Скачать или смотреть বান্দরবান ট্যুর প্ল্যান। কত খরচ, হোটেল, টুরিস্ট স্পট

বান্দরবান জেলা পার্বত্য চট্টগ্রামের সবচেয়ে আকর্ষণীয় পর্যটন জেলা। বান্দরবান সদর উপজেলায় রয়েছে মেঘলা পর্যটন কমপ্লেক্স, ঝুলন্ত সেতু, স্বর্ণ মন্দির (বৌদ্ধ ধাতু জাদি), নীলাচল পর্যটন কেন্দ্র ইত্যাদি। সদর থেকে থানচি রুটে গেলে দেখা মেলে বিখ্যাত চিম্বুক পাহাড় ও শৈলপ্রপাত ঝর্ণার। থানচি উপজেলায় আছে বাংলাদেশের অন্যতম সুন্দর স্থান নীলগিরি, নাফাখুম ঝর্ণা, আমিয়াখুম ঝর্ণা ও দুর্গম ডিম পাহাড়। রুমা উপজেলায় রয়েছে কেওক্রাডং পাহাড় ও বগা লেক, যা দেশের অন্যতম উচ্চতম পর্বতশৃঙ্গ ও প্রাকৃতিক লেক। এছাড়া আলীকদম, নাইক্ষ্যংছড়ি ও রোয়াংছড়ি উপজেলায়ও পাহাড়ি দৃশ্য, আদিবাসী সংস্কৃতি ও প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্য ছড়িয়ে আছে। বর্তমানে বান্দরবানের প্রশাসনিক কাঠামোতে রয়েছে সাতটি উপজেলা/থানা— বান্দরবান সদর, থানচি, রুমা, রোয়াংছড়ি, লামা, আলীকদম ও নাইক্ষ্যংছড়ি।

অন্যদিকে, রাঙামাটি জেলা মূলত কাপ্তাই হ্রদকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা এক বিশাল পর্যটন এলাকা। রাঙামাটি সদর উপজেলায় রয়েছে রাজবন বিহার, উপজাতীয় জাদুঘর এবং কাপ্তাই হ্রদের নৌকা ভ্রমণের ব্যবস্থা। কাপ্তাই উপজেলায় কাপ্তাই লেকের সৌন্দর্যের পাশাপাশি দর্শনীয় শুভলং ঝর্ণা ও আরণ্যক পার্ক অবস্থিত। সাজেক ভ্যালি রাঙামাটির সীমান্তবর্তী একটি এলাকা, যা এখন দেশের অন্যতম জনপ্রিয় পর্যটন গন্তব্য। এছাড়া বিভিন্ন উপজাতি গ্রাম যেমন চাকমা, মারমা ও ত্রিপুরাদের বসতি পর্যটকদের কাছে বিশেষ আকর্ষণ। রাঙামাটি জেলায় মোট দশটি উপজেলা রয়েছে, এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো— রাঙামাটি সদর, কাপ্তাই, কাউখালী, লংগদু, বাঘাইছড়ি, বিলাইছড়ি ও রাজস্থলী। থানার সংখ্যা ১২, যার মধ্যে কাপ্তাই, সাজেক, রাজস্থলী, বিলাইছড়ি ও চন্দ্রঘোনা থানা উল্লেখযোগ্য।