Скачать или смотреть ২০২৫ সালের পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান গালা ইউনিয়ন সচেতন ছাত্র সংগঠন সকল সদস্যের পরিচয় পর্ব

পবিত্র ঈদের আনন্দের পরে, গত ১০ই জুন শিক্ষার আলো ও সচেতনতার বার্তা ছড়িয়ে দিতে ‘গালা ইউনিয়ন সচেতন ছাত্র সমাজ’ এর উদ্যোগে আয়োজিত "অভিভাবক সমাবেশ ও কৃতি শিক্ষার্থী সংবর্ধনা–২০২৫" অনুষ্ঠানটি সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে, আলহামদুলিল্লাহ।

এই অনুষ্ঠান উপলক্ষে মেডিকেল, ইঞ্জিনিয়ারিং ও বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনার পাশাপাশি “মেধা বিকাশ অলিম্পিয়াড ২০২৫”-এ শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনকারীদের হাতে সম্মাননা তুলে দেওয়া হয়। এছাড়াও ২০২৫ সালে যারা পবিত্র কুরআনের হাফেজ হয়েছেন—তাদেরও বিশেষভাবে সংবর্ধিত করা হয়, যা এই আয়োজনকে ধর্মীয় মর্যাদা ও শিক্ষার মূল্যবোধে আরও সমৃদ্ধ করে।

অনুষ্ঠানে শিক্ষানুরাগী বহু গণ্যমান্য ব্যক্তি, শিক্ষক, অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি আমাদের এই মহতী উদ্যোগকে সফল ও প্রাণবন্ত করে তোলে।

বিশেষভাবে উপস্থিত ছিলেন শাহজাদপুর উপজেলার মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার এস. এম. শাহাদত হোসেন—তিনি শিক্ষার গুরুত্ব নিয়ে প্রেরণাদায়ক বক্তব্য দেন এবং গালা ইউনিয়নে শিক্ষার মানোন্নয়নে কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
শাহজাদপুর থানা’র অফিসার ইনচার্জ (OC) মোঃ আছলাম আলী, পিপিএম শিক্ষার্থীদের এমন ইতিবাচক উদ্যোগের প্রশংসা করে জানান, শিক্ষার প্রসারে তার সার্বিক সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে। একইসঙ্গে তিনি গালা ইউনিয়নে মাদক ও জুয়া নির্মূলে সর্বোচ্চ ব্যবস্থা গ্রহণের প্রতিশ্রুতি দেন।

আরও উপস্থিত ছিলেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আশরাফুল জাহান, জার্মান প্রবাসী ইঞ্জিনিয়ার মো. আতোয়ার হোসেন, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী হাজী মো. মতালেব হোসেন, এবং বাংলাদেশ ডিজেল প্লান্ট এর ম্যানেজার মো: আলী নূর।

এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন স্কুল, কলেজ ও প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দ, সরকারি-বেসরকারি চাকরিজীবী, সচেতন অভিভাবকমণ্ডলী এবং ‘গালা ইউনিয়ন সচেতন ছাত্র সমাজ’-এর সদস্যবৃন্দ।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত সকলে এই মহৎ উদ্যোগের ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং ভবিষ্যতেও ছাত্র সমাজের যেকোনো ইতিবাচক কর্মকাণ্ডে পাশে থাকার অঙ্গীকার করেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সমাজসেবক ও ভেড়াখোলা পশ্চিমপাড়া জামে মসজিদের সেক্রেটারি হাজী মো. সিদ্দিকুর রহমান।

এই আয়োজনের মূল লক্ষ্য ছিল—
🔹 শিক্ষার্থীদের মাঝে পড়াশোনার আগ্রহ ও সচেতনতা সৃষ্টি করা,
🔹 দেশের শীর্ষস্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয় ও প্রতিষ্ঠানে পড়ার স্বপ্ন জাগিয়ে তোলা,
🔹 যারা ইতোমধ্যে মেডিকেল, ইঞ্জিনিয়ারিং ও পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে সুযোগ পেয়েছেন—তাদের সমাজের প্রতি দায়িত্ববোধ ও মানবিক ভূমিকা সম্পর্কে সচেতন করা,
🔹 একই সঙ্গে সমাজের অনিয়ম প্রতিরোধে প্রশাসন ও সচেতন জনগণের সম্মিলিত প্রচেষ্টার গুরুত্ব তুলে ধরা এবং
🔹 অভিভাবকদের সচেতন করে তোলা—যাতে তাঁরা তাঁদের সন্তানদের সঠিক পথে গাইড করতে পারেন।