কিভাবে বুঝবেন আল্লাহ আপনার উপর অসন্তুষ্ট? এই ৮টি লক্ষণ দেখলে বুঝবেন আল্লাহ আপনার উপর অসন্তুষ্ট। আল্লাহ আপনার উপর অসন্তুষ্ট বুঝবেন কিভাবে। আল্লাহ আপনার উপর অসন্তুষ্ট কিনা কিভাবে বুঝবেন।
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ! ইসলামের সোনালী পথ ইউটিউব চ্যানেলে আপনাদের সকল কে স্বাগতম।
আজ আমরা জানবো এই ৮টি আলামত দেখলে বুঝবেন আল্লাহ আপনার উপর অসন্তুষ্ট।
মহান আল্লাহ তায়ালা সুন্দর অবয়বে মানবজাতিকে সৃষ্টি করেছেন।আল্লাহ বলেন,আমি সৃষ্টি করেছি মানুষকে সুন্দরতম অবয়বে।(সূরা ত্বিন,আয়াত:৪)
বান্দার ওপর তার সৃষ্টিকর্তা যদি অসন্তোষ থাকেন, তাহলে তার ক্ষতি অনিবার্য ।একজন মানুষ কি ভাবে অনুভব করবে যে তার প্রভু তার প্রতি অসন্তুষ্ট।কাউকে সুনির্দিষ্ট ভাবে এ কথা বলা যাবে না যে আল্লাহ তোমার প্রতি অসন্তুষ্ট, অথবা আল্লাহ তোমাকে ভালোবাসেন না কারণ এ ব্যাপারে প্রকৃত ইলম জ্ঞান একমাত্র আল্লাহর।তবে কোরআনে ও হাদিসে এমন ৮টি নিদর্শন এসেছে ,যার দ্বারা বোঝা যায়,আল্লাহ তাআলা তার প্রতি অসন্তুষ্ট। নম্বর ১।নির্দয় হওয়া:- অন্তর কঠোর হওয়া ও মানুষের প্রতি নির্দয় হওয়া,আপনজনের সঙ্গে মন্দ আচরণ করা আল্লাহ তায়ালার অসন্তুষ্টির কারণ।আর আল্লাহ যখন কোনো বান্দার ওপর রাগান্বিত হন তখন তার দিল থেকে দোয়া উঠিয়ে নেন। আয়েশা রাদআল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, হে আয়েশা, তুমি কখন আমাকে অশালীন দেখেছো? কিয়ামতের দিন আল্লাহর কাছে মর্যাদার দিক দিয়ে মানুষের মধ্যে সবচেয়ে নিকৃষ্ট সেই ব্যক্তি,যার অনিষ্টের কারণে মানুষ তাকে ত্যাগ করে। সহীহ বুখারী,হাদীস ৬০৩২।
২। বরকত উঠিয়ে নেন:- আল্লাহ তাআলা যখন করো প্রতি অসন্তুষ্ট হন তখন তার জীবন থেকে বরকত উঠিয়ে নেন। এবং তার ওপর বিভিন্ন ধরনের শত্রু নিয়োজিত করে দেন ।আল্লাহ তাআলা বলেন, আমি প্রত্যেককেই তার অপরাধের কারনে পাকড়াও করেছি।তাদের করো প্রতি প্রেরণা করেছি প্রস্তরসহ প্রচণ্ড বাতাস,কাউকে পেয়েছে বজ্রপাত, কাউকে আমি বিলীন করেছি ভু-গর্ভে এবং কাউকে করেছি নিমজ্জিত।
আল্লাহ তাদের প্রতি জুলুম করার ছিলেন না,কিন্তু তারা নিজেরাই নিজেদের প্রতি জুলুম করছে।সূরা আনকাবুত আয়াত ৪০।
৩।যে কোনো মুসিবতে অসন্তুষ্টি প্রকাশ করা:- আল্লাহ যখন বান্দাকে পরীক্ষা কিংবা অন্য কোনো কারণে বিপদাপন দেন, তখন তার প্রতি বিরক্তি ও অসন্তুষ্টি প্রকাশ করা আল্লাহ তায়ালাকে ক্রিধাম্বিত করে তোলে, আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এরশাদ করেছেন,বিপদ যত মারাত্মক হবে, প্রতিদানও তত মহান হবে। আল্লাহ তাআলা কোনো জাতিকে ভালোবাসেন তখন তাদের বিপদে ফেলে পরীক্ষা করেন ।যে লোক তাতে বিপদে সন্তুষ্ট থাকে তার জন্য আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টি বিদ্যমান । আর যে ব্যক্তি তাতে অসন্তুষ্ট হয় তার জন্য আল্লাহ তায়ালার অসন্তুষ্টি বিদ্যমান।সুনানে তিরমিযী হাদীস ২৩৯৬।
৪। আল্লাহর কাছে প্রার্থনা না করা:- আল্লাহ তাআলা চান তার বান্দা তার কাছে প্রার্থনা করে।আল্লাহ বলেন, আর তোমাদের রব বলেছেন তোমরা আমাকে ডাকো,আমি তোমাদের ডাকে সাড়া দেব।নিশ্চই যারা অহংকারবশে আমার ইবাদত থেকে বিমুখ থাকে তারা অচিরেই জাহান্নামে প্রবেশ করবে লাঞ্ছিত হয়ে।সূরা গাফির,আয়াত ৬০।
