কুমারটুলির ভূতুড়ে রিকশা | গা ছমছমে ভূতের গল্প | The singing ghost
Description
কুমারটুলির ভূতুড়ে রিকশা
রাতটা ছিল ঘোর কালো, আর কলকাতার কুমারটুলির সরু, আঁকাবাঁকা গলিগুলোয় একটা ঘন, স্যাঁতসেঁতে বাতাস বইছিল। কলেজের ছাত্র অভি খুব মরিয়া হয়ে পড়েছিল বাড়ি ফেরার জন্য। শেষ বাস আর মেট্রো দুটোই সে মিস করেছে, আর রাস্তাগুলো ছিল অস্বাভাবিক রকমের ফাঁকা। যখন সে প্রায় আশা ছেড়ে হেঁটে যাওয়া শুরু করবে, তখনই অন্ধকার থেকে একটা রিকশা ভেসে এলো, তার পুরনো ঘণ্টিটা একটা ক্ষীণ, ধাতব শব্দ করল।
রিকশাওয়ালা ছিল একজন বৃদ্ধ লোক, তার পিঠটা কুঁজো, আর তার মুখটা টুপিটার ছায়ায় ঢাকা। "শ্যামবাজার?" অভি জিজ্ঞেস করল, তার গলাটা রাতের নিস্তব্ধতায় একটু বেশিই জোরালো শোনাল। লোকটি মাথা নাড়ল এবং তাকে উঠে বসার জন্য ইশারা করল। অভি যখন জীর্ণ কাঠের আসনে বসল, সে একটা অস্বাভাবিক শীতলতা অনুভব করল। রিকশাটা, বৃদ্ধের পরিশ্রমী শ্বাস-প্রশ্বাস সত্ত্বেও, অদ্ভুত, নীরব গতিতে চলছিল।
তারা কুমারটুলির পরিচিত গলিগুলো পার হচ্ছিল, যেখানে অর্ধ-সমাপ্ত দেব-দেবীর মূর্তিগুলো চাঁদের আলোয় নীরব প্রহরীর মতো দেখাচ্ছিল। অভি একটা অস্বস্তিকর জিনিস লক্ষ্য করল: বৃদ্ধের পা, যদিও টানার ভঙ্গিতে নড়ছিল, কিন্তু তা যেন মাটি স্পর্শ করছিল না। ভয়ে তার মেরুদণ্ড দিয়ে একটা ঠান্ডা স্রোত বয়ে গেল। বৃদ্ধ রিকশা টানছিল, কিন্তু রাস্তায় চাকার কোনো শব্দ হচ্ছিল না। তারা যেন ভেসে যাচ্ছিল।
হঠাৎ, রিকশাটা একটা ফাঁকা জায়গায় থামল। বৃদ্ধ ঘুরে তাকাল, আর চাঁদের আলোয় তার মুখটা দেখা গেল। মুখটা ছিল কঙ্কালসার, চোখের কোটরগুলো ফাঁকা আর তাতে একটা ভয়ংকর, চওড়া হাসি লেগে ছিল। অভি ভয়ে কেঁপে উঠল এবং নামার জন্য দ্রুত চেষ্টা করল, কিন্তু রিকশার আসনটা এখন অসম্ভব ঠান্ডা এবং চটচটে হয়ে গেছে। তার রক্ত যেন জমাট বেঁধে গেল।
চারপাশের অন্ধকার থেকে ফিসফিসানির একটা কোরাস ভেসে এল। "আরেকটা এসেছে আমাদের জন্য..." "সে বিনা পয়সার যাত্রা চেয়েছিল..." ছায়া থেকে বেরিয়ে এল কিছু আকৃতি—তারা মানুষ নয়, বরং অর্ধ-সমাপ্ত মাটির মূর্তি, তাদের রংহীন চোখ আর ফাঁপা মুখগুলো তার দিকে তাকিয়েছিল। তারা পোড়ামাটির তৈরি হাত বাড়িয়ে দিল, তাদের নড়াচড়া ছিল অস্বাভাবিক এবং অমসৃণ।
ঠিক সেই মুহূর্তে, একটা শঙ্খের ক্ষীণ সুর বাতাসে প্রতিধ্বনিত হলো। কাছেই দাঁড়িয়ে থাকা একটি অসমাপ্ত দুর্গা প্রতিমা থেকে হঠাৎ একটি ঝলমলে আলো বের হল। আলোটা আরও উজ্জ্বল হল, আর ভয়ংকর মূর্তিগুলো আর্তনাদ করে উঠল, তাদের মাটির শরীরগুলো ফেটে গিয়ে ধুলোয় পরিণত হতে লাগল।
ভূতুড়ে রিকশা চালকের হাসিটা মিলিয়ে গেল, এবং সেও ধীরে ধীরে সূক্ষ্ম, ধূসর গুঁড়োয় মিলিয়ে যেতে শুরু করল। প্রতিমা থেকে আসা আলোটা অভিকে ঘিরে ধরল, আর সে নিজেকে অন্ধকার গলির মাঝে একা দাঁড়ানো অবস্থায় দেখতে পেল। সেই হিমশীতল অনুভূতিটা চলে গেছে, তার জায়গায় একটা গভীর স্বস্তি অনুভব করছিল সে। সে যেখানে রিকশাটা ছিল সেদিকে ফিরে তাকাল; সেখানে কিছুই ছিল না শুধু মাটিতে মাটির গুঁড়োর একটা ক্ষীণ অবশেষ পড়ে ছিল।
ভয়ে কাঁপা সত্ত্বেও, নিরাপদে অভি শেষ পর্যন্ত তার দীর্ঘ পথচলা শুরু করল, আর কুমারটুলির পুরনো দেব-দেবীর প্রতি তার মনে এক নতুন শ্রদ্ধা গেঁথে গেল।
শহরের এক ফটোগ্রাফার, গ্রামের এক পুরোনো পুকুরের ধারে দেখা পেল এক রহস্যময়ী নারীর। তার গান শুনে সম্মোহিত হয়ে সে কি পারবে নিজেকে বাঁচাতে? নাকি সেই মায়াবিনীর ফাঁদে পড়বে চিরকালের জন্য?
এটি একটি নতুন বাংলা ভূতের গল্প যা আপনাকে ভয়ে শিহরিত করে তুলবে!
Trending Tags
#BanglaHorrorStory #ভূতেরগল্প #শেষরাতেরগান #BengaliGhostStory #VuterGolpo #HorrorStoryInBengali #BanglaBhutergolpo #MysteriousStory #HauntedPond #Supernatural #NewHorrorStory #ScaryStory #TrendingHorror
Информация по комментариям в разработке