Скачать или смотреть বিশ্বের সবচেয়ে ভয়ঙ্কর ১০ প্রাণি || Top 10 Deadliest Animals

আজ আমরা আপনাদের জানাবো পৃথিবীর সবচেয়ে ভয়ঙ্কর ১০ টি প্রাণীর কথা। মূলত এই প্রাণীগুলোর হাতে প্রতিবছর কত মানুষ মারা যায় তার উপর ভিত্তি করে বানানো হয়েছে এই তালিকাটি। চলুন দেরি না করে শুরু করা যাক।

১০। নেকড়ে
পৃথিবীতে আজ নেকড়ে প্রায় বিলুপ্তির পথে। খুব কম দেশ আছে যেখানে নেকড়ে দেখতে পাওয়া যায়। মূলত ইউরোপ এবং দক্ষিন আমেরিকার কিছু দেশে এদের দেখা পাওয়া যায়। তবে এরা যে কেমন ভয়ঙ্কর তা সবারই কম বেশি জানা আছে। নিজের প্রজাতির সুরক্ষায় তারা আক্রমন করতে পিছপা হয় না। প্রতিবছর আনুমানিক ১০ জন মানুষ নেকড়ের আক্রমণে প্রাণ হারায়।

৯। সিংহ
বনের রাজা সিংহ আজ প্রায় বিলুপ্তির পথে। তারপরও বেশ কিছু দেশে সিংহ আজও বেঁচে আছে এবং নিজেদের উপস্থিতি জানান দিচ্ছে। নিজেদের সুরক্ষার জন্য কিংবা খাবারের খোঁজে মাঝে মধ্যেই মানুষকে আক্রমন করে বসে এই প্রাণীটি। গড়ে প্রতিবছর প্রায় ২২ জন মানুষ মারা যায় এই প্রাণির হাতে।

৮। হাতি
বিশালাকার এই প্রাণীটি বেশ শান্ত স্বভাবের হলেও মাঝে মধ্যে বেশ আক্রমণাত্মক হয়ে উঠে। বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলেও হাতির বেশ প্রাদুর্ভাব দেখা যায় এবং মাঝে মধ্যে প্রানহানির খবর পাওয়া যায়। মূলত বন্য হাতি এবং খাবারের অভাবে লোকালয়ে চলে আসা হাতির আক্রমণে মানুষ মারা যায়। প্রতি বছর হাতির পায়ে পিষ্ট হয়ে কিংবা হাতির আক্রমণে ৫০০ মানুষ মারা যায়।

৭। জলহস্তী
শক্তিশালী চোয়ালের অধিকারী এই প্রাণীটি মানুষের প্রতি আগ্রাসী বলে পরিচিত। আফ্রিকা অঞ্চলে মানুষমারার বেশ কুখ্যাতি আছে এদের। এরা পৃথিবীর সবচেয়ে শক্তিশালী চোয়ালের অধিকারী। প্রতিবছর জলহস্তীর আক্রমণে প্রায় ৫০০ মানুষ প্রাণ হারায়।

৬। কুমির
নদী কিংবা সমুদ্র তীরবর্তী অঞ্চলের মানুষের এক আতঙ্কের নাম এই কুমির। যদিও আমাদের এই অঞ্চলে কুমিরের খুব একটা উৎপাত দেখা যায় না, তারপরও সুন্দরবন অঞ্চলে বেশ কিছু কুমিরের প্রজাতির দেখা পাওয়া যায়।কিন্তু আফ্রিকা অঞ্চলে এক জলজ আতঙ্ক এই প্রাণীটি। প্রতিবছর কমপক্ষে এক হাজার মানুষের প্রাণ যায় কুমিরের কারণে।

৫। সেটসি মাছি
এই ধরণের মাছি মূলত আফ্রিকা অঞ্চলে বেশি দেখা যায়। এই মাছি মূলত স্লিপিং সিকনেস নামক এক ধরণের রোগ ছড়ায়। এই রোগ হলে প্রথমে সামান্য মাথা ব্যাথা অনুভূত হয়, এরপর হাড়ে ব্যাথা এবং শেষ পর্যন্ত মারাত্মক মস্তিষ্কজনিত সমস্যা দেখা দেয়। এই রোগে বছরে প্রায় ১০ হাজার মানুষ মারা যায়।

