Скачать или смотреть এক নজরে কোরআন । সূরা হিজর । নামের রহস্য । মেজর থিম । অন্য সূরার সঙ্গে সম্পর্ক । শানে নুযুল

এক নজরে কোরআন । সূরা হিজর । নামের রহস্য । মেজর থিম । অন্য সূরার সঙ্গে সম্পর্ক । শানে নুযুল
📘 সূরা আল-হিজর (Surah Al-Hijr)
🔢 মৌলিক তথ্য:

নাম: আল-হিজর (الحجر)

অর্থ: "হিজর জনগোষ্ঠী" (সামূদের বসতি, আজকের সৌদি আরবে আল-উলা অঞ্চল)

সূরা নম্বর: ১৫

আয়াত সংখ্যা: ৯৯

নাজিলের স্থান: মক্কা

রুকু: ৬

🧭 সূরার মূল বিষয়বস্তু:
১. 📖 কুরআনের সংরক্ষণ প্রতিশ্রুতি (আয়াত ৯):

إِنَّا نَحْنُ نَزَّلْنَا الذِّكْرَ وَإِنَّا لَهُ لَحَافِظُونَ

বাংলা: "নিশ্চয় আমিই জিকির (কুরআন) নাজিল করেছি, এবং আমিই এর সংরক্ষক।"

🔍 এ আয়াত কুরআনের অক্ষয়তা ও বিকৃতির বিরুদ্ধে আল্লাহর গ্যারান্টি।
২. 🧑‍🤝‍🧑 পূর্ববর্তী নবী ও জাতির গল্প:

হযরত আদম (আ.) ও শয়তানের অহংকার।

শয়তানের অনড় অবস্থান: সে কিয়ামত পর্যন্ত মানুষকে বিপথে চালাতে চায়।

সামূদ, লুত (আ.)-এর জাতি এবং হিজর অঞ্চলের ধ্বংসপ্রাপ্ত সম্প্রদায়।

৩. 📌 নবী মুহাম্মাদ (সা.)-কে সান্ত্বনা:

কাফেররা উপহাস করলেও ধৈর্য ধরতে বলা হয়েছে।

পূর্ববর্তী নবীদের সাথেও এমনই আচরণ হয়েছিল।

৪. 🌍 আল্লাহর সৃষ্টি ও নিয়ন্ত্রণের নিদর্শন:

আকাশ, তারকা, বৃষ্টি, উদ্ভিদ, দিন-রাতের পালাবদল — সব আল্লাহর কুদরতের নিদর্শন।

✨ গুরুত্বপূর্ণ আয়াতসমূহ:
▶️ আয়াত ৯ – কুরআনের সংরক্ষণ:

কুরআন আল্লাহ নিজে নাজিল করেছেন এবং তিনি নিজেই তার সংরক্ষক।

▶️ আয়াত ২৬-৩৫ – হযরত আদম (আ.)-এর সৃষ্টি ও শয়তানের অবাধ্যতা।
▶️ আয়াত ৮৭ – সূরা ফাতিহা-র গুরুত্ব:

“আমি তোমাকে দিয়েছি সাতটি পুনরাবৃত্ত আয়াত (সূরা ফাতিহা) এবং মহান কুরআন।”

🧠 সূরা থেকে শিক্ষা:

আল্লাহর বানী কিয়ামত পর্যন্ত অক্ষয়।

ইবলিস অহংকারের কারণে ধ্বংসপ্রাপ্ত— অহংকার এড়িয়ে চলা জরুরি।

নবীদের প্রতি ধৈর্য, সাহস ও দাওয়াত অব্যাহত রাখার শিক্ষা।

কুরআন পড়া, বুঝা ও অনুসরণ করাই আসল হেদায়াতের পথ।

📘 সূরা আল-হিজর (সূরা ১৫) – পূর্ণ বিশ্লেষণ
🔹 নাম ও অর্থ:

সূরার নাম: الحجر (Al-Hijr)

অর্থ: পাথুরে উপত্যকা বা ‘হিজর জাতি’

উল্লেখ: আয়াত ৮০-৮৪-তে "হিজর জাতি" অর্থাৎ সামূদ সম্প্রদায়ের ইতিহাস বর্ণিত হয়েছে যারা শিলা খোদাই করে বসতি গড়ত।

🔍 সূরার মূল থিম / বিষয়বস্তু:
১. কুরআনের মর্যাদা ও সংরক্ষণের প্রতিশ্রুতি (আয়াত ৯)

"নিশ্চয় আমি কুরআন অবতীর্ণ করেছি এবং আমিই তার সংরক্ষক।"

🔹 এর মাধ্যমে কুরআনের বিকৃতি থেকে রক্ষা ও চিরস্থায়িত্বের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
২. ইবলিসের অহংকার ও মানুষের শত্রুতা (আয়াত ২৬–৪৪):

আদম (আ.)-কে সৃষ্টি করার পর আল্লাহ ফেরেশতাদের সিজদার নির্দেশ দেন।

সব ফেরেশতা সিজদা করলেও ইবলিস অমান্য করে অহংকারবশত।

ইবলিস বলে— "আমি আগুন থেকে, আর সে (আদম) কাদামাটি থেকে তৈরি।"

