Скачать или смотреть Vidyasagar in women education/নারীশিক্ষায় বিদ্যাসাগর/দশম শ্রেণীর ইতিহাস/

Vidyasagar in women education/নারীশিক্ষার বিস্তারে বিদ্যাসাগরের অবদান/দশম শ্রেণীর ইতিহাস/#history #class #bengali ✍️#youtubevideo #education #viral #swapnakhonjeducation #exam #wbclass10 #wbeducation #historywbcs


এইরকম নতুন নতুন ক্লাস ভিডিও পেতে বন্ধুরা দয়া করে চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করে রাখবেন ও পাশের নটিফিকেশন বোতামটি সক্রিয় রেখে পাশে থাকবেন। ভিডিও ভালো লাগলে লাইক,কমেন্ট,শেয়ার করবেন। ধন্যবাদ।🙏



দশম শ্রেণীর ইতিহাস
আজকের বিষয়- নারীশিক্ষার বিস্তারে বিদ্যাসাগরের অবদান।

উনিশ শতকের সূচনায় ভারতে নারীশিক্ষার বিশেষ কোনো প্রসার হয়নি। খ্রিস্টান মিশনারীরা এ বিষয়ে কিছু উদ্যোগ নিলেও নানা প্রকার কুসংস্কার এই পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল। বাংলায় স্ত্রী শিক্ষা বিস্তারে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের ভূমিকা ছিল অতি গুরুত্বপূর্ণ।

১। নারীশিক্ষার উদ্দেশ্য-
ক। বঙ্গীয় নবজাগরণের প্রতিমূর্তি এই সংস্কৃত পন্ডিত উপলব্ধি করেছিলেন যে, একমাত্র শিক্ষাই যুগ যুগ সঞ্চিত কুসংস্কারের ঘাঁটিতে আক্রমন এনে নারী সমাজকে আধুনিকতার আলোকে উদ্ভাসিত করতে পারে।

খ। এ সময় গভর্নর জেনারেলের আইন সংক্রান্ত বিষয়ের উপদেষ্টা এবং ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির শিক্ষা কমিটির সভাপতি ছিলেন জন এলিয়ট ড্রিংক ওয়াটার বেথুন। এদেশের মেয়েদের শিক্ষার উদ্দেশ্য 1849 খ্রিস্টাব্দের 7 ই মে উত্তর কলকাতার হেদুয়া দীঘির পশ্চিম দিকে তিনি ক্যালকাটা ফিমেল স্কুল স্থাপন করেন।

২। নারীশিক্ষার উদ্যোগে বিদ্যাসাগরের অবদান-
সংস্কৃত কলেজের সাহিত্যের অধ্যাপক ঊনত্রিশ বয়স্ক ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরকে  1850 খ্রিস্টাব্দে এই বিদ্যালয়ের অবৈতনিক সম্পাদক নিযুক্ত করা হয়। অপরিসীম কর্মদক্ষতার অধিকারী শাস্ত্রজ্ঞ পন্ডিত বিদ্যাসাগর সমকালীন কুসংস্কারের কথা মাথায় রেখে বিদ্যালয়ের ছাত্রীদের জন্য ব্যবহৃত ঘোড়ার গাড়ির দুপাশে মহানির্বানতন্ত্র থেকে একটি শ্লোকাংশ লিখে দেন। তাতে লেখা ছিল-"কন্যাপব্যং পালনীয়া শিক্ষানিয়াতী জত্নত:" অর্থাৎ পুত্রের মতো কন্যাকেও একইভাবে পালন করতে হবে এবং অত্যন্ত যত্ন সহকারে শিক্ষা দিতে হবে।

৩। নারীশিক্ষার গুরুত্ব-
ক। 1854 খ্রিস্টাব্দে চার্লস উড এর নির্দেশনামায় স্ত্রী শিক্ষার ওপর গুরুত্ব আরোপিত হয়। এ বছরেই স্যার ফ্রেডারিক হালিডে বাংলার ছোটলাট নিযুক্ত হন। বিদ্যাসাগরের গুনগ্রাহী এই মানুষটি তাঁকে 1855 খ্রিস্টাব্দে দক্ষিণ বাংলার বিদ্যালয় গুলির সহকারী পরিদর্শক নিয়োগ করেন। এর ফলে তিনি একই সঙ্গে এই গুরুত্বপূর্ণ পদ এবং সংস্কৃত কলেজের অধ্যক্ষের দায়িত্ব পরিচালনা করতে থাকেন।

খ। স্ত্রী শিক্ষা বিস্তারে সরকারের আগ্রহ দেখে 1857 এর নভেম্বর থেকে 1858 এর মে পর্যন্ত মাত্র সাত মাসের মধ্যে দক্ষিণবঙ্গের চারটি জেলায় নদীয়া, বর্ধমান, হুগলি ও মেদিনীপুর এ তিনি 35 টি বালিকা স্থাপন করেন। এগুলিতে 1300 ছাত্রী পড়াশুনো করত এবং এর মাসিক ব্যয় ছিল 845 টাকা।

গ। সরকারি অনুমোদন ছাড়াই তিনি একাজ করেছিলেন। তাঁর ধারণা ছিল যে, তিনি সরকারি অনুমোদন পাবেন। বাস্তবে তা হয়নি। কমিটি অব পাবলিক ইন্সট্রাকশানের এর নতুন ডিরেক্টর গর্ডন ইয়ং এই অর্থ বরাদ্দ করতে অস্বীকার করলে তিনি সরকারি কাজ ও সংস্কৃত কলেজের অধক্ষ পদে ইস্তফা দেন।

মূল্যায়ন-
তিনি মেয়েদের উচ্চ শিক্ষা সম্পর্কে যে কতটা উৎসাহী ছিলেন, তার প্রমান হিসেবে বলা যায় যে, 1884 খ্রিস্টাব্দে চন্দ্রমুখী বসুমেয়েদের মধ্যে প্রথম এম. এ. পাশ করলে তিনি তাঁকে শেক্সপিয়রের রচনাবলীর একটি খন্ড উপহার দেন।