#রঙ

Описание к видео #রঙ

#চৈত্র গাজন প্রথম পর্ব https://youtgu.be/krNS99uTeWo

#চৈত্র গাজন দ্বিতীয় পর্ব #জাগরণ #বোলানা গানের ইতিহাস
   • চৈত্র গাজন - দ্বিতীয় পর্ব // বোলান গ...  

#চৈত্র গাজন শেষাংশ #জনসন্ন্যাস #নীল ষষ্ঠী #হোম
   • #গাজন উৎসব#শেষাংশ #জলসন্ন্যাস #নীল ষষ...  


   / cholarpothesudinersathe  
This channel represents the traditional lost culture of rural Bengal , a state of eastern India. The cultures once were used to uphold the rich heritage of Bengal are now becoming obsolescent in this present digital. These were the means of entertainment of the then people. They are called 'Folk Arts' in Bengali language ' Lok Sanskriti'. Some of them are ' Bhadu Gaan' , 'Manasamongol pala', 'Bolan' , ' Jhapan Gaan' , 'Patchitra' etc.
This channel is making a little effort to restore those culture again.

প্রথম পর্ব
গাজন উৎসব

(ফোন খারাপ ও ভোট উৎসব থাকার জন্য
বিলম্বিত পোস্ট , তখন করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ছিল)

বোলান গান

শৈশব একটি ছড়া আমরা প্রায় ই বলতাম—

‘আমরা দুটি ভাই শিবের গাজন গাই।
ঠাকমা গেছেন গয়া কাশী ডুগডুগি বাজাই।।’

রাঢ়বঙ্গের শৈব-সংস্কৃতির একটি বিশেষ অঙ্গ হচ্ছে ‘গাজন’। গাজন অর্থে (গাঁ= গ্রাম, জন= জনগণ) গ্রামের জনগণের নিজস্ব উৎসব। আবার আর এক মতে বাংলা গাজন শব্দটি গর্জন শব্দ থেকে উৎপন্ন হওয়ার কারনে এই উৎসবে অংশগ্রহণকারী সন্ন্যাসীরা প্রচণ্ড গর্জন করেন বলে উৎসবের এইরূপ নামকরণ হয়।

যাই হোক শিবের গাজন গাই - মানেই বোলান গানের কথা মনে পরে যায়। বোলান গান শিবের গাজন উপলক্ষে গাওয়া একপ্রকার আঞ্চলিক লোকগীতি। নৃত্য-গীত-অভিনয় সংমিশ্রণে এ গান পরিবেশিত হয়।

বোলান গানের দল গঠিত হয় গায়ক-বাদকদের সমন্বয়ে, পুরুষেরা নটিবেশে নর্তকী ও গায়িকার ভূমিকা পালন করে।এই দলকে নেতৃত্ব দেয় একজন ওস্তাদ।

বোলান গান বাঁধা হয় পালার আকারে। এর মুখ্য বিষয় পৌরাণিক কাহিনী। তবে সামাজিক বিষয় ও সমসাময়িক ঘটনা নিয়েও গান ও পাঁচালি রচনা করা হয়।যেমন এই বছর করোনা পরিস্থিতি লকডাউন কে কেন্দ্র করে গান বাধা হয়ে , তার ভিডিও এই পোস্ট এ দিলাম। তবে রঙপাঁচালিতে কৌতুক ও হাল্কা রসের বিষয় থাকে, কিন্তু তা কোনোক্রমেই ভাঁড়ামি বা অশ্লীলতার পর্যায়ে পৌঁছায় না।

বন্দনাগীতির মাধ্যমে বোলান গান শুরু হয় এবং পরে পাঁচালিতে বিভিন্ন সংলাপ মাধ্যমে নাচ-গান-হাস্যরসের সংমিশ্রণে তত্ত্ব কথা দ্বারা পালা গীত হয়ে দর্শকদের মনোরঞ্জন করে। এই গীতের অন্যতম বৈশিষ্ট্য গীতের শেষাংশে পালাকারের নাম , বাদকের নাম , দলটির নিবাস অর্থাৎ কোথা থেকে এসেছে আসরটিতে গান গাইতে।

। গ্রামের উৎসাহী যুবকরা দল গঠন করে সন্ধ্যার দিকে অবসর সময়ে মহড়া দেয়। কোথাও বাদকের অভাব হলে অনুষ্ঠানের দিন ভাড়া করে আনা হয়। গাজন উৎসব এর পরে যে যার কর্মে ফিরে যায়। তাই এই দলটি অস্থায়ী অপেশাদার দল বলা যায়।

বোলান গানের শিল্পীরা কেউ পেশাদার শিল্পী নয়। দলনেতা ছাড়া ব্যাতিক্রম থাকলেও অধিকাংশ শিল্পীর পুঁথিগত বিদ্যা বেশ না হলেও এদের স্মৃতিশক্তি , গায়কী ও বাচন দক্ষতার প্রসংশা র দাবি রাখে । হিন্দি বা বাংলা সঙ্গীত এর সুরকে ব্যাবহার করে পৌরাণিক কাহিনী বা সামাজিক সমস্যা কে রূপদানকারী দক্ষ পালাকার বা গীতিকার‌রা তথাকথিত সভ্য সমাজে তথা লোকচক্ষুর অন্তরালে রয়ে যায়।

