Скачать или смотреть সৌদি আরবে গ্রেফতার ও জেল ফেরত প্রবাসীদের দ্রুত পূর্ণবাসনের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন, জাতীয় প্রেস ক্লাব।

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষে ভূমিকা রাখার কারণে সৌদি আরবে গ্রেফতার ও জেল ফেরত প্রবাসীদের দ্রুত পূর্ণবাসনের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন


মোঃ শাহীনুর রহমানঃ ১৭ অক্টোবর ২০২৪ ইং বৃহস্পতিবার,সকাল ১০ টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের আব্দুস সালাম হল, ৩য় তলায় ভূক্তভোগী সৌদি প্রবাসীদের আয়োজনে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। ২২৮ জন সৌদি ফেরত প্রবাসীদের সম্মতিক্রমে মোঃ শহিদ সংবাদ পত্র পেশ করেন।


সংবাদ পাঠে জানা যায় বহিঃ বিশ্বে প্রায় ২ কোটি প্রবাসী বসবাস করছে। কয়েক যুগ ধরে রেমিটেন্স পাঠিয়ে বাংলাদেশকে অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধি করছে, দেশের যত বড় বড় উন্নয়ন প্রকল্প প্রজেক্ট সবকিছুই প্রবাসীরা রেমিটেন্স পাঠিয়ে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে, সেই প্রবাসী রেমিটেন্স যোদ্ধা, সম্প্রতি সময়ে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সারা দেশ যখন স্তব্ধ হয়ে পড়ে তারা পরিবারের সাথে যোগাযোগ করতে পারছিলেন না। সারাদেশে একযোগে ইন্টারনেট বন্ধ করে দেওয়া হয়, ব্যাংকগুলো বন্ধ থাকার কারণে প্রবাসীরা তখন আতঙ্কের মধ্যে দিন পার করছিলেন, প্রবাসের মাটিতে মিছিল মিটিং আন্দোলন নিষিদ্ধ, যখন নির্বিচারে সাধারণ জনতাকে গুলি করে মারা হয়েছিল তখন প্রবাসীরা চুপ থাকতে পারেনি, বিবেকের তাড়নায় জীবন বাজি রেখে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সমর্থন জানিয়ে মানববন্ধন মিছিলে অংশগ্রহণ করে, সে

দেশের আইন লঙ্ঘন করার কারণে সৌদি আরবের বিভিন্ন স্থান থেকে সৌদি পুলিশ তাদেরকে গ্রেফতার করে জেলে প্রেরণ করেন। দীর্ঘ ৪১ দিন কারাবরণ শেষে শূন্য হাতে দেশে ফেরত আসে। 

সৌদি আরব দুবাই, ওমান, কাতার, কুয়েত, বাহারাইন সহ মধ্যপ্রাচ্য বিভিন্ন দেশে প্রবাসীরা যারা গ্রেফতার হয়েছিল, এবং কি দেশে এসেছিল, তাদের জন্য নতুন সরকার ডাটা তৈরি করে পূর্ণবাসন ও আর্থিক অনুদানের ঘোষণা দিয়েছিল, যে দীর্ঘ দুই মাস এই সরকারে অতিবাহিত হলেও এখন পর্যন্ত আমাদের সাথে কেউ যোগাযোগ করে নাই, যার প্রেক্ষিতে তারা গত ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ জাতীয় প্রেসক্লাবে মানবন্ধন করে। তারা বিভিন্ন জেলায় জেলা প্রশাসকের বরাবরে স্মারক লিপি প্রেরণ করে। এরপরেও তারা কোন সাড়া পাইনি।



প্রবাসী কল্যান মন্ত্রালয়ের উপদেষ্ঠা বরাবর দাবি সমূহ হলো :

১. সৌদি আরব ও মধ্যপ্রাচ্যর বিভিন্ন দেশ থেকে যে সকল প্রবাসীরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একাত্মতা পোষণ করে দেশে ফিরেছেন তাদেরকে অনতবিলম্বে পূর্ণবাসনের ব্যবস্থা করতে হবে।

২. সৌদি ফেরত প্রবাসীদেরকে সরকারি খরচে ভিবিন্ন দেশে পুনরায় প্রেরণ করার ব্যবস্থা গ্রহন করতে হে

৩. দেশে ফেরত আসায় হঠাৎ বেকার হয়ে পড়া প্রবাসীদেরকে এককালীন নগদ সহায়তা প্রদান করতে হবে।

৪. ক্ষতিগ্রস্ত প্রবাসীদের জন্য বিদেশে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি না করা পর্যন্ত দেশে কর্মসংস্থানের তড়িৎ পদক্ষেপ গুণ করতে হবে।

৫. সৌদি আরব সহ বিভিন্ন দেশের দূতাবাসগুলোতে প্রবাসী ৰান্ধব কর্মকর্তা কর্মচারী নিয়োগ দিতে হবে।

৬. প্রবাসে যাওয়ার সময় প্রবাসীদেরকে বিভিন্ন ব্যাংকগুলো সহজ শর্তে তিন কার্য দিবসের মধ্যে কোনরকম জামিন ছাড়া ঋণ দিতে হবে।

৭ বিদেশে যাওয়ার জন্য যে পাসপোচাট বানানো হয় সে পাসপোটার কোনরকম ভোগান্তি ছাড়া অতি দ্রুত সময়ে সরবরাহ করতে হবে।

৮.বিভিন্ন মেডিকেলগুলোতে কোন কারণ ছাড়া যে মেডিকেল আনফিট দেখানো হয় এই ধরনের মেডিকেলগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।

৯. প্রবাসে যাওয়ার পর সেই প্রবাসী তার কাঙ্খিত চাকরি পেল কিনা এবং ঠিকমত বেতন পাচ্ছে কিনা দূতাবাস ও কনস্যুলেট নিয়মিত খোঁজখবর নিতে হবে ।

১০.কোন প্রবাসী দেশের বাহিরে আহত হলে তার যথাযথ চিকিৎসা নিশ্চিত করা এবং কি মারা গেলে সরকারি খরচে লাশ দেশে আনা হবে।

অন্তবর্তী কালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মো: ইউনুস এবং প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকা প্রফেসর আসিফ নজরুলের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলতে চাই। এই অন্ধকার থেকে নতুন বাংলাদেশে নতুন আলোতে তাদেরকে ফিরিয়ে আনার দ্রুত উদ্যোগ গ্রহণের জন্য অনুরোধ করছি।