বিশ্ব ব্লাড ক্যান্সার দিবস ২০২৫
ডাঃ মোঃ মারুফ আল হাসান
এমবিবিএস (রামেক), বিসিএস (স্বাস্থ্য)
এমএসিপি (আমেরিকা), সিসিডি (বারডেম)
এফসিপিএস (হেমাটোলজি)
রক্তরোগ মেডিসিন, থ্যালাসেমিয়া ও ব্লাড ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল
পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টার লিঃ
ভবন ০১, রুম ৭০৬, চৌধুরী টাওয়ার, বি-৪৭৪, শের শাহ্ রোড, লক্ষ্মীপুর, রাজশাহী
দুপুর ৩টা - রাত ৯টা (শুক্রবার বন্ধ)
09666787811, 01324608292
ইবনে সিনা হসপিটাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার
রুম ৪০৮, দড়টানা মোড়, যশোর
প্রতি শুক্রবার সকাল ০৯ টা থেকে বিকাল ৫টা
09610009624
সৌজন্যে - Renata PLC (Renata Cancer Care)
২৮ মে বিশ্ব ব্লাড ক্যানসার দিবস। বিশ্ব ব্লাড ক্যান্সার দিবস হলো ব্লাড ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়াই করার লক্ষ্যে সচেতনতা সৃষ্টির দিবস। সবাই ব্যক্তি, পরিবার, বন্ধু, সম্প্রদায় নির্বিশেষে আন্তর্জাতিক সংস্থা ডব্লিউ বি সি ডি( WBCD) এর আনুষ্ঠানিক চিহ্ন ব্যবহার করে এই বিশেষ দিবসটি পালন করে থাকে।
ব্লাড ক্যান্সার বা লিউকেমিয়া মানবেদেহে ঘাতক ব্যাধিগুলোর মধ্যে অন্যতম বলে বিবেচিত,ব্লাড ক্যান্সার বা রক্তের ক্যানসার নিয়ে অনেক ভুল ধারণা প্রচলিত। সময়ের সঙ্গে এ ধরনের রোগের চিকিৎসা পদ্ধতি পাল্টেছে, অনেক উন্নতিও লাভ করেছে।ক্যান্সার একটি কালান্তর ব্যাধি।বা কর্কটরোগ অনিয়ন্ত্রিত কোষ বিভাজন সংক্রান্ত রোগসমূহের সমষ্টি। এখনও পর্যন্ত এই রোগে মৃত্যুর হার অনেক বেশি। কারণ প্রাথমিক অবস্থায় ক্যান্সার রোগ সহজে ধরা পড়ে না, ফলে শেষ পর্যায়ে গিয়ে ভালো কোন চিকিৎসা দেয়াও সম্ভব হয় না।
বাস্তবিক অর্থে এখনও পর্যন্ত ক্যান্সারের চিকিৎসায় পুরোপুরি কার্যকর কোনও ওষুধ আবিষ্কৃত হয় নি। ক্যান্সার সারানোর জন্য বিভিন্ন ধরনের চিকিৎসা পদ্ধতি প্রয়োগ করা হয়। তবে প্রাথমিক অবস্থায় ধরা পরলে এই রোগ সারানোর সম্ভাবনা অনেকাংশ বেড়ে যায়। ২০০ প্রকারেরও বেশি ক্যান্সার রয়েছে। প্রত্যেক ক্যান্সারই আলাদা আলাদা এবং এদের চিকিৎসা পদ্ধতিও আলাদা। বর্তমানে ক্যান্সার নিয়ে প্রচুর গবেষণা হচ্ছে এবং এ সম্পর্কে নতুন নতুন অনেক তথ্য পাওয়া যাচ্ছে।
ক্যান্সার নামটা ভয়ঙ্কর সৃষ্টিকারী। ভয়াবহতা সম্বন্ধে আমার কিছু না বললেও চলে, বর্তমান সমাজে বন্ধু-বান্ধব, আত্নীয়-স্বজনের মধ্যে এই ভয়ঙ্কর রোগে জীবন দান করেনি এমন লোক পাওয়া যাবে না। যুদ্ধ, প্লাবন ও দুর্ভিক্ষ সমাজ জীবনে সাময়িকভাবে আসে আবার চলে যায়, বহু জীবন ধ্বংস করে, কিন্তু এই বিধ্বংসী রোগ ক্যান্সার ক্রমাগত মানব সমাজকে ধ্বংসের দিগে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। বড় বড় মনীষী এর ধ্বংসলীলার বিবরণ দিয়েছেন।
