Скачать или смотреть নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়কে খিলজি শেষ না করে দিলে, হয়তো ভারতীয়দের কাছে বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিদ্যালয় থাকতো 😊

ভারত ইতিহাসের সুবর্ণ যুগ গুপ্তযুগে এমন এক বিশ্ববিদ্যালয় ছিল যে, কালের নির্মম আঘাতে আজ যদি সেই বিশ্ববিদ্যালয় সম্পূর্ণ ধ্বংসপ্রাপ্ত না হত তাহলে বিদ্যা চর্চার ক্ষেত্রে হাভার্ড বা অক্সফোর্ডের মত বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে অনায়াসে শিশু তুল্য স্থানে পর্যবসিত করত । শুনতে অবিশ্বাস্য মনে হলেও এটা সত্যি । আর এই বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম হল নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয় । তৎকালীন সময়ে বিশ্বের সর্ব বৃহৎ লাইব্রেরী ছিল নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়ে । প্রাচীনকালে সবচেয়ে আধুনিক শিক্ষা দান করা হত এই বিশ্ববিদ্যালয়ে । চিন, কোরিয়া, ইন্দোনেশিয়া, পারস্য, তুরস্ক এবং মধ্য এশিয়া অন্যান্য দেশ তথা সমগ্র বিশ্ব থেকে জ্ঞানপীপাসু ছাত্র ও অধ্যাপকেরা আসতেন এখানে জ্ঞান সাধনা চর্চার জন্য ।

নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশ কিছু অজানা তথ্য আজ আপনাদের সামনে তুলে ধরব । হিউয়েন সাং এর মতানুসারে নালন্দা শব্দটি এসেছে “ন অলম দা” এই শব্দটি থেকে যার অর্থ হল উপহার দানে যার বিরাম নেই বা অবিরত দান । অনেকে মতে নালন্দা শব্দটির ব্যুৎপত্তি গত অর্থ হল জ্ঞানের অনন্ত প্রবাহ । কিন্ত আসলে গ্রামের নামানুসারে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম রাখা হয় নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয় ।

নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রাথমিক প্রবেশের পরীক্ষা পদ্ধতি ছিল অভিনব । দেশ-বিদেশের ছাত্র ও অধ্যাপকেরা এই বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশের অনুমতি তখনই পেতেন যখন তাঁরা নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা রক্ষীদের করা প্রশ্নের সঠিক উত্তর দিতে পারতেন । সেই সময়কার সবচেয়ে আধুনিক ছাত্রাবাস সংযুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় ছিল নালন্দা ।

বর্তমান বিহারের মগধে পঞ্চম থেকে সপ্তম শতাব্দীর মধ্যে প্রতিষ্ঠিত হয় তৎকালীন এশিয়ার সর্ব আধুনিক নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয় । গুপ্ত সাম্রাজ্যের কুমার গুপ্ত ছিলেন এর প্রতিষ্ঠাতা । পরবর্তীতে পাল শাসনাধীনে এর দ্বিগুণ উন্নতি হয়। ধর্মপালের শাসনকালে সোমপুর, বিক্রমশীলা এবং ওদন্তপুরীর বিহারগুলি নির্মিত হলে নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্ঞানচর্চা আরও তরান্বিত হয় । গুপ্ত ও পাল রাজাদের পরবর্তীতে কনৌজের সম্রাট হর্ষবর্ধন এই বিশ্ববিদ্যালয়ের পৃষ্ঠপোষকতার দায়িত্ব নেন ।