Скачать или смотреть মৃত সন্তানের আকিকা করতে হবে কি? |Akika |New born Celebration| IslamicTradition |Animal Sacrifice|

আকিকা আরবি শব্দ। এর আভিধানিক অর্থ কাটা, আল্লাহর দরবারে শুকরিয়া আদায় করা, জানের সদকা দেয়া ও আল্লাহর নিয়ামতের মোকাবিলায় কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা। ইসলামি পরিভাষায় আকিকা হচ্ছে, নবজাতকের পক্ষ থেকে পশু জবাই করা। আলেমদের অনেকেই আকিকা করাকে সুন্নতে মুয়াক্কাদাহ বলেছেন।
হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, ‘রসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নাতি হাসান ও হুসাইনের পক্ষ থেকে একটি করে বকরি জবেহ করেছেন।’ (আবু দাউদ)
ইসলামি পরিভাষায় আকিকা হচ্ছে, নবজাতকের পক্ষ থেকে পশু জবাই করা। আকিকা করার আগে সন্তান মারা গেলে এর তেমন গুরুত্ব থাকে না। মৃত সন্তানের জন্য আকিকা করা ইসলামি ফকিহগণের নির্ভরযোগ্য মত অনুযায়ী সুন্নত নয়। তবে কোনো কোনো ফকিহ মৃত সন্তানের জন্যও আকিকা করার কথা বলেছেন। তাই কেউ চাইলে মৃত সন্তানের জন্য আকিকা করতে পারেন।

আকিকা কবে করবেন?

সন্তান জন্ম নেয়ার সপ্তম দিন আকিকা করা উত্তম। তবে সপ্তম দিনে আকিকা করতে না পারলে ১৪তম দিন বা ২১তম দিন আকিকা করা সুন্নত। হজরত বুরায়দা (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে আছে, রসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘সপ্তম দিন অথবা চতুর্দশ দিন অথবা একুশতম দিন আকিকা কর।’ (তিরমিজি)

আকিকায় কয়টি পশু কোরবানি করবেন?

ছেলের পক্ষ থেকে দুটি ও মেয়ের পক্ষ থেকে একটি বকরি আকিকা করা সুন্নত। হজরত আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে আছে, ছেলের পক্ষ থেকে প্রতিদান হিসেবে দুটি বকরি ও মেয়ের পক্ষ থেকে একটি বকরি আকিকা করা সুন্নত।

আকিকার গোশতের বিধান

আকিকার গোশত শিশুর মা-বাবাসহ সবাই খেতে পারবেন। কোরবানির পশুর ক্ষেত্রে যেসব শর্ত রয়েছে আকিকার পশুর ক্ষেত্রেও তা প্রযোজ্য। অর্থাৎ পশুর কোনো অংশ পারিশ্রমিক হিসেবে দেয়া যাবে না। এর চামড়া বা মাংস বিক্রি করা যাবে না বরং এর গোশত খাবেন, সদকা করবেন ও যাকে ইচ্ছে উপহার হিসেবে দেবেন।
হজরত আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে আছে, তিনি বলেন,

আকিকার গোশত নিজে খাবেন, অন্যকে খাওয়াবেন এবং কিছু সদকা করবেন। (মুসতাদরাকে হাকেম: ৭৬৬৯)