গত দুই যুগ ধরে এ রোগে যত রোগী মৃতুবরন করেছেন, কোনো যুদ্ধেও এত লোক জীবনাহুতি দেয়নি। এই রোগে মানুষের দুঃখ কষ্ট ও জীবননাশের কোন হিসাব নেই, রাখা সম্ভবও নয়। অসহায় মানুষ অনবরত আল্লাহর কাছে ফরিয়াদ করে, এই রোগের হাত থেকে মুক্তি পেতে।স্বামী-হারা স্ত্রী, স্ত্রী হারা-স্বামী, পিতৃ মাতৃহারা শিশু, জীবনের অর্জিত সম্পদ ভেসে যাওয়া ক্যান্সার এই সব দুঃখ কষ্টের কারণ। এর একমাত্র কারণ- রোগ ও এই রোগের উৎপত্তি কারণ সস্বন্ধে অজ্ঞতা এবং চিকিৎসা পদ্ধতি সম্বন্ধে ও অজ্ঞতা।
ক্যান্সারের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার বা মানুষকে রক্ষা করার একমাএ পথ হল হলো কারণগুলি বিশ্লেষণ করা। মূলত লিউকেমিয়াকে আমরা ব্লাড ক্যান্সার বলে থাকি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডাব্লিউএইচও) বলছে, ২০৩০ সালের মধ্যে পৃথিবীর প্রায় ১৩ বিলিয়ন মানুষ ক্যান্সারের কারণে মৃত্যুবরণ করবে। ২০৩৫ সালের দিকে বাংলাদেশে দুই লাখ ৫০ হাজারের মতো ব্লাড ক্যান্সারের নতুন রোগী শনাক্ত হতে পারে। যতগুলো ক্যান্সার রয়েছে তার মধ্যে ৬.৫ শতাংশ হচ্ছে ব্লাড ক্যান্সার।
বাংলাদেশে এই সংখ্যা ৪৮ শতাংশে বৃদ্ধি পেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।এই লিউকেমিয়া হলো রক্তকোষের ক্যানসার, বিশেষত শ্বেত রক্তকণিকার ক্যান্সার।ব্লাড ক্যান্সার বা রক্তে ক্যান্সার নামেই বেশি পরিচিত। এটি কোনো বংশগত বা ছোঁয়াচে রোগ নয়। ঠিক কী কারণে রোগটি হয়, তা এখনো বিজ্ঞানীদের স্পষ্ট জানা নেই।
তবে রেডিয়েশন, ইন্ডাস্ট্রিয়াল কেমিক্যাল বা কারখানায় ব্যবহৃত রাসায়নিক, পেস্টিসাইড বা কীটনাশক, ভেজাল খাবার ও খাদ্যে রাসায়নিকের ব্যবহার, হেয়ার ডাই ও কিছু প্রসাধনীর ব্যবহার, লুব্রিকেন্টস, বার্নিশ, কেমোথেরাপি ব্যবহারের ইতিহাস ও কিছু জেনেটিক অসুখ থাকলে ব্লাড ক্যান্সার বা লিউকেমিয়া হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে। ওপরের যেকোনো কারণে অস্থিমজ্জার ভেতরের স্টিমসেল বা রক্তের অপরিপক্ব সেলের মিউটেশন বা অন্য কোনো পরিবর্তন হলে ক্যান্সার সেল বা ব্লাস্ট তৈরি হয়, যা অস্থিমজ্জার ভেতরে অতিদ্রুত বৃদ্ধি হয়।
ব্লাড ক্যান্সারের প্রকারভেদ
ব্লাড ক্যান্সার মূলত তিন ধরনের হয়ে থাকে।
১. শ্বেত কণিকা থেকে সৃষ্ট ব্লাড ক্যান্সার কে লিউকোমিয়া ব্লাড ক্যান্সার বলে।
২. লসিকা গ্রন্থি থেকে সৃষ্ট ব্লাড ক্যান্সারকে বলা হয় লিম্ফোমা।
৩. প্লাজমা সেল বা কোষ থেকে সৃষ্ট ব্লাড ক্যান্সার কে মাইলোমা বা প্লাজমা সেল লিউকোমিয়া বলা হয়।
Информация по комментариям в разработке