হয়েছিলেন। কিন্তু সেই নামে এখনো অধ্যাদেশ
জারি হয় নি। কেন এখনো এই অধ্যাদেশ জারি হলো না সেই ব্যাখা আমরা জানতে চাই। কোনো গোষ্ঠীর ইন্ধনে
এই নাম পরিবর্তন করে জেলার নামে করার প্রস্তাব হলে সেটা আমরা মেনে নিব না।
এ প্রেক্ষাপটে, আমরা, ডিজিটাল ইউনিভার্সিটির সাধারণ শিক্ষার্থীরা, আপনার কাছে বিনীত অনুরোধ করছি যে,
দ্রুত “বাংলাদেশ ডিজিটাল ইউনিভার্সিটি” নামে প্রজ্ঞাপন জারি এবং স্থাযী অবকাঠামো নির্মাণের জন্য বরাদ্দ
দিয়ে আমাদের দাবি পূরণে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
অন্যথায়, আমরা বৃহত্তর আন্দোলনে যেতে বাধ্য হবো, যা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম এবং প্রশাসনিক ও
অন্যান্য স্বাভাবিক কার্যক্রমে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
ধন্যবাদান্তে,শিক্ষার্থীবৃন্দ,বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশ
অনুলিপি প্রদান (জ্যোষ্ঠতার ক্রমানুসারে নয়):
1. মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা
2. মাহফুজ আলম, মাননীয় উপদেষ্টা, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার
3. রাষ্ট্রপতির সচিব
4. চেয়ারম্যান, ইউজিসি
5. সচিব, ইউজিসি
6. মাননীয় শিক্ষা উপদেষ্টা
7. সচিব, শিক্ষা মন্ত্ৰণালয়
8. মাননীয় আইন উপদেষ্টা