Скачать или смотреть পুরান ঢাকা বাবুবাজার ব্রিজের উপরে ব্যাটারি চালিত,অটো রিক্সা ট্রাফিক পুলিশ অভিযান চালিয়ে

বাবুবাজার ব্রিজে যানজটে ভোগান্তি

স্টাফ রিপোর্টার

রোড ডিভাইডার ভেঙে ইউটার্ন বানিয়ে অবৈধ অটোভ্যান চলাচল, সিএনজি স্ট্যান্ড, দূরপাল্লার বাস থামিয়ে যাত্রী উঠানো, ভ্যানের মধ্যে ভ্রাম্যমাণ সবজির দোকান, উল্টো পথে গাড়ি চালানো, নানাবিধ কারণে দ্বিতীয় বুড়িগঙ্গা সেতুর ওপর যানজট লেগেই আছে। আর এসব কর্মকাণ্ড ঘটছে পুলিশের সামনেই। তবে তারা দেখেও যেন চোখ বুজে আছে। সরেজমিনে দেখা যায় বাবুবাজার ব্রিজের উপরে পথচারী ওঠা-নামার জন্য কানেক্টিং সিঁড়ির পাশেই দাঁড়িয়ে আছে কোতোয়ালি থানার একটি পেট্রোল গাড়ি। এসআই আমির হোসেনের নেতৃত্বে গাড়িতে কয়েকজন পুলিশ বসে আছেন। তার সামনেই বেশকিছু ভ্যানের মধ্যে সবজি বিক্রি করা হচ্ছে। গাড়ির ঠিক পেছনেই জটলা করে দাঁড়িয়ে আছে অবৈধ অটোভ্যান। এই জটলার কারণে পেছনে প্রায় দীর্ঘ ১০০ মিটার এলাকায় যানজট লেগে আছে। আর জটলার ঠিক সামনের রাস্তা পুরোপুরি ফাঁকা। এই অটোভ্যানগুলো কেরানীগঞ্জের কদমতলী থেকে বাবুবাজার ব্রিজের মাঝামাঝি মিটফোর্ড ঔষধ মার্কেট এলাকার বরাবর কানেক্টিং সিঁড়ি পর্যন্ত জনপ্রতি ১০ টাকা করে ভাড়া নিয়ে চলাচল করে। যাত্রী নামিয়ে গাড়িগুলো ঘুরিয়ে আনার জন্য এর ঠিক ৫০ গজ সামনে বাবুবাজার মাজার এলাকার ব্রিজের ওপরে ডিভাইডার ভেঙে ইউটার্ন তৈরি করা হয়েছে। যাত্রী ও পথচারী চলাচলের কানেক্টিং সিঁড়ির পাশেই দক্ষিণ বঙ্গগামী গাড়িগুলো যাত্রীর জন্য দাঁড়িয়ে থাকে, এতে তৈরিও হয় বিশাল যানজট। অনুসন্ধানে জানা যায় অবৈধ অটোভ্যানগুলো প্রতিদিন পুলিশকে। নির্দিষ্ট চাঁদা দিয়ে সেখান থেকে যাত্রী পরিবহন করে এবং বাসগুলো যাত্রী ওঠানোর জন্য পাঁচ মিনিট সময় দাঁড়িয়ে থাকবে সেজন্য গাড়িপ্রতি ১০০ থেকে ২০০ টাকা করে পুলিশকে দিয়ে থাকে। এছাড়াও রাস্তার দুপাশে ফুটপাতের ওপর অবৈধ ভ্রাম্যমাণ দোকান ও ভ্যানের

মধ্যে করে সবজির দোকান থেকে প্রতিদিন নির্দিষ্ট হারে

চাঁদা তোলা হচ্ছে। আর এ সমস্ত চাঁদা কালেকশন করে পুলিশকে দেয়ার জন্য একাধিক লাইনম্যান নিয়োগ দেয়া হয়েছে। ব্রিজের ঢালের বাবুবাজার অংশে গিয়ে দেখা যায় একই চিত্র সেখানেও অবৈধ একটি সিএনজি স্ট্যান্ড গড়ে তোলা হয়েছে। সেখান থেকে ২০ টাকা জনপ্রতি ভাড়া নিয়ে সিএনজিগুলো কদমতলী পর্যন্ত চলাচল করছে। বাবুবাজার ব্রিজের পাশে ট্রাফিক পুলিশ বক্সে একজন ট্রাফিক ইন্সপেক্টরসহ কয়েকজন সাব-ইন্সপেক্টর ও ট্রাফিক দায়িত্ব পালন করলেও তারা এই অবৈধ সিএনজি স্ট্যান্ড এর বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। সেখানেও একই চিত্র প্রতিটি সিএনজি থেকে পুলিশের

রোড ডিভাইডার ভেঙে ইউটান

নামে দৈনিক নির্দিষ্ট হারে চাঁদা তোলা হচ্ছে। সেখানে দায়িত্বরত ডিএমপি ট্রাফিক পুলিশের এএসআই আবু বকর বলেন, কারা কিভাবে স্ট্যান্ড গড়ে তুলেছে এ বিষয়গুলো তো সবারই জানা আছে। আমার সম্প্রতি প্রমোশন হয়েছে, তাই এ বিষয়ে আমি কথা বলতে চাই না। ঢাকা জেলা দক্ষিণ ট্রাফিক বিভাগের ট্রাফিক ইন্সপেক্টর (সার্বিক) মোহাম্মদ জাকির হোসেন বলেন, বিষয়টি নিয়ে মাঝেমধ্যে উপজেলা আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা মিটিংয়ে আলোচনা হয়। তবে কারা কিভাবে কদমতলীতে অবৈধ অটোভ্যানের স্ট্যান্ড গড়ে

তুলেছেন সে বিষয়টা আমার জানা নেই। আমরা মাঝেমধ্যেই অভিযান পরিচালনা করে অটোভ্যান আটক করে থানায় জমা দিলে তারা থানা থেকে আবার বিভিন্ন কায়দায় বেরিয়ে যায়। রোড ডিভাইডার ভেঙে ইউটার্ন করা বিষয়ে ডিএমপি ট্রাফিক বিভাগের সহকারী পুলিশ সুপার (কোতোয়ালি) পীযুষ কুমার দে জানান, অবৈধ ইউটার্ন বন্ধ করার জন্য সড়ক ও জনপথ বিভাগকে বেশ কয়েকবার চিঠি দেয়া হয়েছে। তারা কার্যকরী ভূমিকা গ্রহণ না করায় ইউটার্ন বন্ধ করা সম্ভব হচ্ছে না। তিনি বলেন তারা যদি কদমতলির এলাকা থেকে এই অবৈধ অটোভ্যানের স্ট্যান্ড তুলে দেয় তাহলেই এই অটোভ্যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।