Скачать или смотреть #শায়খ

ফিতরা (ফিদইয়া)** হলো রমজান মাসের শেষে ঈদুল ফিতরের আগে গরিব ও অসহায় মুসলিমদের দেওয়া একটি বাধ্যতামূলক দান (সাদাকাতুল ফিতর)। এটি রমজানের সিয়াম সাধনার ত্রুটি-বিচ্যুতি পূরণ এবং গরিবদের ঈদের আনন্দে শরিক করার উদ্দেশ্যে দেওয়া হয়।

*ফিতরার গুরুত্ব:*
এটি ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের পরিপূরক একটি ইবাদত।
হাদিসে রাসুলুল্লাহ (সা.) ফিতরা আদায়ের নির্দেশ দিয়েছেন (বুখারি, মুসলিম)।
এটি সিয়ামের ভুলত্রুটি মোচন করে এবং গরিবদের খাদ্যের ব্যবস্থা করে।

*ফিতরা কে দিবেন?*
প্রতি স্বাধীন, প্রাপ্তবয়স্ক মুসলিম নর-নারী, যার কাছে প্রয়োজনের অতিরিক্ত সম্পদ আছে, তাকে ফিতরা দিতে হবে। পরিবারের সব সদস্যের পক্ষ থেকে প্রধান ব্যক্তি (যেমন বাবা) ফিতরা দেন।

*ফিতরা কত টাকা?*
ফিতরার পরিমাণ স্থানীয় প্রধান খাদ্য (যেমন: গম, যব, খেজুর, চাল ইত্যাদি) দ্বারা নির্ধারিত হয়। বাংলাদেশে সাধারণত *চাল বা টাকার মাধ্যমে* ফিতরা দেওয়া হয়।

২০২৪ সালের হিসাবে বাংলাদেশে ফিতরার পরিমাণ (অনুমানিক):
*সাধারণ ফিতরা:* ১ জনের ফিতরা ≈ *২.৫ কেজি চাল* বা তার মূল্য (প্রায় **১২০-১৫০ টাকা**, স্থান ও মূল্যস্তরভেদে ভিন্ন)।
*মধ্যম মানের ফিতরা:* ≈ **২০০-৩০০ টাকা**।
*উচ্চ মানের ফিতরা:* ≈ **৫০০ টাকা বা বেশি**।

(সঠিক পরিমাণ জানতে স্থানীয় মসজিদ বা ইসলামিক ফাউন্ডেশনের নির্দেশনা অনুসরণ করুন।)

*ফিতরা কখন দেবেন?*
*ঈদের নামাজের আগেই* ফিতরা আদায় করা উত্তম (ঈদুল ফিতরের দিন সকাল থেকে নামাজের আগ পর্যন্ত)।
রমজানের শেষ কয়েক দিনেও দেওয়া যায়, তবে ঈদের পরে দেওয়া মাকরুহ।

*ফিতরা কাকে দেওয়া যায়?*
ফিতরা শুধুমাত্র *গরিব, অসহায় ও মিসকিনদের* দেওয়া যায়। নিজের নিকটাত্মীয়, প্রতিবেশী বা স্থানীয় দরিদ্র লোকদের দেওয়া ভালো। জাকাতের মতোই ফিতরা দেওয়ার নিয়ম, তবে ফিতরার পরিমাণ কম হয়।

*মনে রাখবেন:* ফিতরা ইসলামের একটি গুরুত্বপূর্ণ বিধান। সঠিকভাবে আদায় করে গরিবদের মুখে হাসি ফোটানোর চেষ্টা করুন।

যদি আরও কোনো প্রশ্ন থাকে, জানাতে পারেন! *ঈদ মোবারক!*