আবু হুরায়রা রাদিআল্লাহু আনহা বলেন,রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, আল্লাহ তাআলার কাছে যে ব্যক্তি প্রার্থনা করে না,আল্লাহ তাআলা তার ওপর অসন্তুষ্ট হন।তিরমিযী হাদীস,৩৩৭৩।
৫। অহংকারী হওয়া ও সত্যকে গোপন করা:- অন্যকে ছোট করার মানসিকতা থাকা,মানুষের মধ্যে প্রসিদ্ধিলাভ করার প্রচণ্ড আকাঙ্ক্ষা থাকে যার ফলে সে ভালো কাজ করে লোক দেখানো ও খ্যাতি লাভের জন্য।তার চাওয়া পাওয়া একমাত্র তার প্রবৃত্তিকে পূরণ করা।তার প্রবৃত্তি তার প্রভু হয়ে যায় পরকাল থেকে সম্পূর্ণ থাকে উদাসীন।আল্লাহ তাআলা বলেন, নিসন্দেহে আল্লাহ তাদের গোপন ও প্রকাশ্য যাবতীয় বিষয়ে অবগত।নিশ্চই তিনি অহংকারীদের পছন্দ করেন না ।সূরা নাহল আয়াত ২৩। নম্বর ৬। নিয়ামত অস্বিকার করা: প্রতিটি বান্দার ওপর দিনরাত ২৪ঘণ্টা আল্লাহ তায়ালার হাজারো নিয়ামত বর্ষিত হচ্ছে। কিন্তু যারা অকৃতজ্ঞ তারা আল্লাহর অফুরন্ত নিয়ামত পেয়েও তা অস্বিকার করে।আল্লাহ তাদের প্রতি অসন্তুষ্ট হন।আল্লাহ বলেন,যদি তোমরা অস্বিকার করো,তাহলে আল্লাহ তোমাদের থেকে বেপরওয়া ।তিনি তার বান্দাদের কাফির হয়ে পড়া পছন্দ করেন না।পক্ষান্তরে যদি তোমরা কৃতজ্ঞ হও,তবে তিনি তোমাদের জন্য তা পছন্দ করেন।(সূরা জুমার আয়াত ৭)
৭।খিয়ানত করা:- কথা ও কাজে যখন আপনি খিয়ানত করবেন তখন বুঝবেন যে আল্লাহ তাআলা আপনার ওপর অসন্তুষ্ট তাই আপনি আপনার জীবনে খেয়ানত করেই চলেছেন। আল্লাহ তাআলা বলেন, আর যারা নিজেদের সিঙ্গেই খিয়ানত করে তুমি তাদের পক্ষে বিতর্ক করো না নিশ্চয়ই আল্লাহ কোনো খিয়ানতকারী ও পাপিষ্ঠকে পছন্দ করেন না।সূরা নিসা, আয়াত ১০৭।
৮।সীমা লঙ্ঘন করা: যেকোনো কাজে মধ্যমপন্থা অবলম্বন করা।কোনো ক্ষেত্রে প্রান্তিকতা না করা।বাড়াবাড়িও করবে না,আবার শিথিলতা করবে না। আল্লাহ তাআলা বলেন, আর যারা তোমাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে তোমরাও আল্লাহর পথে তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করো;কিন্তু সীমা লঙ্ঘন করো না।নিশ্চই আল্লাহ সীমা লঙ্ঘন কারীদের ভালোবাসেন না।সূরা বাকারা আয়াত ১৯০। ইহুদি,খ্রিস্টান সম্প্রদায় তারা বিভিন্ন কাজে সীমা লঙ্ঘন করেছিল। এ জন্য আল্লাহ তাআলা তাদের প্রতি অসন্তুষ্ট ছিলেন। মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এরশাদ করেন,তোমরা আমলের মধ্যাপন্থা অবলম্বন করো বাড়াবাড়ি করো না।সকাল সন্ধ্যায় ইবাদতের জন্য বের হয়ে পর এবং রাতের কিছু অংশে ও তোমরা অবশ্যই পরিমিতি রক্ষা।
মহান আল্লাহ তাআলা আমাদের সবাইকে অসন্তুষ্টি অর্জন করার তৌফিক দান করুক আমিন!
#কিভাবেবুঝবেনআল্লাহআপনারউপরঅসন্তুষ্ট #এই৮টিলক্ষণদেখলেবুঝবেনআল্লাহআনারউপরঅসন্তুষ্ট
#আল্লাহআপনারউপরঅসন্তুষ্টবুঝবেনকিভাবে
#আল্লাহআপনারউপরঅসন্তুষ্টকিনাকিভাবেবুঝবেন
#যাচাইকরুনআল্লাহকিআপনাকেভালোবাসেন
#মহানআল্লাহকিআপনারউপরসন্তুষ্ট
#ইসলামেরসোনালীপথ
#islamersonalipath
Информация по комментариям в разработке