Скачать или смотреть Padma River at day view! দিনের পদ্মা সেতু! if you don't watch you will miss!! না দেখলেই মিস!

ভ্রমণের তারিখ: যাওয়া-২৮/০৬/২০২২
ফিরে আসা-২/০৭/২০২২

-পদ্মা বহুমুখী সেতু-


পদ্মা বহুমুখী সেতুটি 25 শে জুন রোজ শনিবার 2022 সালে উদ্বোধন এর পরদিন অর্থাৎ ছাব্বিশে জুন রোজ রবিবার 2022 সালে সর্বসাধারণের পরিবহনের জন্য উন্মুক্ত করা হয় ।
পদ্মা বহুমুখী সেতুতে 415 টি ল্যাম্পপোস্টে স্থাপন করা হয়েছে। ঢাকা বিভাগের দুটি জেলা অর্থাৎ মুন্সিগঞ্জ জেলার লৌহজং উপজেলার মাওনা এলাকা এবং নদীর ওপারে শরীয়তপুর জেলার জাজিরা উপজেলার সাথেই এ সেতুটি মহা মিলনে আবদ্ধ হয়েছে ।ঢাকা জেলা থেকে মাত্র 40 কিলোমিটার দক্ষিনে মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলার মাওয়া এলাকা থেকে পদ্মা বহুমুখী সেতুটি শুরু হয়ে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের খুলনা বিভাগের 10 টি জেলা বরিশাল বিভাগের ৬টি জেলা ও ঢাকা বিভাগের ৫টি জেলা অর্থাৎ মোট 21 টি জেলার সাথে সংযোগ স্থাপন করেছে।
বহুমুখী সেতু কেন বলা হচ্ছে পদ্মাসেতুকে তা জানাবো এবার । বহুমাত্রিক ব্যবহারের কারণেই একে বহুমুখী সেতু বলা হয় ।দিতল এ সেতুর ওপর তলা দিয়ে সড়ক পরিবহন এবং নিচ তলা দিয়ে রেল পরিবহনের ব্যবস্থা আছে। সেই সাথে সেতুর মধ্য দিয়ে চলে গেছে গ্যাস লাইন, বিদ্যুৎ লাইন ও ইন্টারনেটের জন্য অপটিক্যাল ফাইবার লাইন।
পদ্মা সেতুটি 6.15 কিলোমিটার মুল পানির ওপরে আর দুই পাহড়ের চরের ওপরে দেড় কিলোমিটার করে 3 কিলোমিটার সহ মোট 9 দশমিক 15 কিলোমিটার দীর্ঘ। পদ্মা সেতু উপরতলায় রয়েছে 72 ফুটের ফোর লেনের সড়ক আর নিচ তলায় রয়েছে ট্রেনের জন্য সিঙ্গেল লাইন ।
মুল পানির উপরে রয়েছে 42 টি পিলার । দুটি পিলারের ওপরে 150 মিটার দীর্ঘ স্টিলের পাত বসানো হয়েছে যাকে বলে স্পান অর্থাৎ 42 পিলারের ওপরে বসানো হয়েছে মোট 41 টি স্প্যান। 6.15 কিলোমিটার মূল সেতুর উভয় দিকে 1.5 কিলো মিটার করে চরের উপরে সেতুর বর্ধিত অংশকে বলে ভায়াডাক্ট ।উভয় দিকের মোট তিন কিলোমিটার দীর্ঘ ভায়াডাক্ট এর নিচে রয়েছে 81 টি ভাযাডাক্ট পিলার।
পানির স্তর থেকে 60 ফুট অর্থাৎ প্রায় ছয় তলার সমান উঁচুতে দন্ডায়মান রয়েছে সেতুটি ।
পপ্রতিটি পিলার 6 টি পাইলিং এর মাধ্যমে 383 ফুট অর্থাৎ প্রায় 40 তলার সমান নদীর তলদেশ থেকে উঠানো পদ্মা বহুমুখী সেতু তৈরি করেছেন চায়না মেজর ব্রিজ কম্পানি লিমিটেড।দৈর্ঘের বিবেচনায় এ সেতুটি বিশ্বে 122 । পদ্মা সেতুটি ইতোমধ্যেই ছুঁয়েছে পাঁচটি বিশ্ব রেকর্ডের মাইলফলক

প্রথমত -- হচ্ছে নদীর তলদেশে 383 উচ্চতার পাইলিং যা বিশ্বরেকর্ড । এত দীর্ঘ পাইলিং বিশ্বের কোন ব্রিজে হয়নি ।
দ্বিতীয়তঃ -- এটি বিশ্বের একমাত্র কংকৃট এবং স্টিল দিয়ে নির্মিত ।বিশ্বের আর কোন সেতু নির্মাণে কংক্রিট এবং স্টীলের একসংগে হয়নি।
তৃতীয়তঃ--এ সেতুর পিলারের ওপরে স্পেন বসাতে যে ক্রেন ব্যবহার করা হয়েছে তা বিশ্বের সবচেয়ে বড় ভাসমান ক্রেন বাহী জাহাজ।
চতুর্থত:-- রিখটার স্কেলে নয় মাত্রার ভূমিকম্পে টিকে থাকার জন্য পদ্মা সেতুর স্প্যান ও পিলার এর মধ্যে 10 হাজার 500 মেট্রিক টন ওজনের এক একটি বিয়ারিং ব্যবহার করা হয়েছে যা বিশ্বরেকর্ড।
পঞ্চমত:-- ভাঙ্গন সহ নানা কারণে যাতে পদ্মাসেতু ক্ষতিগ্রস্থ না হয় তার জন্য সেতু সংলগ্ন দুই পাড়ে 14 কিলোমিটার ব্যাপী বাধ দেয়া হয়েছে যাকে বলে নদী শাসন এত দীর্ঘ নদি শাসন আর কোন ব্রিজে হয়নি যা বিশ্ব রেকর্ড।

তাই এই স্বপ্নের সেতু ভ্রমণ করুন সপরিবারে।