এরপর সে কিয়ামত পর্যন্ত মানুষকে পথভ্রষ্ট করার অনুমতি চায়।

🔸 পাঠ: অহংকার ধ্বংস ডেকে আনে। শয়তান সবসময় মানুষকে বিপথে নিতে চায়।
৩. সামূদ, লুত এবং হিজর জাতির ধ্বংস (আয়াত ৮০–৮৪):

সামূদ জাতি: পাহাড় খোদাই করে ঘর বানাতো, কিন্তু আল্লাহর রাসূলকে অমান্য করায় ধ্বংস হয়।

লুত (আ.)-এর জাতি: নৈতিক বিপর্যয়ে পতিত হওয়ায় তাদের ওপর আযাব নেমে আসে।

এ জাতিগুলো প্রাচীন সভ্যতা থাকলেও তাদের অহংকার ও অন্যায়ের কারণে ধ্বংস হয়।

🔸 পাঠ: সভ্যতা ও প্রযুক্তি যত উন্নত হোক, আল্লাহর নির্দেশ অমান্য করলে ধ্বংস অনিবার্য।
৪. রাসূল (সা.)-কে ধৈর্যের নির্দেশ (আয়াত ৮৫–৮৮):

কাফেরদের উপহাস, অবিশ্বাস ও বিদ্রুপের মুখে ধৈর্য ধরতে বলা হয়েছে।

বলা হয়েছে: "তুমি তাদের জন্য অনুতাপ করবে না, আর কষ্টেও পড়ো না।"

৫. সূরা ফাতিহার মর্যাদা (আয়াত ৮৭):

"আমি তোমাকে দিয়েছি সাতটি পুনরাবৃত্ত আয়াত এবং মহামহিমান্বিত কুরআন।"

🔸 ইঙ্গিত: সূরা ফাতিহা ইসলামের মূল সুর ও দিকনির্দেশনা বহন করে।
🌟 শিক্ষণীয় বিষয়সমূহ:
বিষয় শিক্ষা
📖 কুরআন আল্লাহ নিজে কুরআনের সংরক্ষক
🧠 অহংকার ইবলিসের মত অহংকার ধ্বংস আনে
⚠️ শাস্তি পূর্ববর্তী জাতিগুলোর মতো আজও অন্যায়ের শাস্তি হতে পারে
⏳ ধৈর্য সৎ পথে থাকলে প্রতিকূলতায় ধৈর্য ধরাই সাফল্যের চাবিকাঠি
🧎 নামাজ নামাজ ও আল্লাহর স্মরণে মন শান্ত হয়
📜 আয়াত হাইলাইট:
🔹 আয়াত ৯:

“আমরাই জিকির (কুরআন) অবতীর্ণ করেছি, আমরাই এর সংরক্ষক।”

🔹 আয়াত ২৬-২৮:

“আমি মানুষকে কাঁদা-মাটি থেকে সৃষ্টি করেছি...”

🔹 আয়াত ৩৪-৪৪:

ইবলিসের কথা, হিংসা, অহংকার ও দোজখে যাওয়ার ঘোষণার বিবরণ।

🔹 আয়াত ৮৭:

“সাতটি পুনরাবৃত্ত আয়াত”— সূরা ফাতিহার প্রশংসা।

🎬 ইউটিউব ভিডিও বা ইসলামিক কনটেন্টে ব্যবহারযোগ্য:
🎥 সম্ভাব্য টাইটেল:

"সূরা আল-হিজর | কুরআনের রক্ষাকর্তা আল্লাহ | বাংলা অর্থসহ"

"সূরা হিজর | শয়তানের অহংকার ও আদম (আ.)-এর সৃষ্টির কাহিনি"

"হিজর জাতির ধ্বংসের শিক্ষা | সূরা হিজর থেকে নেওয়া শিক্ষা"

আলিফ লাম রা। এগুলি আয়াত, মহাগ্রন্থের, সুস্পষ্ট কুরআনের।

• Alif, Lam, Ra. These are the verses of the Book and a clear Qur'an.

আমি কোন জনপদকে তার নির্দিষ্ট কাল পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত ধ্বংস করিনি।

• And We did not destroy any city but that for it was a known decree.


৬. আর তারা বলে, হে ঐ ব্যক্তি, যার প্রতি যিকর(১) নাযিল হয়েছে! তুমি তো নিশ্চয় উন্মাদ(২)।

(১) যিকির বা বাণী শব্দটি পারিভাষিক অর্থে কুরআন মজীদে আল্লাহর বাণীর জন্য ব্যবহার করা হয়েছে। আর এ বাণী হচ্ছে আগাগোড়া উপদেশমালায় পরিপূর্ণ। পূর্ববর্তী নবীদের ওপর যতগুলো কিতাব নাযিল হয়েছিল সেগুলো সবই “যিকির” ছিল এবং এ কুরআন মজীদও যিকির। যিকিরের আসল অর্থ হচ্ছে স্মরণ করিয়ে দেয়া, সতর্ক করা এবং উপদেশ দেয়া।