৪। শামুক
জি, আপনি ভুল দেখেছেন না। আসলেই শামুক এত ভয়ঙ্কর হতে পারে। মিঠাপানির শামুক এক ধরণের জীবাণু বহন করে এবং এই জীবাণু মানুষের শরীরে প্রবেশ করলে সিসটোসোমায়সিস নামক এক প্রকার রোগ হয়। এই রোগ হলে আক্রান্ত স্থানে প্রচণ্ড ব্যাথা অনুভূত হয় এবং রক্তক্ষরণে মানুষ একসময় মারা যায়। প্রতি বছর এই রোগে কমপক্ষে ২০ হাজার থেকে সর্বোচ্চ ২ লক্ষ্ মানুষ মারা যায়।

৩। কুকুর
কি, শুনে অবাক হচ্ছেন? অনেকের মনে নিশ্চয় প্রশ্ন জাগছে কুকুরের কামড়ে কিভাবে এত মৃত্যু হবে? অনেক কুকুর থাকে যারা র‍্যাবিস ভাইরাসে আক্রান্ত থাকে। মূলত এই আক্রান্ত কুকুরই মানুষের মৃত্যুর কারণ হয়ে থাকে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসেব অনুযায়ী প্রতিবছর কুকুরের কামড়ে প্রায় ৩৫ হাজার মানুষ মারা যায়।

২। সাপ
পৃথিবীর সবদেশেই কমবেশি সাপের উৎপাত লক্ষ্য করা যায়। সারা বিশ্বে অনেক প্রজাতির সাপ থাকলেও খুব কম সাপই আছে যারা বিষধর। তারপরও সারা বিশ্বে বছরে আনুমানিক এক লক্ষ মানুষ মারা যায় সাপের কামড়ে। মূলত যথাসময়ে প্রতিশোধক না পাওয়ার কারণে মৃত্যুহার এত বেশি।

১। মশা
আকারে ছোট হলেও বিশ্বের সবচেয়ে খুনে প্রানির তালিকায় শীর্ষস্থান দখল করে রেখেছে মশা। মশা মূলত ভাইরাসজনিত জীবাণু বহন করে এবং মানুষের শরীরে রক্ত খাওয়ার সময় তা প্রবেশ করিয়ে দেয়।খুদে এই প্রানির হাতে সবচেয়ে বেশি প্রান হারাতে হয় আফ্রিকান অঞ্চলের মানুষদের। যদিও বিগত ১৫ বছরে মৃত্যুহার প্রায় ৩৭ ভাগ কমে এসেছে, তারপর ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসেব অনুযায়ী মশাবাহিত রোগে বছরে প্রায় ৭ লক্ষ ৫০ হাজার মানুষ মারা যায়। মূলত ডেঙ্গু এবং ম্যালারিয়া রোগে সবচেয়ে বেশি মানুষের মৃত্যু হয়।

তবে এইসব প্রাণী ছাড়াও পৃথিবীতে ভয়ঙ্কর এক প্রাণী আছে যাদের এই তালিকায় রাখা হয়নি। অনুমান করতে পারবেন সেই প্রাণীটি কে? মানুষ! খুব কম প্রাণী আছে যারা স্বজাতিকে হত্যা করে। প্রতি বছর প্রায় সাড়ে ৪ লক্ষ মানুষ তার নিজ প্রজাতির হাতে খুন হয়।
--------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আশা করি এই চ্যানেলের মাধ্যমে রহস্য, অজানা তথ্য এবং মজার মজার সব বিষয়সহ ভিন্ন ধরনের কনটেন্ট দেয়ার মাধ্যমে আপনাদের আনন্দ দিতে পারবো। তাই দেরি না করে এই চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করুন, যত অজানার ভুবনে আপনাকে আবারও সুস্বাগতম।
---------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
Disclaimer: Some copyrighted materials may be used herein this video without the specific authorisation of the owner. But it should be noted that contents used here fall under the “Fair Use” Copyright Disclaimer under Section 107 of the Copyright Act 1976. Under this act, allowance is made for "fair use" for purposes such as criticism, comment, news reporting, teaching, scholarship, and research. Therefore, fair use is a use permitted by copyright statute that might otherwise be infringing.

This video may also have some materials taken under the Creative Commons license. Creative Commons licenses provide a standard way for content creators to grant someone else permission to use their work. YouTube allows creators to mark their videos with a Creative Commons CC by license.