নেতৃত্ব আল্লাহর আমানত: নেতৃত্ব বা শাসনক্ষমতা এমন ব্যক্তির হাতে ন্যস্ত করতে হবে, যে প্রকৃত যোগ্য ও আমানতদার
• নেতৃত্ব আল্লাহর আমানত; আমানত না থাকায় একটি...
• আমানতের খিয়ানত: ভয়াবহ গুনাহ নিয়ে গুরুত্বপূ...
• আধুনিক বিশ্বে ক্ষমতা অর্জন, - নোমান আলী খা...
নেতৃত্ব একটি আমানত, যা শুধু যোগ্য ব্যক্তির হাতে ন্যস্ত হতে হবে।
ইসলামে নেতৃত্ব (ইমামত বা খিলাফত) একটি আমানত। কোরআনে বলা হয়েছে, 'আল্লাহ তোমাদের নির্দেশ দেন, তোমরা আমানত তাদের কাছে পৌঁছে দাও, যারা এর হকদার। এ আয়াতের আলোকে নেতৃত্ব বা শাসনক্ষমতা এমন ব্যক্তির হাতে ন্যস্ত করতে হবে, যে প্রকৃত যোগ্য ও আমানতদার।
নেতৃত্ব কঠিন আমানত
"নেতৃত্ব একটি আমানত" উক্তিটির অর্থ হলো, নেতৃত্ব কোনো ক্ষমতার পদ নয়, বরং এটি একটি পবিত্র দায়িত্ব, যা আল্লাহ বা জনগণের পক্ষ থেকে অর্পিত একটি আমানত বা বিশ্বাস। এই আমানতের ওপর নির্ভর করে একটি সমাজ, জাতি বা সম্প্রদায়ের সাফল্য ও কল্যাণ, এবং নেতাকে অবশ্যই এর জন্য জবাবদিহি করতে হয়।
ব্যাখ্যা:
• আমানত:
ইসলামি পরিভাষায় 'আমানত' বলতে অর্পিত দায়িত্বকে বোঝায়। এটি কোনো মূল্যবান জিনিস বা দায়িত্ব হতে পারে, যা একজন ব্যক্তি অন্যের কাছে বিশ্বস্তভাবে রাখে।
• নেতৃত্বের আমানত:
এর দ্বারা বোঝানো হয় যে, নেতৃত্ব বা ক্ষমতা কোনো ব্যক্তিগত সম্পত্তি নয়, বরং এটি জনগণের বা আল্লাহর পক্ষ থেকে একজন ব্যক্তির ওপর অর্পিত একটি দায়িত্ব।
• দায়িত্ব ও জবাবদিহি:
নেতাকে তার ওপর অর্পিত দায়িত্ব বিশ্বস্ততার সাথে পালন করতে হয়। জনগণের ভালোবাসা এবং তাদের ওপর অর্পিত দায়িত্বের জন্য নেতাকে পরকালে জবাবদিহিতার মুখোমুখি হতে হবে।
• গুরুত্ব:
এই আমানতকে সঠিক ও ন্যায়ভিত্তিক পথে ব্যবহার করা একজন নেতার নৈতিক ও ধর্মীয় দায়িত্ব। কারণ এর ওপর একটি সমাজের ভবিষ্যৎ এবং মানুষের কল্যাণ নির্ভর করে।
সোনালি যুগে খলিফা নির্বাচন পদ্ধতি
ইসলামের ইতিহাসে ‘সোনালি যুগ’ বলতে মূলত রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর ইন্তেকালের পর চার খলিফার শাসনকালকে (খুলাফায়ে রাশেদা) বোঝানো হয়। প্রায় ৩০ বছরব্যাপী এই সময়কালকে ইসলামের স্বর্ণযুগ বলা হয়। কারণ এই সময়ে রাষ্ট্র পরিচালনায় ন্যায়, সত্য, সাম্য, শুরা, পারস্পরিক সহযোগিতা ও শরিয়াভিত্তিক ব্যবস্থা সর্বোচ্চ গুরুত্ব পেয়েছিল; বিশেষ করে খলিফা নির্বাচনের পদ্ধতি ছিল অনন্য ও শিক্ষণীয়। কোনো বংশানুক্রমিক রাজতন্ত্র, সামরিক অভ্যুত্থান বা একনায়কতন্ত্র ছিল না; বরং ছিল শুরা, পরামর্শ, উম্মাহর মতামত ও যোগ্যতার ভিত্তিতে খলিফা নির্বাচন।
