মনোমোহিনী দেবী আঠারো বছর বয়সে প্রথম অন্তঃসত্ত্বা হন। একদিন দুপুরে একজন সন্ন্যাসী মনোমোহিনী দেবীর কাছে সেবা নিতে চাইলে তিনি ভক্তিভরে অতিথিকে সেবা করেন। সন্ন্যাসী বাড়ী ছেড়ে যাবার সময় বলেন, এই বাড়ির একমাত্র পুত্রের মৃত্যু হবে। এবং এই বাড়িতে একজন মহাপুরুষ জন্মাবেন, যিনি বহুলোকের অধীশ্বর হবেন এবং জগতের প্রভুত কল্যাণ সাধন করবেন।
তার কিছুদিন পরেই কৃষ্ণসুন্দরীর পুত্র যোগেন্দ্রনারায়ণ অসুস্থ হয়ে পড়েন, রোগভোগে মারা যান। ওদিকে মনোমোহিনী দেবীর গর্ভ-ধারণের স্বাভাবিক কাল ১০ চান্দ্রমাস পেরিয়ে আরো ১ মাস হয়ে গেল ! এখনো প্রসব-বেদনার লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না ! সকলে চিন্তিত। অবশেষে সব-চিন্তার চিন্তামনি ১১টি সৌরমাস গর্ভবাসের লীলা সেরে মাটির পৃথিবীতে ভূমিষ্ট হলেন কাউকে কিছু বুঝতে না দিয়ে—সকলের অজান্তে।
সাধারণ জীবকোটির মানুষেরা জ্যোতির্ময়ের জ্যোতির আলোকরশ্মির ছটার মহিমা বা স্বরূপের সাথে তো পরিচিত নয়! তাই ভুল করে পদ্মানদীর মাঝিরা, পাড়া-প্রতিবেশীরা, অনেকেই হাতে জলের বালতি নিয়ে, জ্যোতির ছটা-কে আগুন ভেবে, আগুন নেভাতে চলে এসেছে কর্তামার বাড়ীতে! লোকজনের ভীড়, শঙ্খ বাজছে, হুলু দিচ্ছে,— কোথায় আগুন! কর্তামার মেয়ে ‘মনো’-র ছেলে হয়েচে, জন্মাবার সময় সেই ছেলের গা থেকেই নাকি আলো বেরোচ্ছিল! কি অলুক্ষণে ব্যাপার বলো দিকিনি! জন্মের সাথে সাথে সব বাচ্চারা কাঁদে, এ ছেলে নাকি খিল খিল করে হাঁসচে! তার ওপর আবার মাথায় নেই চুল! মুণ্ডিত মস্তক !
হ্যাঁ, ঠিক তাই। শাস্ত্র-নির্দিষ্ট সব লক্ষণ নিয়েই অসীম মানবদেহে সীমায়িত হয়ে জন্ম নিয়েছিলেন বারেন্দ্র শ্রেণীর ব্রাহ্মণ পিতা শিবচন্দ্র চক্রবর্তী এবং মাতা মনোমোহিনীর সন্তানরূপে। অবিভক্ত বাংলার পাবনা জেলার হিমায়েতপুর গ্রামে। বাংলা ১২৯৫ সনের ৩০শে ভাদ্র, সংক্রান্তির শুভ সকালে, চার দণ্ড বিশ পল্-এ।
* * *
।। পুরুষোত্তম লক্ষণ।।
আজানুলম্বিত বাহু, চোখের সরলরেখার নীচে কানের অবস্থান। দেহসৌষ্ঠবে হিরণ্যগর্ভ জ্যোতি। সমগ্র ঐশ্বর্য্য, বীর্য্য, যশ, সৌভাগ্য জ্ঞান, বৈরাগ্য ইত্যাদি ষড়ৈশ্বর্য্যের অধিকারী।
৩২টি দৈহিক লক্ষণঃ
৫টি দীর্ঘ—নাসিকা, হস্ত, হনু বা কপোল, নেত্র, জানু
৫টি সূক্ষ্ম—ত্বক, কেশ, অঙ্গুলীপর্ব, দন্ত, রোম
৭টি রক্তাভ—নেত্রান্ত, পদতল, করতল, তালু, ওষ্ঠধর, জিহ্বা, নখ
৬টি উন্নত—বক্ষ. স্কন্ধ, নাসিকা, কটি, মুখ, নখ
৩টি হ্রস্ব—গ্রীবা, জঙ্ঘা, মেহন
৩টি বিশাল—কটি, ললাট, বক্ষ
৩টি গম্ভীর—নাভী, স্বর, জ্ঞান।
#শ্রী শ্রী ঠাকুর অনুকূল চন্দ্রের জীবনী
#ঠাকুরের আদর্শ
#ঠাকুরের দীক্ষা প্রচলন
#শ্রী শ্রী ঠাকুরের নীতি
#সৎসঙ্গের প্রতিষ্টা
#সৎসঙ্গ পাবনা
#সৎসঙ্গ দেওঘর
#সৎসঙ্গ বারাসাত
#ওয়ার্ল্ড সৎসঙ্গ
#সৎসঙ্গ উত্তর ২৪ পরগনা
Информация по комментариям в разработке