Скачать или смотреть রহস্যময় ভুতুড়ে বাস।। ৩৭৫ নম্বর বাস নামে পরিচিত রহস্যময় ঘটনা।।

চমৎকার একটি গল্পের সারসংক্ষেপ। বেইজিংয়ের রহস্যময় বাস বা 'বেইজিং ঘোস্ট বাস'-এর এই শহুরে কিংবদন্তিটি সত্যিই বেশ রোমাঞ্চকর। যদিও এটি একটি জনপ্রিয় কল্পকাহিনি, এর মূল বিষয়বস্তু এবং রোমাঞ্চের কারণে মানুষ এটি নিয়ে আলোচনা করতে ভালোবাসে।
বেইজিং ঘোস্ট Bus-এর গল্প
১৯৯৫ সালের ১৪ই নভেম্বরের এক রাতে, বেইজিং শহরে এক বয়স্ক মহিলা Bus-এর জন্য অপেক্ষা করছিলেন। হঠাৎ সেখানে 375 নম্বরের একটি Bus আসে, যা সেই রুটের শেষ Bus হওয়ার কথা ছিল না। Bus-এর ভেতরে চালক, কন্ডাক্টর এবং দুজন পুরুষ যাত্রী ছিলেন। মহিলাটি Bus-এ উঠে পড়লেন। পরের স্টপেজে আরও একজন যুবক Bus-এ উঠল।
কিছুদূর যাওয়ার পর, Bus-এর কন্ডাক্টর ঘোষণা করলেন যে এটিই শেষ Bus। এ কথা শুনে অন্য দুই পুরুষ যাত্রী এবং চালক নিজেদের মধ্যে হাসাহাসি করতে লাগলেন, যা দেখে মহিলার অস্বস্তি হয়। তিনি তার ব্যাগে থাকা একটি ছোট আয়না বের করে Bus-এর পিছনের অংশে তাকালেন। আয়নায় তিনি দেখলেন, ওই দুই পুরুষ যাত্রীর চেহারা কঙ্কালের মতো! আতঙ্কে তিনি চিৎকার করে উঠলেন।
মহিলার চিৎকারে সবাই তার দিকে তাকালে তিনি Bus থেকে নামার চেষ্টা করেন, কিন্তু চালক এবং কন্ডাক্টর তাকে বাধা দেন। Busটি একটি নির্জন এলাকায় পৌঁছালে চালক হঠাৎ Bus থামিয়ে কন্ডাক্টরকে বলেন, "এই মহিলাকে নামিয়ে দাও, না হলে আমরা সবাই বিপদে পড়ব।" এরপর মহিলাটিকে Bus থেকে নামিয়ে দেওয়া হয়।
পরের দিন সকালে মহিলাটি পুলিশকে সব জানান। পুলিশ তদন্ত করে জানতে পারে, সেই রাতে ওই রুটে ওই সময়ে কোনো Bus চলেনি। রহস্য আরও গভীর হয় যখন কয়েকদিন পর একটি পরিত্যক্ত Bus ডিপোতে 375 নম্বরের Busটি খুঁজে পাওয়া যায়। Bus-এর ভেতরে দুটি কঙ্কাল ছিল, যাদের কোনো আঘাতের চিহ্ন ছিল না। কঙ্কাল দুটি ছিল Bus-এর চালক ও কন্ডাক্টরের। তাদের মুখে ছিল চরম আতঙ্কের ছাপ।
গল্পের পেছনের বাস্তবতা
'বেইজিং ঘোস্ট বাস'-এর এই গল্পটি সম্পূর্ণরূপে একটি কল্পকাহিনি। এর কোনো বাস্তব বা ঐতিহাসিক প্রমাণ নেই। এটি শুধুমাত্র একটি urban legend হিসেবে মানুষের মুখে প্রচলিত। এই ধরনের গল্পগুলো সাধারণত অতিপ্রাকৃত ঘটনার ওপর ভিত্তি করে তৈরি হয় এবং রোমাঞ্চ ও রহস্যের কারণে জনপ্রিয়তা লাভ করে।
এই ধরনের আরও কোনো জনপ্রিয় কিংবদন্তি সম্পর্কে জানতে চান কি?