সাহেব বাঁধের ইতিহাস || The history of Saheb Bandh || Purulia

Описание к видео সাহেব বাঁধের ইতিহাস || The history of Saheb Bandh || Purulia

#সাহেব_বাঁধের_ইতিহাস
#the_history_of_saheb_bandh
#purulia
#purulia_tourism
#arjunthexplorer

জলহীন পুরুলিয়ায় জলের সংস্থানের জন্য তদানীন্তন ডেপুটি কমিশনার কর্নেল টিকলে পুরুলিয়াতে ১৮৩৮ থেকে ১৮৪৩ এই পাঁচ বছরের মধ্যে বর্তমান সাহেব বাঁধটি খনন করেন। এই সাহেব বাঁধ বা নিবারণ সায়র এর বাঁধানো ঘাটের কাছে পঞ্চকোট রাজের প্রতিষ্ঠিত একটি প্রাচীন পুকুর ছিল। রাজা সম্মতি নিয়ে ওই পুকুরকে কেন্দ্র করে প্রায় 70 বিঘা আয়তনের এক বৃহৎ জলাশয় খনন করা হয়। প্রধানত পুরুলিয়া জেলের কয়েদিদের ও কিছু দিনমজুর দিয়ে কৃত্রিম হ্রদের মতো এই সায়রটি খনন করা হয় এবং পরবর্তীকালে এই জলাশয়কে ঘিরে চারপাশে প্রায় ৪ কিলোমিটার রাস্তা নির্মাণ করা হয়। সাহেবকে ভালোবেসে মানভূম বাসীরা এর নাম দেন সাহেব বাঁধ।
তবে এই নামকরণ নিয়ে ভিন্নমতও প্রচলিত আছে। স্থানীয় বয়স্ক লোকদের কথা অনুযায়ী, জোরের জলকে বহালের মাঝে আড় দিয়ে চাষের জল ধরে রাখার মত করে বাঁধ গড়েছিলেন সাহেব রাম মাহাতো। এই সাহেবরাম মাহাতোর গড়া বাঁধের নামই সাহেব বাঁধ যা পরবর্তী সময়ে ইংরেজরা, বড় আকারে সংস্কার করে।। তাই অনেকে ইংরেজদের এই সংস্কারের কথা জেনে ভাবেন যে সাহেব মানে ইংরেজ সাহেব।
উল্লেখ্য যেটার বিশিষ্ট স্বাধীনতা সংগ্রামী ঋষি নিবারণ চন্দ্র দাশগুপ্তের নাম অনুসারে এই সাহেব বাঁধের নামকরণ হয় নিবারণ সায়র। এই সাহেব বাঁধের উত্তর-পূর্ব পাড়ে রয়েছে জেলা বিজ্ঞান কেন্দ্র এবং দক্ষিণ পূর্বদিকে হরিপদ সাহিত্য মন্দির। এছাড়াও আকাশ সরোবর হোটেল,সিংহানিয়া নার্সিংহোম, রোটারি ক্লাব, ভারত সেবাশ্রম, রবীন্দ্র ভবন, আইটি পার্ক, শিকারা পয়েন্ট, সূর্য মন্দির প্রভৃতি এই বাঁধের চারিদিকে ঘিরে অবস্থান করছে।
বর্তমানে এই জলাশয় ও তার পার্শ্ববর্তী এলাকা পুরুলিয়া শহরের প্রাণকেন্দ্র হিসেবে চিহ্নিত।

তথ্যসূত্র: 'পুরুলিয়া' লেখক তরুণ দেব ভট্টাচার্য
'অহল্যাভূমি পুরুলিয়া' সম্পাদনা দেবপ্রসাদ জানা
ফেসবুক বন্ধু ত্রিদীবেশ চ্যাটার্জি।

Комментарии

Информация по комментариям в разработке