সকল নবী দাজ্জলের ভয় দেখিয়েছে Part 2 #hadis #trending #dajjal #shorts
দাজ্জাল ইসলামের একটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র, যা কিয়ামত থেকে আগে পৃথিবীতে উপস্থিত হবে। দাজ্জাল একটি বিশাল চেহারার মানুষ, যার এক চোখ অন্ধ থাকবে এবং তার বিরুদ্ধে আল্লাহর সাহায্য ছাড়া কেউ টিকতে পারবে না।
এ সম্পর্কে হাদিসে বলা হয়েছে, দাজ্জাল আসার সময় পৃথিবীতে বিশাল অস্থিরতা, অগ্নিপরীক্ষা এবং সন্ত্রাস সৃষ্টি করবে। তার পেছনে লাখ লাখ অনুসারী থাকবে, যারা তাকে ঈশ্বর বলে বিশ্বাস করবে। তবে, শেষ মুহূর্তে, মহান আল্লাহর নির্দেশে, حضرت عیسیٰ (আস) দাজ্জালকে পরাস্ত করবেন। ইসলামিক বিশ্বাস অনুযায়ী, দাজ্জালের আগমন কিয়ামতের গুরুত্বপূর্ণ একটি ঘটনা এবং তার পর পৃথিবী এক নতুন দিক থেকে পুনর্গঠন হবে।
বিশ্বের সমস্ত মুসলিম উম্মাহকে দাজ্জালের আগমনের পূর্বে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে, যেন তারা তার প্রলোভনে না পড়েন। তাঁর আগমনের সময় যথাযথ উপদেশ গ্রহণ এবং আল্লাহর দিকে ফিরতে হবে। দাজ্জালের বিরুদ্ধে বিশেষভাবে ইবাদত ও দোয়া করার উপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
দাজ্জাল সম্পর্কে ইসলামে বিস্তারিত বর্ণনা রয়েছে, যা মূলত হাদিসের মাধ্যমে প্রাপ্ত। দাজ্জাল এক মন্দ ও বিপজ্জনক চরিত্র, যাকে কিয়ামতের পূর্বে পৃথিবীতে আগমন করতে হবে। ইসলামী বিশ্বাসে, দাজ্জাল মানবজাতির জন্য এক বড় পরীক্ষা, যার মাধ্যমে মানুষকে সঠিক পথ থেকে বিপথগামী করার চেষ্টা করা হবে। তাকে "অন্তিম প্রতারণাকারী" বা "প্রতারণার স্রষ্টা" হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে, যেহেতু তার আসার পর সে পৃথিবীজুড়ে বিশাল অস্থিরতা, বিপদ এবং বিভ্রান্তি সৃষ্টি করবে।
দাজ্জালের চেহারা:
দাজ্জালের চেহারা সম্পর্কে হাদিসে বর্ণনা করা হয়েছে যে, তার একটি চোখ অন্ধ থাকবে এবং অন্য চোখে একটি বড় ও বিশাল দাগ থাকবে। তার দেহের গঠন ভয়াবহ হবে এবং তার চেহারার মধ্যে এক অস্বাভাবিকতা থাকবে, যা সহজেই মানুষের মনে সন্দেহ সৃষ্টি করবে। তার চেহারা দেখে যে কেউ জানবে যে, সে এক বিরাট বিপদ এবং বিপথগামী। দাজ্জালের চোখের বিষয়টি ইসলামে খুবই গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এক চোখের অন্ধত্ব তাকে এক অস্বাভাবিক ও সন্দেহজনক চরিত্র হিসেবে প্রকাশিত করে।
দাজ্জালের কার্যকলাপ:
দাজ্জাল পৃথিবীতে আসলে, তার অনুসারীরা তাকে "খোদা" বা ঈশ্বর বলে মানবে। সে দাবি করবে যে, সে ঈশ্বরের প্রতিনিধি এবং সকল পৃথিবীকে তার অধীনে আনতে চায়। তার ক্ষমতার মধ্যে অনেক অস্বাভাবিক ঘটনা ঘটবে, যেমন সে মৃতদের পুনরুত্থান, ভূমিকম্প সৃষ্টি এবং অগ্নিপরীক্ষা দিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করবে। দাজ্জাল মানুষের প্রতি অত্যাচার ও নিপীড়ন চালাবে এবং তার প্রলোভনে অনেকেই তাকে মান্য করবে।
দাজ্জাল এমনভাবে কার্যক্রম পরিচালনা করবে, যাতে মানুষের ঈমান ও ধর্মীয় বিশ্বাসে আঘাত আসে। তবে, ইসলামিক বিশ্বাস অনুযায়ী, দাজ্জালের এই প্রলোভন থেকে রক্ষা পেতে মুসলমানদের কঠোর সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। তাকে চিহ্নিত করার জন্য মুসলমানদের কাছে অনেক নিদর্শন থাকবে।
দাজ্জাল থেকে রক্ষা:
