Скачать или смотреть শালবন বিহার, কুমিল্লা।

ময়নামতি

ময়নামতি বাংলাদেশের কুমিল্লায় অবস্থিত একটি ঐতিহাসিক স্থান। এযাবৎ আবিষ্কৃত লালমাই অঞ্চলের প্রাচীনতম সভ্যতার নিদর্শন হল ময়নামতি প্রত্নস্থল। বর্তমানে ময়নামতি অঞ্চলে যে ধ্বংশস্তুপ দেখা যায় তা প্রকৃতপক্ষে একটি প্রাচীন নগরী ও বৌদ্ধ বিহারের অবশিষ্টাংশ । প্রত্নতাত্ত্বিকদের মতে ইহা জয়কর্মান্তবসাক নামক একটি প্রাচীন নগরীর ধ্বংসাবশেষ ।

কুমিল্লার ময়নামতিতে খননকৃত সব প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনের মধ্যে শালবন বিহার অন্যতম প্রধান। কোটবাড়িতে বার্ডের কাছে লালমাই পাহাড়ের মাঝামাঝি এলাকায় এ বিহারটির অবস্থান। বিহারটির আশপাশে এক সময় শাল-গজারির ঘন বন ছিল বলে এ বিহারটির নামকরণ হয়েছিল শালবন বিহার। এর সন্নিহিত গ্রামটির নাম শালবনপুর। এখনো ছোট একটি বন আছে সেখানে। এ বিহারটি পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহারের মতো হলেও আকারে ছোট।

ধারণা করা হয় যে খৃষ্টিয় সপ্তম শতাব্দীর শেষ থেকে অষ্টম শতাব্দীর প্রথম ভাগে দেববংশের চতুর্থ রাজা শ্রীভবদেব এ বৌদ্ধ বিহারটি নির্মাণ করেন। শালবন বিহারের ছয়টি নির্মাণ ও পুনর্নির্মাণ পর্বের কথা জানা যায়। খৃষ্টিয় অষ্টম শতাব্দীর মধ্যে তৃতীয় পর্যায়ে কেন্দ্রীয় মন্দিরটি নির্মাণ করা হয় ও বিহারটির সার্বিক সংস্কার হয় বলে অনুমান করা হয়। চতুর্থ ও পঞ্চম পর্যায়ের নির্মাণকাজ ও সংস্কার কাজ সম্পন্ন হয় নবম-দশম শতাব্দীতে।

আকারে এটি চৌকো। শালবন বিহারের প্রতিটি বাহু ১৬৭.৭ মিটার দীর্ঘ। বিহারের চার দিকের দেয়াল পাঁচ মিটার পুরু। কক্ষগুলো বিহারের চার দিকের বেষ্টনী দেয়াল পিঠ করে নির্মিত। বিহারে ঢোকা বা বের হওয়ার মাত্র একটাই পথ ছিল। এ পথ বা দরজাটি উত্তর ব্লকের ঠিক মাঝামাঝি স্খানে রয়েছে। প্রতিটি কক্ষের মাঝে ১.৫ মিটার চওড়া দেয়াল রয়েছে। বিহার অঙ্গনের ঠিক মাঝে ছিল কেন্দ্রীয় মন্দির।

বিহারের বাইরে প্রবেশ দ্বারের পাশে দক্ষিণ-পূর্ব কোণে একটি হলঘর রয়েছে। চার দিকের দেয়াল ও সামনে চারটি বিশাল গোলাকার স্তম্ভের ওপর নির্মিত সে হলঘরটি ভিক্ষুদের খাবার ঘর ছিল বলে ধারণা করা হয়। হলঘরের মাপ ১০ মিটার গুণন ২০ মিটার। হলঘরের চার দিকে ইটের চওড়া রাস্তা রয়েছে।

প্রত্নতাত্ত্বিক খননের মাধ্যমে বিহারটির ধ্বংসাবশেষ থেকে আটটি তাম্রলিপি, প্রায় ৪০০টি স্বর্ণ ও রৌপ্য মুদ্রা, অসংখ্য পোড়া মাটির ফলক বা টেরাকোটা, সিলমোহর, ব্রৌঞ্জ ও মাটির মূর্তি পাওয়া গেছে। এগুলো বাংলাদেশের প্রাচীন প্রত্নতাত্ত্বিক ঐতিহ্যের স্বাক্ষর বহন করছে।

এ স্থানটি দর্শনে প্রতিদিন বিপুল সংখ্যক পর্যটকের সমাগম ঘটে। ঢাকা থেকে ১১৪ কি.মি. দূরে ময়নামতির অবস্থান এবং চট্টগ্রাম থেকে মাত্র ২ ঘন্টায় ময়নামতি পৌঁছানো সম্ভব।




Share with :

 

চেয়ারম্যান



জনাব রাম চন্দ্র দাস
চেয়ারম্যান 
বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন

বিস্তারিত....

হটলাইন নম্বর



আভ্যন্তরীণ ই-সেবা

বিপিসি ইআরপি (প্রধান কার্যালয়)

বিপিসি রিজার্ভেশন (প্রধান কার্যালয়)

বিপিসি ইআরপি

বিদেশ গমনের ছুটির ফরম

ই-মেইল লগইন করুন

সাধারণ ভবিষ্য তহবিল

সকল

ভিডিওচিত্র

কেন্দ্রীয় ই-সেবা

গুরুত্বপূর্ণ লিংকসমূহ

বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়

বাংলাদেশ বিমান

বেসামরিক বিমান পরিবহন কর্তৃপক্ষ

বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড

বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন

সকল লিংক

ম্যাপ

 

 

লাইভ চ্যাট

জরুরি হটলাইন



জাতীয় সংগীত

ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস ২০১৯ - সংগীত ভিডিও

ডব্লিউএসআইএস পুরস্কার ২০২০



ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয়



সেবা সহজিকরণ

ইনোভেশন কর্নার

ইনোভেশন টিম

ইনোভেশন শোকেসিং

বার্ষিক উদ্ভাবন কর্মপরিকল্পনা

ইনোভেশন আইডিয়া

সেবা সহজিকরণ

ইনোভেশন পাইলটিং

সামাজিক যোগাযোগ

  

 

অভিযোগ

পরামর্শ

প্রধান কার্যালয়

সাইটটি শেষ হাল-নাগাদ করা হয়েছে: ২০২০-০১-২৩ ১৩:০৪:২২


পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে:  মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই,  বিসিসি,  ডিওআইসিটি ও  বেসিস।


কারিগরি সহায়তায়: