শবে মেরাজের সঠিক তথ্য জানুন কোরআন থেকে. Mow. Mozammel Haquer Barisal || aloadhar ||

Описание к видео শবে মেরাজের সঠিক তথ্য জানুন কোরআন থেকে. Mow. Mozammel Haquer Barisal || aloadhar ||

মেরাজ ঘটেছিল মুহাম্মদ (সাঃ)-এর নবুয়্যত বা ঐশ্বিক বাণী প্রাপ্তির দশম বছরে। মেরাজের ঘটনায় দুটো অংশ ছিল:

আল-ইসরা বা জেরুজালেমে নৈশ-ভ্রমণ
মেরাজ বা ঊর্ধ্বারোহণ বা স্বর্গারোহণ।[৪]
একটি বর্ণনায় পাওয়া যায় : নবুয়্যতের দশম বছর, সাত মাস; ২৭ রজব তারিখে মুহাম্মাদ, আবু তালিবের মেয়ে হিন্দার(উন্মেহানী) বাড়িতে ছিলেন। আবার অন্য হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, ঐ রাতে মুহাম্মদ কাবাতে ঘুমান, এবং তিনি কাবা'র ঐ অংশে ঘুমান, যেখানে কোনো ছাদ ছিল না (হাতিম)।[৪]

হিন্দার বিবরণ থেকে জানা যায়, ঐ রাতে, মুহাম্মদ(সা:), রাতের প্রার্থনা সেরে ঘুমাতে যান। খুব ভোরে মুহাম্মদ(সা:) উঠে সবাইকে জাগালেন এবং নামাজ আদায় করলেন। হিন্দাও তাঁর সাথে নামাজ আদায় করলেন। নামাজ শেষে মুহাম্মদ(সা.) জানালেন,

“ ও উম্মেহানি (হিন্দার ডাক নাম), এই ঘরে আমি তোমাদের সাথে প্রার্থণা করেছি। যেমন তোমরা দেখেছ। তারপর আমি পবিত্র স্থানে গিয়েছি এবং সেখানে প্রার্থণা সেরেছি। এবং তারপর তোমাদের সাথে ভোরের প্রার্থণা সারলাম, যেমন তোমরা দেখছো।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন] ”
আনাছ (রা.) মালেক ইবনে সা’সাআ’হ (রা.) হতে বর্ণনা করেছেন, নবীকে ছাল্লাল্লাহু আলাইহি অসাল্লাম যেই রাত্রে আল্লাহ তাআলা পরিভ্রমণে নিয়ে গিয়েছিলেন সেই রাত্রের ঘটনা বর্ণনায় সাহাবীগণের সম্মুখে তিনি বলেছেন, যখন আমি কা’বা গৃহে উন্মুক্ত অংশ হাতীমে (উপনীত হলাম এবং তখনও আমি ভাঙ্গা ঘুমে ভারাক্রান্ত) ঊর্ধ্বমুখী শুয়ে ছিলাম, হঠাৎ এক আগন্তক ফেরেশতা জিবরাইল (আ.) আমার নিকট আসলেন (এবং আমাকে নিকটবর্তী/ জমজম কূপের সন্নিকটে নিয়ে আসলেন)। অতঃপর আমার বক্ষে ঊধর্ব সীমা থেকে পেটের নিম্ন সীমা পর্যন্ত চিরে ফেললেন এবং আমার হৃৎপিণ্ড বা কল্বটাকে বের করলেন। অতঃপর একটি স্বর্ণপাত্র উপস্থিত করা হল, যা পরিপক্ব সত্যিকার জ্ঞানবর্ধক বস্তুতে পরিপূর্ণ ছিল । আমার কল্বটাকে (জমজমের পানিতে) ধৌত করে তার ভিতরে ঐ বস্তু ভরে দেয়া হল এবং কল্বটাকে নির্ধারিত স্থানে রেখে আমার বক্ষকে ঠিকঠাক করে দেয়া হল। অতপর আমার জন্য খচ্চর হতে একটু ছোট, গাধা হতে একটু বড় শ্বেত বর্ণের একটি বাহন উপস্থিত করা হল তার নাম “বোরাক”, যার প্রতি পদক্ষেপ দৃষ্টির শেষ সীমায়। সেই বাহনের উপর আমাকে সওয়ার করা হল। ঘটনা প্রবাহের ভিতর দিয়ে জিবরাইল (আ.) আমাকে নিয়ে নিকটবর্তী তথা প্রথম আসমানের দ্বারে পৌঁছিলেন এবং দরজা খুলতে বললেন। ভিতর হতে পরিচয় জিজ্ঞাসা করা হল, জিবরাইল স্বীয় পরিচয় প্রদান করলেন। অতঃপর জিজ্ঞাসা করা হল, আপনার সঙ্গে কে আছেন? জিবরাইল বললেন, মুহাম্মদ (সা.) আছেন। বলা হল, (তাঁকে নিয়ে আসার জন্যই তো আপনাকে) তাঁর নিকট পাঠান হয়েছিল? জিবরাইল বললেন হাঁ। তারপর আমাদের প্রতি মোবারকবাদ জানিয়ে দরজা খোলা হল। গেটের ভিতরে প্রবেশ করে তথায় আদম (আ.)-কে দেখতে পেলাম । জিবরাইল আমাকে তাঁর পরিচয় করে বললেন, তিনি আপনার আদি পিতা আদম (আ.), তাঁকে সালাম করুন। আমি তাঁকে সালাম করলাম। আমার সালামের উত্তরদানে আমাকে “সুযোগ্য পুত্র ও সুযোগ্য নবী” আখ্যায়িত করলেন এবং খোশ আমদেদ জানালেন ।