দাজ্জাল থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য ইসলাম ধর্মে কিছু বিশেষ দোয়া ও নির্দেশনা রয়েছে। হাদিসে এসেছে যে, দাজ্জালের আক্রমণ থেকে বাঁচতে এবং তার প্রভাবে পড়ে না যাওয়ার জন্য, মুসলমানদের উচিত প্রাথমিকভাবে ‘আযকার’ (আল্লাহর নাম স্মরণ) এবং বিশেষ দোয়া পাঠ করা। বিশেষ করে সূরা আল-কাহফের প্রথম দশ আয়াত পাঠ করলে, দাজ্জাল থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব।
একইভাবে, যখন দাজ্জালের আগমন নিশ্চিত হবে, তখন মুসলমানদের জন্য সতর্ক থাকার ও তাকে চিহ্নিত করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তাদেরকে দৃঢ় ঈমান ও আল্লাহর ওপর ভরসা রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
দাজ্জাল ও মেসিহ ইসা (আস):
হাদিসে উল্লেখ করা হয়েছে যে, দাজ্জালের আগমনের সময়, সারা পৃথিবী জুড়ে এক বিশাল অস্থিরতা তৈরি হবে। তখন ইসা (আস) পৃথিবীতে আগমন করবেন এবং দাজ্জালকে পরাজিত করবেন। حضرت عیسیٰ (আস) যেভাবে দাজ্জালকে পরাস্ত করবেন, তা হবে আল্লাহর একটি বিশাল মু'জিযা বা অলৌকিক শক্তির মাধ্যমে। ইসলামের মতে, ইসা (আস) দাজ্জালকে মারবেন এবং তার শাসনের অবসান ঘটাবেন, তারপর পৃথিবীতে শান্তি প্রতিষ্ঠিত হবে।
দাজ্জালের সময়কাল:
দাজ্জালের রাজত্ব মাত্র ৪০ দিন স্থায়ী হবে, যার মধ্যে একদিন এক বছর, একদিন এক মাস, একদিন এক সপ্তাহ এবং বাকি দিনগুলো সাধারণ দিনের মতো হবে। এই সময়কালটি পৃথিবীজুড়ে ভয়ানক দুর্ভিক্ষ, অস্থিরতা এবং বিভ্রান্তি সৃষ্টি করবে।
দাজ্জালের সংকেত:
দাজ্জালের আগমন পূর্বে কিছু প্রাক্কলিত সংকেত থাকবে, যা ইসলামের বিভিন্ন গ্রন্থে উল্লেখিত। এর মধ্যে রয়েছে, মক্কা ও মদিনার বাইরে বড় ধরনের দুর্যোগ, বড় ভূমিকম্প এবং মুসলমানদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি হওয়া। এই সংকেতগুলোর মাধ্যমে দাজ্জালের আগমন সম্পর্কে মুসলমানদের সজাগ হতে হবে।
উপসংহার:
দাজ্জাল ইসলামের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এবং বিপদজনক চরিত্র। তার আগমন পৃথিবীতে বিশাল পরীক্ষার সৃষ্টি করবে। মুসলমানদের জন্য এই সময়ের জন্য প্রস্তুত থাকতে, সতর্ক থাকতে এবং আল্লাহর সাহায্য কামনা করা আবশ্যক। দাজ্জালের বিরুদ্ধে দৃঢ় ঈমান, আল্লাহর স্মরণ এবং প্রার্থনা তাকে পরাস্ত করার একমাত্র উপায়।
Tags:
সকল নবী দাজ্জলের ভয় দেখিয়েছে Part 2 ||,দাজ্জলের ভয় দেখিয়েছে,ভয় দেখিয়েছে Part 2,সকল নবী দাজ্জলের ভয়,সকল নবী দাজ্জলের ভয় দেখিয়েছে,নবী দাজ্জলের ভয় দেখিয়েছে,দাজ্জলের ভয়,সকল নবী দাজ্জলের,নবী দাজ্জলে,দাজ্জালের কাহিনী,দাজ্জাল,দাজ্জলের একটি চক্ষু হবে,দাজ্জাল পৃথিবীর সব থেকে বড় মানুষ হবে,দাজ্জালের নিজস্ব সহচর থাকবে,দাজ্জল দেখতে কেমন হবে,পৃথিবীতে দাজ্জালের অস্তিত্ব,দশজনে সবথেকে ভয়ংকর রূপ,Dajjaler hungkar,dajjal,Salafe Animation Tech,dajjaler kahini,short,Dazzal,dajjal,dajjaler barnona,The arrival of the Dajjal on earth,
আমাদের এই চ্যানেলে প্রতিনিয়ত কোরআন ও হাদিসের বর্ণনা অনুযায়ী ভিডিও তৈরি করা হয় আমাদের চ্যানেলের ভিডিও ভালো লাগলে অবশ্যই সাবস্ক্রাইব করে দিবেন। ধন্যবাদ
#dajjal #kanadajjal #dajjalkeluar #dajjalkajazeera #dajjalstory #dajjalkabaayega #dajjalinislam #dajjalkafitna #islamichistory #islamic
Информация по комментариям в разработке