যুগের পরিবর্তন সাথে সাথে বেশভূষা সাজসজ্জা খরচ বৃদ্ধির ফলে উপযুক্ত পৃষ্ঠপোষকতার অভাবে বোলান গান ক্রমশ লোপ পাওয়ার পথে।

দ্বিতীয় পর্ব

গাজন উৎসব

পোড়ো বোলান গান

শৈশব এর অন্যতম প্রিয় ছড়া —
‘আমরা দুটি ভাই শিবের গাজন গাই।
ঠাকমা গেছেন গয়া কাশী ডুগডুগি বাজাই।।’

রাঢ়বঙ্গের শৈব-সংস্কৃতির একটি বিশেষ অঙ্গ হচ্ছে ‘গাজন’। রাঢ় তথা নদীয়া, মুর্শিদাবাদ ,বীরভূম ,পূর্ব বর্ধমান জেলার বিভিন্ন স্থানে এই উৎসবকে ঘিরে আলাদা উন্মাদনা।

আনুমানিক ৩৫০-৩৭৫ বছর আগে বোলান গান এর প্রচলন ছিল। তুর্কি আক্রমণ এর পরবর্তী সময়ে এই গানের সূচনা হয় বলে মনে করা হয়। দাঁড় বা পালা বা পাঁচালি বোলান গান এর চিত্র আগের পোস্ট এ করেছি। এখন পোড়ো বোলান বা শ্মশান খেলার বিভিন্ন চিত্র দেওয়া হল।

গাজনের সন্ন্যাসী বা ভক্তরা নিজেদের শরীরকে বিভিন্ন উপায়ে যন্ত্রনা দিয়ে কৃচ্ছ্রসাধনের মাধ্যমে ইষ্ট দেবতাকে সন্তোষ প্রদানের চেষ্টা করেন। শিবের গাজনে দু'জন সন্ন্যাসী শিব ও গৌরী সেজে এবং অন্যান্যরা নন্দী, ভৃঙ্গী, ভূতপ্রেত, দৈত্যদানব প্রভৃতির সং সেজে নৃত্য করতে থাকেন। শিবের নানা লৌকিক ছড়া আবৃত্তি ও গান করা হয়। চৈত্রসংক্রান্তির গাজনে কালী নাচ একটি উল্লেখযোগ্য অনুষ্ঠান। ধর্মের গাজনের বিশেষ অঙ্গ হল নরমুণ্ড বা গলিত শব নিয়ে নৃত্য বা মড়াখেলা (কালিকা পাতারি নাচ) বা শ্মশান দলের নাচ।

এই দলের সদস্যরা মুখমণ্ডলে লাল কালো সাদা সোনালী অভ্র সহ বিভিন্ন ধরনের রং দিয়ে আঁকে। প্রধানত লাল ও কালো রং এর বিশেষ পোশাক পড়ে এবং প্রায় কোমর পর্যন্ত নকল চুলে সজ্জিত হয়।সাথে থাকে কমপক্ষে একটি মড়ার মাথা। বোলান গান এর পরের দিন শিব ভক্ত দের সাথে নিয়ে গঙ্গা স্নান এর উদ্দেশ্য দোলে করে যায়।সাথে কমপক্ষে একটি শ্মশান সন্ন্যাসী থাকে সাথে।

আমার গ্রামের (জলসুতি ) উপর দিয়ে বহু দোল গেলেও শৈশবে আন্না , কচুটিয়া ,মালগ্রাম এর শ্মশান বা আইজুনির পোড়ো বোলান এর দল দেখলে ভয় পেতাম। যে রকম তাদের উচ্চতা ( প্রায় ৬থেকে৭ ফুটের কাছাকাছি) , সেইরকম চেহারা আবার তাদের সাজও সব মিলিয়ে ভয়ঙ্কর রূপ। এই ভয় কে কাজে লাগিয়ে চৈত্র মাসের রোদ্দুর এর হাত থেকে রক্ষা করতে বাড়ির গুরুজন যা বিভিন্ন গল্প বলতেন - বাড়ি থেকে বেড়ুলেই শশ্মানে এ মাথা কেটে নেবে , আর আমরা বাড়ি থেকে বেরিয়ে মাঠে যদি লাল রং এর কাপড় পরা কাউকে ঘুরতে দেখি তাহলেই ঐ সীমানাতে আর কেউ নেই।

লোকবিশ্বাস অনুযায়ী, গাজন উৎসবের দিনে দেবী হরকালীর সঙ্গে শিবের বিবাহ হয়। বিবাহ উৎসবে সন্ন্যাসীরা বরযাত্রী হিসেবে অংশ নেন।

Комментарии

Информация по комментариям в разработке