অতপর জিবরাইল আমাকে নিয়ে দ্বিতীয় আসমানের দ্বারে পৌঁছিলেন এবং দরজা খুলতে বললেন। এখানেও পূর্বের ন্যায় কথোপকথন হল এবং শুভেচ্ছ মোবারকবাদ জানিয়ে দরজা খোলা হল। ভিতরে প্রবেশ করে তথায় ইয়াহইয়া (আ.) ও ঈসা (আ.)-এর সাক্ষাৎ পেলাম; তাঁদের উভয়ের নানী পরস্পর ভগ্নী ছিলেন। জিবরাইল আমাকে তাঁদের পরিচয় দানে সালাম করতে বললেন, আমি তাঁদেরকে সালাম করলাম। তাঁরা আমার সালামের উত্তর প্রদান করত “সুযোগ্য ভ্রাতা সুযোগ্য নবী” বলে আমাকে খোশ আমদেদ জানালেন।

অতঃপর জিবরাইল (আ.) আমাকে নিয়ে তৃতীয় আসমানের দ্বারে পৌঁছিলেন এবং দরজা খুলতে বললেন। তথায়ও পূর্বের ন্যায় কথোপকথনের পর শুভেচ্ছা স্বাগত জানিয়ে দরজা খোলা হল। ভিতরে প্রবেশ করে ইউসুফ (আ.)-এর সাক্ষাৎ পেলাম । জিবরাইল (আ.) আমাকে তাঁর সাথে পরিচয় করিয়ে সালাম করতে বললেন; আমি তাঁকে সালাম করলাম তিনি সালামের উত্তর দান করত আমাকে “সুযোগ্য ভ্রাতা ও সুযোগ্য নবী” বলে মোবারকবাদ জানালেন । অতঃপর আমাকে নিয়ে জিবরাইল চতুর্থ আসমানের নিকটে পৌঁছিলেন এবং দরজা খুলতে বললেন। সেখানেও পূর্বের ন্যায় প্রশ্নোত্তরের পর শুভেচ্ছা স্বাগত জানিয়ে দরজা খোলা হল । ভিতরে প্রবেশ করে আমরা তথায় ইদ্রিস (আ.)-এর সাক্ষাৎ পেলাম । জিবরাইল(আ:) আমাকে তাঁর পরিচয় করিয়ে সালাম করতে বললেন। আমি তাঁকে সালাম করলাম। তিনি সালামের উত্তর দিলেন এবং “সুযোগ্য ভ্রাতা ও সুযোগ্য নবী” বলে আমাকে মারহাবা জানালেন। অতঃপর জিবরাইল আমাকে নিয়ে পঞ্চম আসমানে পৌঁছিলেন এবং দরজা খুলতে বললেন। এই স্থানেও পূর্বের ন্যায় প্রশ্নোত্তর চলার পর শুভেচ্ছ ও মোবারকবাদ দানের সাথে দরজা খোলা হল। আমি ভিতরে পৌঁছিয়া হারুন (আ.)-এর সাক্ষাৎ পেলাম জিবরাইল আমাকে তাঁর পরিচয় দানে সালাম করতে বললেন। আমি সালাম করলাম। তিনি আমার সালামের উত্তর দিলেন এবং “সুযোগ্য ভ্রাতা ও সুযোগ্য নবী” বলে আমাকে খোশ আমদেদ জানালেন। তারপর জিবরাইল আমাকে নিয়ে ষষ্ঠ আসমানের দরজায় পৌঁছিলেন এবং দরজা খুলতে বললেন । এস্থানেও পরিচয় জিজ্ঞাসা করা হলে জিবরাইল স্বীয় পরিচয় দান করলেন, অতঃপর সঙ্গে কে আছে জিজ্ঞাস করা হল। তিনি বললেন, মুহাম্মদ (সা.); বলা হল, তাঁকে তো নিয়ে আসার জন্য আপনাকে পাঠান হয়েছিল? জিব্রাঈল বললেন, হাঁ। তৎক্ষণাৎ শুভেচ্ছা ও মোবারকবাদ জানিয়ে দরজা খোলা হল। তথায় প্রবেশ করে মুসা (আ.)-এর সাক্ষাৎ পেলাম । জিবরাইল(আ:) আমাকে তাঁর পরিচয় জ্ঞাত করে সালাম করতে বললেন। আমি তাঁকে সালাম করলাম। তিনি সালামের উত্তর প্রদান করলেন এবং “সুযোগ্য ভ্রাতা ও সুযোগ্য নবী” বলে আমাকে মোবারকবাদ জানালেন। যখন আমি এই এলাকা ত্যাগ করে যাইতে লাগলাম তখন মুসা (আ.) কাঁদছিলেন । তাঁকে কাঁদিবার কারণ জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বললেন, আমি কাঁদতেছি এই কারণে যে, আমার উম্মতে বেহেশত লাভকারীর সংখ্যা এই নবীর উম্মতের বেহেশত লাভকারীর সংখ্যা অপেক্ষা কম হবে অথচ তিনি বয়সের দিক দিয়ে যুবক এবং দুনিয়াতে প্রেরিত হয়েছেন আমার পরে। তারপর জিবরাইল(আ:) আমাকে নিয়ে সপ্তম আসমানের প্রতি আরোহণ করলেন

Комментарии

Информация по комментариям в разработке