যশোর বিমানবন্দর পার্ক এবং জাদুঘর || Jessore Air Force Museum

Описание к видео যশোর বিমানবন্দর পার্ক এবং জাদুঘর || Jessore Air Force Museum

বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর গৌরবময় ঐতিহ্যের ইতিহাস এবং সাফল্যকে নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরার লক্ষ্যে রাজধানী ঢাকার আগারগাঁওয়ে ২০১৪ সালে বাংলাদেশের প্রথম বিমান বাহিনী জাদুঘর (Bangladesh Air Force Museum) প্রতিষ্ঠা করা হয়। বাংলাদেশ বিমান বাহিনী জাদুঘরে ২১টি বিমান ও ৩ টি রাডার রয়েছে। যার মধ্যে ৩টি বিমান ১৯৭১ সালে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে ভারতীয় বিমান বাহিনী ব্যবহার করে এবং পরবর্তীতে বাংলাদেশকে উপহার হিসেবে প্রদান করে।



বাংলাদেশ বিমান বাহিনী যাদুঘরটি প্রাথমিকভাবে ১৯৮৭ সালের ১ জুন প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। পরে ২০১৪ সালে বেগম রোকেয়া সরণী সংলগ্ন তেজগাঁও বিমানবন্দরের রানওয়ের পশ্চিম দিকটি আরও সুশৃঙ্খল এবং সুসংহত পরিবেশে পুনর্গঠিত করে জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হয়। এয়ার মার্শাল এনামুল বারী, ২৬ শে সেপ্টেম্বর ২০১৪ তে বিমান যাদুঘরটির উদ্বোধন করেছিলেন। বিমান বাহিনী জাদুঘরে আগত দর্শনার্থীদের জন্য রয়েছে একটি ফুড কোর্ট, স্যুভেনির শপ ‘নীলাদ্রি’, বিভিন্ন প্রাণীর প্রতিকৃতি, থিম পার্ক এবং নান্দনিক ফোয়ারা।



বাংলাদেশ বিমান বাহিনী জাদুঘরের উল্লেখযোগ্য সংগ্রহ:

বলাকা: রাশিয়ার তৈরি বাংলাদেশের প্রথম যাত্রীবাহী বিমান বলাকা। ১৯৫৮ সালে বলাকা বিমানটিকে বাংলাদেশে আনা হয়।


পিটি-৬: চীনের তৈরি এই বিমানটি ১৯৮৫ সালে বাংলাদেশ আসে।


এয়ার টুওরার: এয়ার টুওরার বিমানটি বাংলাদেশ বিমান বাহিনিতে ট্রেনিংয়ের জন্য ব্যবহার করা হতো। নিউজিল্যান্ডের তৈরি বিমানটিকে ১৯৯৭ সালে বাংলাদেশে আনা হয়।


গ্লাইডার: জার্মানির কাছ থেকে ১৯৮২ সালে গ্লাইডার বাংলাদেশ বিমান বাহিনীতে যুক্ত হয়।


ফুগাসি এম-১৭০: ১৯৬০ সালে ফ্রান্সের তৈরি বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর এই বাহনটি ১৯৯৭ সালে এটি বাংলাদেশ বিমান বাহিনীতে স্থান পায়।


হান্টার বিমান: ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে ভারত বাংলাদেশের ভূমিকে শত্রু মুক্ত রাখতে এই বিমানটি ব্যবহার করে।


এয়ারটেক কানাডিয়ান ডিএইচ ৩/১০০০: কানাডার তৈরি এয়ারটেক কানাডিয়ান ডিএইচ ৩/১০০০ বোমারু বিমানটি ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে চট্টগ্রাম সুমদ্র বন্দর এলাকায় সফলভাবে অভিযানে অংশগ্রহণ করে।

এছাড়াও বিমান জাদুঘরে স্থান পেয়েছে এফটি-৫, মিগ-২১, জি নাট, এফ৬ এবং এ৫-১১১।



বিমান বাহিনী জাদুঘরটি প্রতি সপ্তাহের রবিবার বাদে অন্য ৬ দিন খোলা থাকে। সোম থেকে বৃহস্পতিবার জাদুঘরটি দুপুর ২টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত খোলা থাকে। আর শুক্র এবং শনিবার সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত দর্শনার্থীরা জাদুঘরে প্রবেশ করতে পারে। জাদুঘরে সাধারণ দর্শনার্থীদের প্রবেশে টিকেটের মূল্য ৪০ টাকা এবং সামরিক বাহিনীর সদস্যদের জন্য প্রবেশ মূল্য ২৫ টাকা।



কিভাবে যাবেন?

ঢাকার যে কোন জায়গা থেকে আগারগাঁও চলে আসুন। রাজধানীর গুলিস্থান থেকে বিহঙ্গ, হিমাচল, স্বাধীন, হাজী ট্রান্সপোর্ট, ইটিসি ট্রান্সপোর্ট এবং আরো অনেক বাসে আগারগাঁও যেতে পারবেন। বিমানবাহিনী যাদুঘর বললেই নামিয়ে দিবে। এছাড়া রামপুরা থেকে হিমাচল, আলিফ পরিবহনেও যেতে পারবেন। কিংবা নিজস্ব পরিবহন বা সিএনজি নিয়ে ঢাকার যে কোন জায়গা থেকে সহজে যেতে পারবেন।


https://youtube.com/@pritamthetravell...

https://www.facebook.com/pritamthetra...

https://www.facebook.com/profile.php?...

https://www.facebook.com/profile.php?...

https://www.instagram.com/pritamthetr...

Комментарии

Информация по комментариям в разработке