চর্যাপদ নিয়ে আর কোনো সমস্যা থাকবে না Charyapada

Описание к видео চর্যাপদ নিয়ে আর কোনো সমস্যা থাকবে না Charyapada

আরও দেখতে পারেন:

আরাকান রাজসভায় বাংলা সাহিত্যের চর্চা শুরু হলো যেভাবে:    • আরাকান রাজসভায় বাংলা সাহিত্যের চর্চা ...  

বাংলা ভাষার উদ্ভব ও বিকাশ:
   • বাংলা ভাষার উদ্ভব ও বিকাশ BCS Bangla  

ব্যর্থ রাষ্ট্র কাকে বলে?:    • Видео  
হাসান আজিজুল হক, জীবন ও কর্ম:    • হাসান আজিজুল হক, জীবন ও কর্ম Hasan Az...  
চর্যাপদ নিয়ে আর কোনো সমস্যা থাকবে না:    • চর্যাপদ নিয়ে আর কোনো সমস্যা থাকবে না ...  
বাংলা সাহিত্যের যুগ বিভাগ:    • বাংলা সাহিত্যের যুগ বিভাগ  
বাংলা সাহিত্যের অন্ধকার যুগ:    • বাংলা সাহিত্যের অন্ধকার যুগ The Dark ...  



ভিডিওগুলো ফেসবুকে পেতে লাইক করুন: https://www.facebook.com/PracticeforB...

চর্যাপদ নিয়ে আর কোনো সমস্যা থাকবে না #Charyapada

প্রাচীন যুগের একমাত্র নিদর্শন #চর্যাপদ। এর ভাষা ও বিষয়বস্তু দুর্বোধ্য এবং এর কবিরা ছিলেন বৌদ্ধ সাধক। এতে উঠে এসেছে বৌদ্ধ ধর্মের তত্ত্বকথা।

এ সময়ের সাহিত্যের প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো গোষ্ঠী কেন্দ্রিকতা ও ধর্মনির্ভরতা।

চর্যাপদ কী এবং কারা এগুলো রচনা করেন?

চর্যাপদ হলো গানের সংকলন বা সাধন সংগীত। যা #বৌদ্ধ #সহজিয়াগণ রচনা করেন। এতে বৌদ্ধ ধর্মের তত্ত্বকথা উঠে এসেছে।

#চর্য্যাচর্য্যবিনিশ্চয় বা এ গানের সংকলনের সাহায্যে কোনটি চর্য (আচরণীয়) আর কোনটি অচর্য (অনাচরণীয়) তা বিনিশ্চয় (নির্ণয়) করা যেতে পারে।

চর্যাপদ আবিষ্কারের ইতিহাস
১৮৮২ সালে ‘#বিবিধার্থ’ পত্রিকার সম্পাদক রাজেন্দ্রলাল মিত্র ‘#সংস্কৃত বুদ্ধিস্ট লিটারেচার ইন নেপাল’ গ্রন্থে নেপালে পাওয়া সংস্কৃত ভাষায় রচিত বিভিন্ন বৌদ্ধতান্ত্রিক সাহিত্যের কথা প্রকাশ করেন।

#রাজেন্দ্রলালের মৃত্যুর পর তৎকালীন ব্রিটিশ সরকার বাংলা, বিহার ও আসাম অঞ্চলের পুঁথি সংগ্রহের দায়িত্ব দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের প্রতিষ্ঠাকালীন বিভাগীয় প্রধান মহামহোপাধ্যায় হরপ্রসাদ শাস্ত্রীর ওপর।

তিনি তৃতীয়বারের প্রচেষ্টায় ১৯০৭ সালে নেপালের রাজ দরবারের গ্রন্থাগারে নতুন কিছু পুঁথির সন্ধান পান। যা ‘#চর্য্যাচর্য্যবিনিশ্চয়’, ‘#ডাকার্ণব’, ‘#সরহপাদেরদোহা’ ও ‘#কৃষ্ণপাদেরদোহা’ নামে পরিচিত।

এর মধ্যে পর্যাপদ বাংলা ভাষায় এবং বাকি তিনটি অপভ্রংশ ভাষায় রচিত।#হরপ্রসাদ শাস্ত্রীর এর আগে ১৮৯৭ সালে প্রথমবার ও ১৮৯৮ সালে দ্বিতীয়বার চেষ্টা করেন।

হরপ্রসাদ শাস্ত্রী ১৯০৫ সালে এশিয়াটিক সোসাইটি থেকে A Catalogue of Palm Leaf and selected Paper MSS belonging to the Durbar Libraray নামে নেপাল থেকে পাওয়া তালপাতার পুঁথির একটি তালিকা প্রকাশ করেন। পরবর্তীতে এটি তার সম্পাদনায় ১৯১৬ সালে (১৩২৩ বঙ্গাব্দ) কলকাতার ‘বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ’ থেকে ‘হাজার বছরের পুরনো বাঙ্গালা ভাষার বৌদ্ধগান ও দোহা’ নামে প্রকাশিত হয়।

ইতিহাস থেকে পাওয়া তথ্যমতে, সেন রাজারা ছিলেন হিন্দু ধর্মাবলম্বী কিন্তু চর্যাপদের রচয়িতারা ছিলেন বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী। তাই ধর্মীয় সংকীর্ণতায় নিমজ্জিত সেন আমলের কিছু হিন্দু ব্রাহ্মণ বৌদ্ধদের ওপর নিপীড়ন চালায়।

