Скачать или смотреть প্রতিবছর বাড়ছে ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা

দেশে প্রতিবছর নতুন করে ক্যান্সারে আক্রান্ত হচ্ছেন ১ লাখ ২০ হাজার মানুষ। তার বিপরীতে একটি মাত্র বিশেষায়িত হাসপাতাল আর সব মিলে ২শ জন ক্যান্সার বিশেষজ্ঞও না থাকাও বাংলাদেশে ক্যান্সারের সার্বিক ভয়াবহতা প্রকাশ করছে। তাই ক্যান্সার চিকিৎসার অবকাঠামো বাড়ানোর পাশাপাশি, ক্যান্সার প্রতিরোধের দিকে বেশি গুরুত্ব দেয়া প্রয়োজন বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।

বাংলাদেশে ক্যান্সারের ব্যাপকতা নিয়ে জাপানের জার্নাল অব ক্লিনিক্যাল অনকোলজি'তে প্রকাশিত গবেষণা নিবন্ধে বলা হয়, বাংলাদেশের ১ কোটি ২৭ লাখ মানুষের দেহে অস্বাভাবিক কোষের বৃদ্ধি ঘটে চলছে। চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় যা "নিওপ্লাসিয়া" নামে পরিচিত।

এবং ২০৩০ সাল নাগাদ ক্যান্সারের ঝুঁকিতে থাকবেন ২ কোটি ৪ লাখ মানুষ এমন আশংকার কথা বলছে এই গবেষণা। অন্যদিকে ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব ক্যান্সার রিসার্চ অ্যান্ড হসপিটাল চিকিৎসা নিতে আসা দু বছরের রোগীদের তথ্যের বলছে, এখন বাংলাদেশে ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা প্রায় ১৬ লাখ।

গবেষণায় দেখা যায়, হাসপাতালে ভর্তি হওয়া মোট ক্যান্সারে আক্রান্ত ৬০ শতাংশই পুরুষ। যাতে ১৩ থেকে ১৮ শতাংশই ফুসফুসের ক্যান্সারে আক্রান্ত। এছাড়া, লিপ অ্যান্ড ওরাল ক্যান্সার ১২ ও অন্ননালীর ক্যান্সারে আক্রান্ত হচ্ছে ৮ দশমিক ২ শতাংশ। যার অন্যতম কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হচ্ছে তামাক ও তামাকজাত পণ্য ব্যবহারকে।

বর্তমানে ক্যান্সারের ঔষধ বাংলাদেশে তৈরি করা হলেও অতিরিক্ত মূল্যের কারণে তা এখনো বেশির ভাগ ক্যান্সার রোগীর ধরা ছোঁয়ার বাইরে । তাই ক্যান্সারের চিকিৎসায় সরকারের সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধির পাশাপাশি ক্যান্সার প্রতিরোধে সরকারি ও ব্যক্তি পর্যায়ে সচেতনতা বাড়ানো প্রয়োজন বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।