Скачать или смотреть বাংলাদেশে মাঠে বজ্র সেল্টার |বজ্রপাতে কৃষকের রক্ষা করবে প্রাণ || Chuadanga Chitro চুয়াডাঙ্গা চিত্র

চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুড়হুদা উপজেলায় বজ্রপাতে কৃষকের মৃত্যু প্রতিরোধ করতে মাঠের মধ্যে বজ্র সেল্টার তৈরি করেছেন কৃষি অফিসার মনিরুজ্জামান। জেলা ব্যাপী প্রতিটি মাঠের মধ্যে একটি করে বজ্র সেল্টার তৈরি করার জন্য সকল সহযোগিতার আশ্বাস দিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার।

ইকরামুল হক পিপুল, চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধিঃ (০২.০৭.২০২০)
বাংলাদেশে প্রতি বছর বজ্রপাতে এক হাজারেরও অধিক মানুষের মৃত্যু হয়, যার মধ্যে ৮৪ দশমিক ৪ ভাগ মৃত্যু বরন কৃষক । গত ৩ মাসে বাংলাদেশে বজ্রপাতে মৃত্যু হয়েছে ১২৬ জন মানুষের । এদের মধ্যে প্রায় ১০০ জন কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। যার মধ্যে দামুড়হুদা উপজেলার কুড়–লগাছি ও মদনা গ্রামের এক কৃষক সহ ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। স¤প্রতি দামুড়হুদা উপজেলায় কৃষি অফিসার মনিরুজ্জামান যোগদান করার পর তিনি কর্মজীবনে বজ্রপাতের বিষয় নিয়ে সব সময় বিভিন্ন কার্যক্রম সহ বর্জপাত প্রতিরোধর এক ব্যাতিক্রম উদ্যোগ নেন বর্জ সেল্টার। কৃষি অফিসার মনিরুজ্জামান মাঠের কৃষক ও কৃষাণীদের সাথে বজ্রপাত রোধ করার লক্ষ্যে বৈঠকে বসেন এবং সেখান থেকেই তিনি এ সিদ্ধান্ত নেন দামুড়হুদায় ৮ টি ইউনিয়ন ও ১ টি পৌরসভায় মোট ৯ টি বর্জ্র সেন্টার তৈরি করবেন। ইতিমধ্যেই তিনি দামুড়হুদা উপজেলার হৈবতপুর, ছুটিপুর, মদনা ও কুড়ালগাছিতে তৈরি করেছেন ৪ টি বজ্র সেল্টার তৈরি করেছেন। আরো ৫ টি বজ্র সেল্টার তৈরীর কাজ অব্যাহত রয়েছে। চাষের বিস্তৃর্ণ মাঠ গুলো থেকে আশ পাশের গ্রাম গুলো ২ থেকে ৩ কিলো দুরুত্ব হওয়ায় ঝড়-বৃষ্টি শুরু হলে কোথাও আশ্রয় কেন্দ্র পাইনা মাঠে কর্মরত কৃষকরা। যে কারণে বজ্রপাতে অনেক কৃষকের মৃত্যুর হার অনেক বেড়ে গেছে। বজ্র সেল্টার পেয়ে কৃষকরা এখন বৃষ্টির সময় বর্জ সেল্টারে আশ্রয় নেয় । এছাড়া রোদের প্রখোর তাপ দহে কৃষকরা বর্জ সেল্টারে আশ্রয় নিয়ে বিশ্রম নিতে পারবে। প্রতিটি বজ্র সেল্টারের পাশে একটি টিউবওয়েল বসানো হয়েছে যাতে কৃষকরা তাদের পানির তৃষ্ণা নিবারণ করতে পারবে। প্রতি নিয়ত ২/৩ কিলোমিচার দুর থেকে পানি এনে বিভিন্ন সময়ে পানির প্রয়োজনীয় সার বিজ কিটনাশক পানি নিতে হতো। এখন বর্জ সেল্টারে পাশের টিউবয়েল থেকে সহজেই পানির চাদিা মেটাতে পারছে। সার, বীজ, কিটনাশকের প্যকেট বা বোতল যাতে মাঠের যত্রতত্র স্থানে না ফালে তার জন্য ডাস্টবিনের ও ব্যবস্থা করা হচ্ছে। ফলে পরবর্ততে ডাস্টবিনের পলিথিনসহ অন্যান্য সামগ্রী পুড়িয়ে ফেলে মাটি দূষন রোধ করা সম্ভব হবে এতে জমির উর্বরতা বৃদ্ধি পাবে। বজ্র সেল্টার পেয়ে হাসি ফুটেছে স্থানীয় কৃষকের মুখে। কারন কৃষকেরা দুপুরে খাবার খেতে পারবে নিরাপদ বজ্র সেল্টারের ছায়াতলে, ফসলের ঔষধ দিতে প্রয়োজনীয় পানি পাবে হাতের নাগালে, সেবা সুরক্ষা নিশ্চিত সকল তথ্য প্রদান করা হবে এই বর্জ্র সেন্টার থেকে। বজ্র সেন্টার তৈরি করতে উপরে সিমেন্ট সিট টিন, সিমেন্টর খুটি , বাশের মাচা দিয়ে তৈরী করা হয়েছে প্রতিটি বজ্র সেন্টার। একটি সেল্টারে তৈরি করতে মাত্র সাড়ে ৭ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। সেল্টার তৈরীতে ব্যবহৃত বাশ ও শারেরীক পরিশ্রম দিয়ে সহয়তা করেছে স্থানীয় কৃষকরা। প্রতিটি বর্জ্র সেন্টারের উপরে বসানো হচ্ছে বর্জ্য নিরোধক দন্ড যা বজ্র সেল্টারের উপর বজ্র নিরোধক হিসেবে কাজ করবে। দামুড়হুদা উপজেলা পরিষদের এ বছরের অর্থয়ানে সহতায় কৃষি বিভাগের মোট ২৫ টি বøক আছে প্রতিটি বøকে দশটি করে মোট ২৫০ টি সেল্টার তৈরীর পরিকল্পনা করেছেন। এদিকে চুয়াডাঙ্গা জেলার ৪ টি উপজেলা ব্যাপী প্রতিটি মাঠের মধ্যে একটি করে বজ্র সেল্টার তৈরি করার জন্য সকল সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার।#
ইকরামুল হক পিপুল
চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি
মোবাঃ ০১৭১২৯০২২৩০