এ ছাড়া, ১২০৪ সালে ইখতিয়ার উদ্দিন বখতিয়ার খলজীর বাংলায় আগমন ঘটলে মুসলিম তুর্কিদের আক্রমণের ভয়ে বৌদ্ধ পণ্ডিতরা পুঁথিপত্র নিয়ে নেপাল, ভুটান ও তিব্বতে পালিয়ে যান। এ কারণেই চর্যাপদ নেপালে পাওয়া যায়।

চর্যাপদের রচনাকাল:

চর্যাপদের রচনাকাল নিয়ে মতভেদ আছে। ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহর মতে, ৬৫০ থেকে ১২০০ সালের মধ্যে চর্যাপদ রচিত।

সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়ের মতে, ৯৫০ থেকে ১২০০ সালের মধ্যে চর্যাপদ রচিত।

তবে, ড. সুকুমার সেনের মতে, চর্যাপদ রচিত হয় ৯০০ থেকে ১৩৫০ সালের মধ্যে।

চর্যাপদের কবি ও পদকর্তা কত জন?ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহর মতে ২৩ জন। ড. সুকুমার সেনের মতে ২৪ জন।

চর্যাপদের কবি ও পদকর্তাদের নামআর্যদেবপা, কঙ্কণপা, কম্বলাম্বরপা, কাহ্নপা, কুক্কুরীপা, গু-ুরীপা, চাটিলপা, জয়নন্দীপা, ঢে-ণপা, ডোম্বীপা, তান্তীপা, তাড়কপা, দারিকপা, ধর্ম্মপা, বিরূপা, বীণাপা, ভাদেপা, ভুসুকুপা, মহী-াপা, লাড়িডোম্বীপা, লুইপা, শবরপা, শান্তিপা ও সরহপা।

চর্যাপদের মোট কতটি পদ পাওয়া গেছে?

ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহর Buddhist Mystic Songs গ্রন্থের মতে চর্যাপদের মোট পদসংখ্যা ৫১টি। যেসব পদ পাওয়া যায়নিভুসুকুপা রচিত ২৩ নম্বর পদের অর্ধেক। কাহ্নপা রচিত ২৪ নম্বর পদ। তান্তীপা রচিত ২৫ নম্বর পদ। কুক্করীপা রচিত ৪৮ নম্বর পদ পাওয়া যায়নি।

সবচেয়ে বেশি সংখ্যক পদের রচয়িতা:


যারা পদ রচনা করেছেন তাদের সবাইকে মহাসিদ্ধ বলা হয়ে থাকে।

চর্যাপদের প্রথম পদের রচয়িতা: লুইপা তিনি দুটি পদ রচনা করেছেন। পদগুলো হলো, ১ ও ২৯ নম্বর পদ।

হরপ্রসাদ শাস্ত্রীর মতে, তিনি রাঢ় অঞ্চলের বাঙালি কবি হিসেবে পরিচিত।

ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহর মতে, তিনি শবরপার শিষ্য ছিলেন। লুইপাকে আদি চর্যাকার হিসেবেও ধরা হয়। চর্যাপদের প্রথম পদটি হলো, কাআ তরুবর পঞ্চ বি ডাল/ চঞ্চল চীএ পইঠো কাল।

চর্যাপদের ছন্দ: চর্যাপদ মাত্রাবৃত্ত ছন্দে রচিত।

কোন প-িত চর্যাপদের পদগুলো টিকার মাধ্যমে ব্যাখ্যা করেন:প-িত মুনিদত্ত। তবে, তিনি ১১ নং পদের ব্যাখ্যা দেননি।

চর্যাপদের তিব্বতি অনুবাদচর্যাপদকে তিব্বতী ভাষায় অনুবাদ করেছিলেন কীর্তিচন্দ্র। ১৯৩৮ সালে প্রবোধচন্দ্র বাগচি এটি আবিষ্কার করেন।

এছাড়া রচয়িতা হিসেবে লাড়ীডোম্বী পার নাম পাওয়া গেলেও তার কোনো পদ পাওয়া যায়নি।

ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহর মতে, প্রাচীনতম চর্যাকার হলেন শবরপা (৬৮০-৭৬০ খ্রিষ্টাব্দ) এবং আধুনিক চর্যকার হলেন ভুসুকুপা। শবরপা, ভুসুকুপা ও লুইপা বাঙালি কবি হিসেবে পরিচিত। কাহ্নপার পরিচয়চর্যাপদের সবচেয়ে বেশি পদের রচয়িতা কাহ্নপা। তিনি ১৩টি পদ রচনা করেন। কাহ্নপা সহজিয়া তান্ত্রিক বৌদ্ধযোগী। তিনি ধর্মশাস্ত্র ও সংগীত শাস্ত্র উভয় বিষয়েই দক্ষ ছিলেন। তার পদগুলোতে নিপুণ কবিত্বশক্তি প্রকাশের পাশাপাশি তৎকালীন সমাজচিত্র উপস্থাপিত হয়েছে।

চর্যাপদের ভাষা
মহামহোপাধ্যায় হরপ্রসাদ শাস্ত্রীর মতে, সন্ধ্যা বা সান্ধ্য ভাষা বা আলো-আঁধারির ভাষায় রচিত চর্যাপদ।

Комментарии

Информация по комментариям в разработке