কোরআন ও হাদিসে নেতৃত্ব নির্বাচনের মূলনীতি
ইসলামে নেতৃত্ব (ইমামত বা খিলাফত) একটি আমানত। কোরআনে বলা হয়েছে—‘আল্লাহ তোমাদের নির্দেশ দেন, তোমরা আমানত তাদের কাছে পৌঁছে দাও, যারা এর হকদার।’ (সুরা : নিসা, আয়াত : ৫৮)
এ আয়াতের আলোকে নেতৃত্ব বা শাসনক্ষমতা এমন ব্যক্তির হাতে ন্যস্ত করতে হবে, যে প্রকৃত যোগ্য ও আমানতদার।
রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘যখন দায়িত্ব অযোগ্য ব্যক্তির হাতে তুলে দেওয়া হবে, তখন কিয়ামতের প্রতীক্ষা করো।’ (বুখারি, হাদিস : ৬৪৯৬)
অতএব, নেতৃত্ব নির্বাচনের ক্ষেত্রে যোগ্যতা, তাকওয়া, জ্ঞান, ন্যায়বিচার ও দক্ষতা সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ।
ইসলামের শিক্ষা
সোনালি যুগের খলিফা নির্বাচন পদ্ধতি ছিল মানব ইতিহাসে এক অনন্য দৃষ্টান্ত। এখানে রাজতন্ত্র বা বংশানুক্রমিক শাসন ছিল না; ছিল না একনায়কতন্ত্র বা ক্ষমতার জবরদখল। বরং ছিল পরামর্শ, যোগ্যতার মর্যাদা, জনগণের মতামত এবং ন্যায়নিষ্ঠ নেতৃত্বের প্রতি আনুগত্য। ইসলামের মূল শিক্ষা হলো—নেতৃত্ব একটি আমানত, যা শুধু যোগ্য ব্যক্তির হাতে ন্যস্ত হতে হবে।
আজকের পৃথিবীতে রাজনৈতিক অস্থিরতা, স্বার্থান্বেষী নেতৃত্ব ও ক্ষমতার দ্বন্দ্ব দূর করতে চাইলে সোনালি যুগের খলিফা নির্বাচন পদ্ধতি থেকে শিক্ষা নেওয়া অপরিহার্য।
পরিশেষে বলা যায়, খলিফা নির্বাচন পদ্ধতির এই ইতিহাস শুধু মুসলমানদের জন্য নয়; বরং সমগ্র মানবজাতির জন্য একটি দিকনির্দেশনা, যা ন্যায়, সাম্য ও মানবকল্যাণের আদর্শ প্রতিষ্ঠায় সহায়ক।
নেতৃত্ব আল্লাহর আমানত: নেতৃত্ব বা শাসনক্ষমতা এমন ব্যক্তির হাতে ন্যস্ত করতে হবে, যে প্রকৃত যোগ্য ও আমানতদার
Leadership is a trust: which should only be entrusted to the right person! It is the moral and religious responsibility of a leader to use this trust in a correct and just way.
#Leadership #Trust #EntrustedTo #RightPerson #MoralResponsibility #ReligiousResponsibility #Leader #নেতৃত্বএকটিআমানত
#Leadership #Trust #Right #Person #নেতৃত্ব #আমানত
Информация по комментариям в разработке