Скачать или смотреть নবী কারীম (স:) বলেছেন যখন ইমাম মাহদী(আ:) আসবেন তোমরা সেই বাহিনীতে যোগদান করবে।

ইমাম মাহদী (আঃ) ও নবী কারীম (সা:)–এর নির্দেশনা: একটি ইসলামিক বর্ণনা (১০০০ বর্ণের বিবরণ)

ইসলামি বিশ্বাস অনুযায়ী, শেষ সময়ে আল্লাহতায়ালা এক মহামানবকে প্রেরণ করবেন যিনি হবেন ইমাম মাহদী (আঃ)। তিনি ইসলামকে পুনরুজ্জীবিত করবেন, পৃথিবীতে ন্যায় ও শান্তি প্রতিষ্ঠা করবেন এবং অন্যায় ও জুলুমের অবসান ঘটাবেন। নবী করীম (সা:) বহু সহীহ হাদীসে ইমাম মাহদীর আগমনের ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন এবং তাঁর বাহিনীতে যোগদানের গুরুত্ব তুলে ধরেছেন।

রাসূলুল্লাহ (সা:) বলেন:
"যদি দুনিয়া একদিনও বাকি থাকে, আল্লাহ সেই দিনকে দীর্ঘ করবেন যতক্ষণ না তিনি আমার বংশধর থেকে একজন মানুষকে প্রেরণ করবেন, যিনি দুনিয়া ন্যায় ও ইনসাফে পূর্ণ করবেন যেমনটা তা পূর্বে অন্যায় ও জুলুমে পূর্ণ ছিল।"
— [সুনান আবু দাউদ, হাদীস: ৪২৮২]

আরেক হাদীসে রাসূল (সা:) বলেন:
"যখন তোমরা শুনবে যে মাহদী আগমন করেছেন, তখন তোমরা তাঁর কাছে চলে যেয়ো, যদিও তোমাদেরকে বরফের উপর দিয়ে হেঁটে যেতে হয়, কারণ তিনি হলেন আল্লাহর খলীফা মাহদী।"
— [ইবনে মাজাহ, হাদীস: ৪০৮৪]

এই হাদীসগুলো থেকে বোঝা যায়, ইমাম মাহদীর সময় তার পক্ষ অবলম্বন করা এবং তার নেতৃত্বে জুলুমবিরোধী সংগ্রামে অংশগ্রহণ করা একজন মুমিনের কর্তব্য। তিনি যখন আসবেন, মুসলিম উম্মাহর মধ্যে বিভাজন ও দুর্বলতা থাকবে, এবং সেই দুর্দিনে তিনি হবেন ঐক্যের প্রতীক।

কুরআনেও ইঙ্গিত পাওয়া যায়, যদিও মাহদীর নাম উল্লেখ নেই।
আল্লাহ বলেন:
"তিনিই সেই সত্তা যিনি তাঁর রাসূলকে হেদায়াত ও সত্য দ্বীনসহ পাঠিয়েছেন, যাতে একে সব ধর্মের উপর বিজয়ী করেন, যদিও মুশরিকরা তা অপছন্দ করে।"
— [সূরা তাওবা: ৩৩]

ইমাম মাহদীর আগমন ও দ্বীনের বিজয় এই আয়াতের বাস্তব রূপ হতে পারে, যেমনটি অনেক তাফসীরবিদ ব্যাখ্যা করেছেন।



ইমাম মাহদী (আঃ) কোনো কাল্পনিক চরিত্র নন, বরং সহীহ হাদীসে বারবার যার কথা বলা হয়েছে। মুসলমানদের উচিত তার আগমনের জন্য আত্মিক প্রস্তুতি নেওয়া, ঈমান দৃঢ় রাখা এবং অন্যায়ের বিরুদ্ধে অবস্থান নিতে মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকা। নবী (সা:)–এর নির্দেশ অনুযায়ী, যখন ইমাম মাহদী আগমন করবেন, তখন তার পাশে থেকে সত্য ও ইনসাফের বিজয়ের জন্য অংশগ্রহণ করাই হবে মু’মিনের প্রকৃত দায়িত্ব।


#আল্লাহ #ইমামমাহদী #হাদিস #হাদিসের_কথা #আল্লাহর_নিয়ামত