Скачать или смотреть রাজসাক্ষী কাকে বলে? কে রাজ সাক্ষি দিতে পারে? রাজসাক্ষি সাক্ষ্য গ্রহন করা হয় কি?

রাজসাক্ষী

কেন কোন ক্ষেত্রে সহযোগী অপরাধীকে রাজসাক্ষী
হিসেবে অনুমতি দেয়া হয় ? সাক্ষ্য আইন ধারা ;১৩৩

রাজসাক্ষী ( App rover) :
১) দুষ্কর্মের সহযোগী ,ক্ষমার প্রতিশ্রুতি লাভ করে রাজ সাক্ষীতে পরিনত হতে পারে । তখন তিনি রাষ্ট্রের সাক্ষী হিসেবে সাক্ষ্য দিবেন ।
রাজসাক্ষীর সাক্ষের উপর ভিত্তি করে আসামীদের সাজা দেয়া অসিদ্ধ হবেনা । তবে তার বক্তব্যের
নিরপেক্ষ সমর্থন থাকতে হবে ।

২) সাক্ষ্য আইনের ১১৮ ধারায় বলা হয়েছে. যে ,সকল সুস্থ বুদ্ধির মানুষ সাক্ষী দিবার যোগ্যতা রাখে । দুষ্কর্মের
সহযোগী বা রাজসাক্ষীও একজন মানুষ । সুতরাং ১৩৩ ধারা সাক্ষ্য আইনে না থাকলেও তিনি সাক্ষ্য দিতে
পারতেন ।
কিন্তু এতদসত্তেও ১৩৩ ধারা সাক্ষ্য আইনে সন্নিবেশিত করা হয়েছে এ কারনে যে ,রাজ সাক্ষী সম্পর্কীয়
আইন সাক্ষ্য আইনে পরিস্কার থাকা দরকার ।

৩) অপরাধ জগত বড় বিচিত্র । অপরাধীকেখুঁজে বের করা পুলিশের বা আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর উপর অর্পিত । কিন্তু কখনো কখনো অপরাধের রহস্য উদ্ঘাটন করা পুলিশের পক্ষে কঠিন হয়ে পড়ে ।ধৃত আসামী সহজে মুখ খুলতে চায়না । তখন পুলিশ অপরাধীকে মুক্তির প্রলোভন দেখিয়ে সত্য ঘটনা বলার জন্য সাক্ষী করার প্রস্তাব দেয়া হয়।

আসামী রাজী হলে তাকে রাষ্ট্রের পক্ষে সাক্ষী করা হয় ।সতরাং রাজসাক্ষী মানে
রাজ্যের সাক্ষী ।

৪) যেহেতু সাক্ষ্য আইন
প্নয়নের সময় রাজার
রাজ্য প্রথা ছিল ,সেহেতু এ
ধরণের সাক্ষীকে রাজ
সাক্ষী বলা হত ।এখন
রাজাও নেই রাজত্ব প্রথাও
নেই।এখন রাষ্ট্র ।
তাই রাজ সাক্ষীকে
বর্তমানে রাষ্ট্রের
সাক্ষী বলা হয় ।
৫) যাকে রাজ সাক্ষী করা হয়
তার বক্তব্য
গ্রহন করার জন্য অন্যান্য
নিরপেক্ষ সমর্থন
যোগ্য সাক্ষীও থাকে ।কোন
আসামী রাজ
সাক্ষী হিসেবে
সাক্ষ্য দিতে রাজী হলে
প্রথমে তাকে
রাজ সাক্ষী হিসেবে
ঘোষণা করা হয়
এবং পরে কারাগারে রাখা
হয় যাতে অন্য
কোন অপরাধী বা বেক্তি
তাকে
প্রভাবিত করতে না পারে ।
৬) এ প্রসঙ্গে সাক্ষ্য আইনের ১৩৩ ধারায় বলা হয়েছে ,অপরাধী অন্য সহযোগী অপরাধীদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য প্রদান করার উপযুক্ত ব্যাক্তি বলে বিবেচিত হতে হবে । দুষ্কর্মের সহযোগীর অসমর্থিত সাক্ষের ভিত্তিতে আসামীকে সাঁজা দেয়া হলে তা তা বেআইনি বলে গণ্য হবেনা ।এ ধারা মতে আসামীকে যিনি রাজ সাক্ষী হবেন তাকে ক্ষমা প্রদর্শনের ব্যাবস্তা করা হয়েছে যাতে আসামী সাক্ষী হিসেবে ব্যবহৃত হতে পারে।

৭) অন্য দিকে সাক্ষ্য আইনের ১৪৪ ধারার বিধান মোতাবেক রাজ সাক্ষীর একক সাক্ষের ভিত্তিতে আসামীকে শাস্তি প্রদান করা আইনত যুক্তি সঙ্গত হবেনা ।কেননা সে অন্যান্য সহযোগী অপরাধীদের সাথে বিশ্বাস ঘাতকতা করে থাকে । কাজেই রাজসাক্ষীর মত একজন বিশ্বাস ঘাতক সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহনে আদালত বেশ সতর্কতা অবলম্বন করেন। আর আসামীর সংখ্যা বেশী হলে এমনভাবে সাক্ষ্য প্রদান করতে হবে
যাতে প্রত্যেক আসামীর পৃথকভাবে অপরাধের সাথে জড়িত থাকার প্রমান পাওয়া যায় ।

৮) রাজসাক্ষী সম্পর্কীয় আইন ফৌজদারি কার্যবিধি আইনের ৩৩৭,৩৩৯, এবং ৪৯৪ ধারায় বিধৃত হয়েছে ।এই সকল ধারা বর্ণিত পন্থায় আদালত অপরাধীর সহযোগীকে ক্ষমা প্রদর্শন করতে পারেন ।
৯) ৪৯৪ ধারা অনুসারে মামলার রায় ঘোষণার পূর্বে আদালতের অনুমতি নিয়ে কোন ব্যাক্তির বিরুদ্ধে আনিত মামলা সাধারণভাবে বা যে সকল অপরাধে তাহার বিচার হচ্ছে তার যেকোনো এক বা একাধিক অপরাধ অপরাধ সম্পর্কে প্রত্যাহার করতে পারেন ;এবং এ ভাবে প্রত্যাহারের পর
(ক) অভিযোগ প্রনয়নের পূর্বে প্রত্যাহার করা হলে উক্ত এক বা একাধিক অপরাধ সম্পর্কে আসামিকে রেহাই দান করতে হবে ;এবং
(খ) অভিযোগ প্রনয়নের পর প্রত্যাহার করা হলে অথবা এ আইন অনুসারে কোন অভিযোগ প্রনয়ন করা প্রয়োজন না হলে উক্ত এক বা একাধিক অপরাধ সম্পর্কে আসামীকে খালাস দিতে হবে ।