Скачать или смотреть দেখুন সেই সব বিশ্বাসঘাতকদের যারা ভারতে থেকে ভারতের পরাজয়ে পালন করল আনন্দ উৎসব, পুড়ল বাজি

নিউজ ডেস্ক- ভারত হেরেছে তাই আনন্দে উৎসব পালন করল ভারতেরই একদল মানুষ। পূড়ল বাজি, উল্লাসে মেতে উঠলো সকলে সঙ্গে উচ্চকণ্ঠে শ্লোগান 'পাকিস্তান জিন্দাবাদ'।
যখন বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে ভারতের পরাজয়ে বিষন্নতায় ঢেকে আছে সারা দেশ তখন এই মানুষ গুলো যারা ভারতেই থাকে, খায় যাবতীয় সুবিধা ভোগ করে, এই দেশের পরাজয়েই উৎসব পালন করল। নাচ-গান, বাজি পোড়ানো ও আনন্দ মিছিল। আর তাদের সেই উৎসবের ছবি টুইট করে উল্লাস প্রকাশ করলেন কাশ্মীরের হুরিয়ত কনফারেন্স চেয়ারম্যান সঈদ আলি গিলানি। প্রশ্ন এখানেই এরপরেও বেশ কিছু রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব এবং গুটিকয়েক বুদ্ধিজীবী যারা নিয়মিত মুখ খুলতে অভ্যস্ত, হয় মুখ বুজে থাকবেন নতুবা গিলানির পক্ষেই কথা বলবেন। আমরা গিলানির সৌজন্যেই সেই ছবি আপনাদের সামনে তুলে ধরেছি। দেখুন সেই ভিডিও। যদিও এটি শেয়ার করার উদ্দেশ্যে নয়, এই ভিডিও দেখে চিনুন সেই সব বিশ্বাসঘাতকদের যারা এই দেশে থেকে এ-ই দেশেরই পরাজয়ে উল্লসিত হয় তারা এই দেশের জন্যে কতটা ক্ষতিকর হয়ে উঠতে পারে।
কাশ্মীর, হ্যাঁ, সেখানেই ভারত বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে যাওয়ায় আনন্দ উদযাপন করলেন একদল মানুষ। পুলওয়ামা ও শ্রীনগরের একাধিক জায়গায় বাজি পুড়ল। লোকজন আনন্দে নাচানাচি করলেন। কারণ, ভারতীয় দল বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে গিয়েছে! নিউ জিল্যান্ডের কাছে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে ধোনি-কোহলিদের হার নিয়ে যখন সারা দেশ মন খারাপ করে বসেছিল, তখন কাশ্মীরের একাংশের কিছু মানুষ উৎসব পালন করলেন। এমনকী, আনন্দ উদযাপনের সময় 'পাকিস্তান জিন্দাবাদ' স্লোগানও দিলেন।
পাকিস্তান ও বাংলাদেশের সমর্থকরাও ভারতের হারে আনন্দ প্রকাশ করেছিলেন। তবে সেই আনন্দ প্রকাশ সোশ্যাল মিডিয়াতে সীমাবদ্ধ ছিল। এবং তারা অন্যদেশের। কিন্তু এখানে এই উৎসব চলল দেশের মাটতেই। কাশ্মীরে প্রকাশ্যেই চলল ভারতের পরাজয়ের উৎসব অনুষ্ঠানের উদযাপন। নাচ-গান, বাজি পোড়ানো ও আনন্দ মিছিলের মধ্যে দিয়ে কাশ্মীরে এক শ্রেণীর জনগণ দেশের হার উদযাপন করলেন! আর কাশ্মীরের হুরিয়ত কনফারেন্স চেয়ারম্যান সঈদ আলি গিলানি সেই আনন্দ উত্সবের ভিডিয়ো শেয়ার করলেন। লিখলেন, ''অন্যের জন্য গর্ত খুঁড়লে সেই গর্তে নিজেকেই পড়তে হয়!''
আনন্দ উদযাপনের মাঝে আজাদ কাশ্মীরের দাবিতে স্লোগান দেন এক দল মানুষ। ভারতবিরোধী স্লোগানও শোনা যায়। নিরাপত্তারক্ষীরা এই আনন্দ উদযাপনে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু তাদের উপর পাথর ছোড়া শুরু হয়। পুলিস ইতিমধ্যে এমন ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।এমন ঘটনা দেশের মানুষের কাছে অনেকগুলো প্রশ্ন রেখে গেল।